দাম কমেছে পেঁয়াজসহ যে সকল পণ্যের

বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজার ও মানভেদে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭৫-৮০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমে অর্ধেকে নেমেছে।
পেঁয়াজের পাশাপাশি দাম কমেছে দেশি রসুনের। তবে আদা ও আমদানি করা রসুনের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৩০ টাকা কেজি। আমদানি করা রসুন আগের মতো ১৭০-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদা বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা কেজি।
পেঁয়াজের দাম কমার বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী রুবেল বলেন, করোনা আতঙ্কে গত সপ্তাহে মানুষ অনেক বেশি বেশি পেঁয়াজ কেনে। এতে দাম বেড়ে যায়। তবে ভোক্তা অধিদফতর ও র্যাবের অভিযানের পর পেঁয়াজের দাম কমতে থাকে। এখন দাম কমে গেলেও আগের মতো ক্রেতা নেই।
পেঁয়াজের পাশাপাশি দাম কমেছে গোল আলুর। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মানভেদে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮-২০ টাকা। গত সপ্তাহে যা ছিল ২৫-২৮ টাকা।
রামপুরার ব্যবসায়ী মিলন বলেন, করোনা আতঙ্কে পেঁয়াজের মতো আলু কিনেও অনেকে মজুদ করেছে। গত সপ্তাহে আলু কেনার এক ধরনের হিড়িক পড়ে যায়। যে কারণে ১৮ টাকার আলুর দাম ২৫ টাকা ওঠে। তবে এখন কেনার পরিমাণ কমায় দামও কমেছে। সামনে হয় আলুর দাম আরও কমতে পারে।
এদিকে করোনা আতঙ্ককে পুঁজি করে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী পেঁয়াজ ও আলুর পাশাপাশি ডিম ও মুরগির দাম বড়িয়ে দিয়েছিল। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিম ও মুরগি উভয়ের দাম কমেছে।
বাজারে ফার্মের মুরগির লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০ টাকা। আর সাদা ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১১০ টাকা। বয়লার মুরগি বাজার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৩০-১৩৫ টাকা।
মালিবাগের ব্যবসায়ী কালাম বলেন, মুরগি যা মজুদ করার তা ইতিমধ্যে সবাই করে ফেলেছে। এখন নতুন করে কেউ আমদানি (অতিরিক্ত) মুরগি কিনছে না। ফলে বিক্রি কমে গেছে। এ কারণে দামও কমেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে মুরগির দাম সামনে আরও কমবে।
এদিকে বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে বেশিরভাগ সবজির দাম স্থির রয়েছে। বাজারে এখন সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে নতুন আসা সজনের ডাটা। এই সবজিটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা।
করলা আগের সপ্তাহের মতো ৪০-৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।মাঝারি আকারের লাউ আগের মত বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা পিস। বরবটির কেজি ৪০-৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০-৭০ টাকা।
এছাড়া শসা ২০-৩০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, পাকা টমেটো ২০-৪০ টাকা, শিম ৪০-৫০ টাকা, ফুলকপি-বাঁধাকপি পিস ৩০-৩৫ টাকা, গাজর ২০-৩০ টাকা, শালগম ২৫-৩০ টাকা, মুলা ১৫-২০ টাকা, বেগুন ৩০-৪০ টাকা, পটল ৪০-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। আর কাঁচা মরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) আগের মতোই ১৫-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজির দামের বিষয়ে হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী জহিরুল বলেন, করোনা আতঙ্কে গত সপ্তাহে পেঁয়াজ, আলুর দাম বাড়লেও কাঁচা সবজির দাম বাড়েনি। এ সপ্তাহেও কোনো সবজির দাম বাড়েনি। তবে বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কম।
মালিবাগ বাজার থেকে বাজার করা আসলাম বলেন, করোনা আতঙ্কে গত সপ্তাহে অনেকেই বেশি করে পেঁয়াজ, আলু, মাছ, মাংস কিনে রেখেছেন। আমার পাশের বাসায় যারা থাকেন তারও বেশি বেশি কিনে রেখেছেন। কিন্তু আমি কোনো কিছুই মজুদ করিনি। এখন বাজারে প্রায় সবকিছুর দাম স্বাভাবিক আছে। এটা দেখে স্বস্তি পাচ্ছি। তবে নতুন করে যাতে কোনো কিছুর দাম না বাড়ে সে জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
- এবার বিদেশ থেকে বাংলাদেশে ফেরার সময় সর্বোচ্চ যতটি স্মার্টফোন আনতে পারবেন প্রবাসীরা
- ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা : পাকিস্তানকে যে ঘোষণা দিলো চীন
- পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ , ৫৪ জনের মৃত্যু
- ভারতের জন্য নতুন দু:সংবাদ : বাংলাদেশে চালু হচ্ছে আরও ৭টি
- কয়েক মিনিটের কালবৈশাখীতে লন্ডভন্ড পুরো জেলা, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে
- বড় সুখবর দেশি পেঁয়াজের দাম নিয়ে
- পিএসএলে দুঃসংবাদ নেমে এলো রিশাদের জীবনে, একি বললেন শাহীন শাহ আফ্রিদি
- ভারতীয় বিমানবাহিনীর হাস্যকর কান্ড, নিজেরাই ধংস করলো নিজের এলাকা
- মেয়েদের ইচ্ছা সপ্তাহের কোন দিনে সবচেয়ে তীব্র হয়, জেনে নিন চমকপ্রদ তথ্য
- পাসপোর্ট ইস্যুতে আসছে বড় পরিবর্তন, মিলবে সুখবর
- ভারতের ঘুম হারাম করে ছাড়লো ড. ইউনূস
- চলন্ত প্রাইভেটকার থেকে নারীর ভ্যানিটিব্যাগে টান, অতঃপর যা ঘটলো
- ৩ দিন বৃষ্টি হতে পারে যে ৬ বিভাগে
- শোকের ছায়া : মাত্র ২৪ বছর বয়সেই চলে গেলেন জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর
- সন্ধ্যার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড় ও বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস