| ঢাকা, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২

বাসর রাতে সে খুব কান্না করছিল,অত;পর

লাইফস্টাইল ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০১৮ নভেম্বর ১৬ ০০:০০:১০
বাসর রাতে সে খুব কান্না করছিল,অত;পর

আমি বিচলিত হই তখনই। যখন জানতে পারি একটা মানুষ রুপি জানোয়ার শুধু মাত্র তার পুরুষত্বের চাহিদা মেটানোর জন্য একটা মেয়ের সতীত্ব হরণ করেছে। আমি সেই রাতেই ভেবে নিয়েছিলাম আমার জন্য যদি একটা মানুষ তার শেষ হয়ে যাওয়া জীবনটা নতুন করে সাজাতে পারে তাহলে দোষ কী। তাই সব হাসি-মুখে বরণ করে নিই।

বিয়ের সপ্তাহ খানেক পরে যখন ওর বমি-বমি ভাব হয়, একই সঙ্গে মাথা-ব্যথা শুরু হয় তখন ও খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলো। আর কেও কিছু বুঝে ফেলার আগেই, আমি আমার লজ্জা সরমের মাথা খেয়ে এটা রটিয়ে দিই যে, আমি বিয়ের আগেই ওর সঙ্গে শারীরিকভাবে মেলামেশা করি। এর জন্য আমাকে পরিবার ত্যাগ করতে হয়েছিল। কিন্তু, ওকে ত্যাগ করতে পারিনি। প্রতিরাতই ও খুব কান্না করতো যে, আমি যদি কোনো একদিন ওর পাশে না থাকি তাহলে, ওর কি হবে। তারপর আমি ওর চোখের পানি মুছে দিয়ে বুকে জড়িয়ে বলতাম আমি আছিতো পাগলি। আর, সব সময় এভাবেই তোমার পাশে থাকবো। তখন একটু ভরসা পেতো।

একদিন ও আমাকে বলেছিলো যে, ও আমাকে ঠকানোর পরো কেনো আমি ওর সাথে বন্ধুর মতো আচরণ করি। জবাবে আমি বলেছিলাম, কেও ওকে বিশ্বাস করিয়ে ঠকিয়েছিলো সেটা ছিলো ওর নিয়তি। আর আমি সে নিয়তি কে মুছে দিতে চেয়েছি। ও সন্তান টা নষ্ট করতে চেয়েছিলো। কিন্তু আমি না করি।

কারণ, সব কিছুই তো আমি মেনে নিয়েছি, ঘর ছাড়াও হয়েছি। তাহলে,একটা নিষ্পাপ বাচ্চা কি দোষ করেছে যে, পৃথিবীর আলো দেখার আগেই তাকে বিদাই নিতে হবে। তাই আর বাচ্চাটা নষ্ট করতে দেইনি। বিয়ের ৭ মাস পর ওর প্রসব ব্যাথা উঠে। ও এবং আমি দুজনেই জানতাম যে ওই বাচ্চা টা আমার না। তারপরও আমি সেই সময় দূরে সরে যাইনি। পাশে থেকেছি।

একজন মা ওই সময় তার সন্তান কে বাঁচানোর জন্য নিজের সাথে জীবন মরণ লড়াই করে। কিন্তু, নিয়তি ওকে আবারো ঠকালো। বাচ্চা জন্মনিলো ঠিকি কিন্তু মৃত! একটা মৃত সন্তান জন্ম হবার কিজে বেদনা, সেটা কেবল একজন মা-ই জানে। এরপর দেখতে দেখতে কেটে গেলো পাঁচ বছর।

আজো ও আর মা হতে পারেনি। সেদিনই মাতৃত্বের স্বাদ হারিয়েছে ও। আমি ওকে জীবনে ঠাই দেবার পর থেকে অনেক বিপদের মুখোমুখি হয়েছি। অনেক বাধা এসেছে। অনেক কিছু ছেড়েছি। কিন্তু, ওকে ছাড়িনি। ওর বেঁচে থাকার মূল খুঁটিটাই আমি। সারা দিন-রাত কাজ শেষে মৃত প্রায় শরীর নিয়ে যখন বাড়ি ফিরি তখন ওর মুখের একটু হাসি আমাকে প্রশান্তি দেয়। নতুন করে আমি আবার প্রাণ ফিরে পাই। প্রতিটা সময় ও একটা কষ্টের ভিতর পড়ে থাকে। রাতে আমার বুকে মাথা রেখে কেঁদে কেঁদে যখন আমার জামা ভিজিয়ে ফেলে তখন আমি ওকে সাহস দেই। নতুন একটা স্বপ্ন দেখাই।

হাজারো ব্যাথা বুকে চাপা দিয়ে ওকে একটু হাসি খুশি রাখাটাই আমার নিত্যদিনের কাজ। এভাবে ওকে ভালো রাখাটা এখন রুটিন হয়ে গেছে। এর মধ্যে মেয়েটা সুইসাইড করতেও গিয়েছিলো। কিন্তু,পারেনি। আমি ওকে শুধু স্ত্রী মনে করিনি। নিজের দুনিয়া মনে করে সব সময় আগলে রেখছি। ওর সব আবাদার পূরণ করেছি। আমি ওর ভুলগুলো শুধরে দিয়ে ওকে নতুন জীবন দান করেছি।

ক্রিকেট

শেষ হলো টস : জেনেনিন বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের একাদশ

শেষ হলো টস : জেনেনিন বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের একাদশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ (২৮ এপ্রিল) শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ের মধ্যে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ, যা ...

কয়েক মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড রংপুর

কয়েক মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড রংপুর

রংপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে উড়ে গেছে কয়েকশ ঘরবাড়ি ও গাছপালা। জেলার তারাগঞ্জ, গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, ও পীরগাছা ...

ফুটবল

মাঠের মধ্যেই হামলার শিকার হামজা চৌধুরী, হতবাক ফুটবল দুনিয়া

মাঠের মধ্যেই হামলার শিকার হামজা চৌধুরী, হতবাক ফুটবল দুনিয়া

সম্প্রতি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে জায়গা করে নেওয়া দল ফিল্ড ইউনাইটেডের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হামজা চৌধুরী একা ...

আর্জেন্টিনা: ৫, ব্রাজিল: ১

আর্জেন্টিনা: ৫, ব্রাজিল: ১

প্রথমবার ফুটসালের র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করলো আন্তর্জাতিক ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা- ফিফা। নারী ও পুরুষ উভয় বিভাগে ...



রে