নাকে খত দিয়ে মুক্তি পাচ্ছেন রোনালদিনহো
এরপর প্রায় পাঁচ মাস ধরে প্যারাগুয়ের কারাগার এবং পরে একটি হোটেলে বন্দী ছিলেন তারা।দীর্ঘ কারাবাসের যন্ত্রণা থেকে অবশেষে মুক্তি মিলতে যাচ্ছে তাদের।
তবে এ জন্য প্যারাগুয়েকে রীতিমত ‘নাকে খত’ দিয়েই যেতে হচ্ছে ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলারকে। শুক্রবারই রোনালদিনহো এবং তার ভাইয়ের মামলা নিয়ে কাজ করা প্রসিকিউটরের অফিস থেকে জানানো হয়েছে, সর্বশেষ শুনানির অপেক্ষায় তারা। এরপরই রোনালদোকে মুক্তির আদেশ দেবেন আদালত।
মূলতঃ শুক্রবার প্যারাগুয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কঠিন কিছু শর্ত মেনে নেয়ার পরই রোনালদিনহোদের মুক্তির ব্যবস্থা করা হয়। শর্ত অনুযায়ী রোনালদিনহো এবং তাঁর ভাইকে আদালতের কাছে নিজেদের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে হবে। পাশাপাশি রোনালদিনহোকে ৯০ হাজার ডলার এবং রবার্তোকে ১ লাখ ১০ হাজার ডলার জরিমানা দিতে হবে। অবশ্য রবার্তোর প্যারাগুয়েতে ক্রিমিনাল রেকর্ড থাকবে। কিন্তু রোনালদিনহোর এমন কোনা রেকর্ড সে দেশে থাকবে না।
চুক্তি অনুসারে রোনালদিনহো যে কোনো সময় ব্রাজিল ছাড়তে পারবেন। তবে দেশের বাইরে তিনি কত দিন থাকবেন সেটা প্যারাগুয়ের কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। কিন্তু রবার্তো আগামী দুই বছর ব্রাজিল ছেড়ে কোথাও যেতে পারবে না। এখানেই পার পাচ্ছেন না রোনালদিনহো। এই দুই ভাইকে আগামী দুই বছর ব্রাজিলের ফেডারেল বিচারকের সামনে তিন মাস পর পর হাজিরা দিতে হবে।
দুজনের আইনজীবী সার্জিও কুইরোজ জানিয়েছেন, ‘সরকারি কৌঁসুলির দপ্তর থেকে এটা নিশ্চিত করা হয়েছে যে তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক বা অন্য কোনো ধরনের অভিযোগ নেই। আমরা শুরু থেকেই যেটা বলে আসছিলাম, দীর্ঘ পাঁচ মাস পর সেটাই তাঁরা মেনে নিয়েছেন। আসলে তাঁরা দুজনে নিজেদের অজান্তে ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করেছেন।’
মার্চে আটক হওয়ার পর ৮ লাখ ডলারের বিনিময়ে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন রোনালদিনহো এবং তাঁর ভাই রবার্তো। কিন্তু কারাগারের বদলে একটা বিলাসবহুল হোটেলে বন্দী জীবন কাটাচ্ছিলেন এত দিন। গত বছর পরিবেশ সম্পর্কিত অপরাধের কারণে রোনালদিনহোর পাসপোর্ট জব্দ করে ব্রাজিল সরকার। সেই পাসপোর্ট অবশ্য সেপ্টেম্বরেই ফিরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু ব্রাজিলের আসল পাসপোর্ট রেখে কেন জাল পাসপোর্ট নিয়ে প্যারাগুয়ে গিয়েছিলেন রোনালদিনহো, তা একটা রহস্যই বটে!