এদিকে কোন কোন ব্যক্তি নৌবাহিনীর ওই সদস্যদের সংস্পর্শে এসেছিল, তার খোঁজে অভিযান চালানো হচ্ছে। জানা গেছে, করোনা আক্রান্ত নৌবাহিনীর কর্মীরা প্রত্যেকেই আইএনএস আংরে-তে যুদ্ধজাহাজে কর্মরত ছিলেন। ওই কর্মীদের কাজ ছিল, ওয়েস্টার্ন নেভাল কমান্ডকে প্রশাসনিকভাবে ও পরিকল্পনায় সাহায্য করা। যে কর্মীদের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে, তাঁরা যুদ্ধজাহাজে একই আবাসনে থাকতেন। তাঁরা যাদের সংস্পর্শে এসেছেন, তাদের প্রত্যেকের করোনা পরীক্ষা করা হবে। বর্তমানে লকডাউনের কারণে ওই আবাসন বন্ধ রয়েছে। তা সত্ত্বেও কীভাবে ওই কর্মীরা আক্রান্ত হলেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। বাইরে থেকে কেউ লকডাউনের মধ্যে সেখানে এসেছিলেন কি না, তারও খোঁজ করা হচ্ছে।

ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ও বড় যুদ্ধজাহাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আইএনএস আংরে। এ যুদ্ধজাহাজে করোনা ধরা পড়ায় বর্তমানে চিন্তায় রয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী।

এর আগে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের মধ্যে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। তবে ভারতীয় নৌবাহিনীতে করোনা ধরা পড়ার ঘটনা এ প্রথম। এর আগে ভারতীয় সেনার যে আটজনের দেহে করোনা ধরা পড়েছিল, তারমধ্যে তিনজন সেনাদের চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বাকি পাঁচজনের মধ্যে চারজন এর মধ্যেই সুস্থ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

এরই মধ্যে ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৪২৫ জনে। এ ছাড়া মৃত্যু হয়েছে ৪৮৮ জনের। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে দুই হাজার ৪৫ জন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯১ জন। এর মধ্যে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৪৩ জনের।

এদিকে ভারতের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ভারত করোনায় আক্রান্তের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। এরপর থেকে সংক্রমণ নিম্নমুখী হবে।

করোনা আক্রান্তের ক্ষেত্রে ভারতের মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও তামিলনাড়ু রাজ্যে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি। এর পরই রয়েছে রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশ। জানা গেছে, এই পাঁচ রাজ্যে ভারতের মোট আক্রান্তের ৬০ শতাংশ শনাক্ত করা হয়েছে।

এরই মধ্যে আশঙ্কা বাড়াচ্ছে মহারাষ্ট্র রাজ্যের মুম্বাইয়ের ধারাভি বস্তি। সেখানে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এশিয়ার বৃহত্তম এই বস্তিতে এরই মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০১ জন। এর মধ্যে সেখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের।

এদিকে মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার পেরিয়েছে। ভারতের মধ্যে এ রাজ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক। আর সেজন্য সেখানে লকডাউনের বিধি-নিষেধে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।