করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সহজ তিনটি উপায়

আবার অন্যদিকে কাগজে কলমে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই ছুটি কেন? আর এই খুলে দেওয়াই বা কেন? আমরা কি আত্মহনন করতে চাইছি? আমাদের কি মরণের উৎসব হচ্ছে? আমাদের কি মরার সাধ জেগেছে?
বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে জীবন এবং জীবিকার সংগ্রাম। জীবন এবং জীবিকার সংগ্রাম করার জন্য অর্থনীতিকে সচল রাখতে হবে। অর্থনীতিকে সচল না রাখলে দুর্ভিক্ষে নাকি বহু মানুষ মারা যাবে। কিন্তু দুর্ভিক্ষ হবার আগেই যদি মানুষ মৃত্যুবরণ করে, তাহলে কী হবে?
যারা সবকিছু খুলে দেওয়ার পক্ষে ওকালতি করছেন, তাদের মূল বক্তব্য হচ্ছে যে, বাংলাদেশে করোনায় তেমন একটা মৃত্যুর ঘটনা ঘটবে না। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ২৬৯ জন মারা গেছে। এই মৃত্যুতে কিবা আসে যায়!
অথচ প্রত্যেকটা মৃত্যুই দুর্ভাগ্যজনক, প্রত্যেকটা মৃত্যুই হৃদয়বিদারক এবং প্রত্যেকটা মৃত্যুই অপূরণীয় ক্ষতি বহন করে নিয়ে আসে। কিন্তু বাংলাদেশে এ কথা কে শুনবে? কে বলবে?
আমরা কম মৃত্যু নয়ে আত্মপ্রসাদ লাভ করছি। বলা হচ্ছে যে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি ইউরোপ আমেরিকার চেয়ে ভালো। কোন দিক দিয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি ইউরোপ আমেরিকার চেয়ে ভালো তা কেউ বলতে পারেনি।
বাংলাদেশে এখন শতকরা প্রায় ১৫ শতাংশ হারে প্রতিদিন রোগী পাওয়া যাচ্ছে। আজ ৭ হাজার ৯০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১শ’ ৬২ জন রোগী পাওয়া গেছে। অর্থাৎ ১৪.৭০ হারে (প্রায় ১৫ ভাগ) রোগী শনাক্ত হয়েছে। আমাদের গড় সংক্রমণের যে শতকরা হার সেটিও বেড়ে যাচ্ছে। এখন প্রায় ১২ শতাংশ হারে আমাদের সংক্রমণ হচ্ছে।
অর্থাৎ ১০০ জনের পরীক্ষা করলে ১২ জন পাওয়া যাচ্ছে। সেটিও গত কয়েকদিন ধরে ১৪ শতাংশের উপর দিয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ প্রতি ১০০ জন মানুষের মধ্যে ১৪ জন এখন সংক্রমিত হচ্ছে। এই হার যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে সারাদেশের কী অবস্থা হবে, সেটি ভাবার মতো সুযোগ কিকারও আছে?
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে যে, আমাদের চিকিৎসার সীমাবদ্ধতা এবং অপ্রতুলতাটা বুঝতে হবে। আমাদের রোগী যখন বাড়বে, তখন মৃত্যুর এই আত্মতুষ্টির পরিসংখ্যান থাকবে না। মৃত্যুর সংখ্যা হু হু করে বেড়ে যাবে। বেড়ে যাওয়ার কারণ হলো, বাংলাদেশে এখন মোট শনাক্তেরসংখ্যা ১৭ হাজার ৮২২ জন। এর মধ্যে থেকে আমাদের ৩ হাজার ৩৬১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অর্থাৎ প্রায় ১৪ হাজার রোগী আমাদের অসুস্থ রয়েছেন। এই হার যখন বাড়তে থাকবে, যখন আমাদের রোগীর সংখ্যা ২০ হাজার স্পর্শ করবে তখন আমাদের করোনার চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে। কারণ কোনোভাবেই ২০ হাজার মানুষকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই।
২০ হাজার তো দূরের কথা ১০ হাজার রোগীকেও চিকিৎসা দেওয়ার বাস্তব অবস্থা বাংলাদেশের নেই। এই ১০ হাজার রোগীর মধ্যে যদি আবার ১ থেকে ২ হাজার মানুষ মুমূর্ষু অবস্থায় চলে যায় যাদের আইসিইউ দরকার, যাদের ভেন্টিলেশন দরকার; এরকম পরিস্থিতি যদি হয়, সেক্ষেত্রে আমরা কী করবো? তখন মৃত্যুসংখ্যার যে আত্মতুষ্টি, তা উবে যাবে।
আমরা যদি দেখি, যে দেশগুলোতে করোনার তাণ্ডব ছড়িয়ে গেছে, যেমন- ইতালি, স্পেন; এই দেশগুলোতে হঠাৎ করে লাফিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। আমাদের কি সেই অবস্থার অপেক্ষা করতে হবে? করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সহজ তিনটি উপায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলে দিয়েছে।
প্রথম উপায় হলো- পরীক্ষা, পরীক্ষা, পরীক্ষা।
দ্বিতীয় উপায় হলো- সামাজিক দূরত্ব, সামাজিক দূরত্ব, সামাজিক দূরত্ব।
তৃতীয় উপায় হলো- সামাজিক দূরত্বকে বলবৎ করার জন্য লকডাউন, লকডাউন এবং লকডাউন।
আমরা শুরু করেছিলাম ভালো। আমরা সাধারণ ছুটি দিয়েছিলাম। কিন্তু করোনা যখন প্রথম সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছতে শুরু করলো, তখনই আমরা লকডাউন শিথিল করে নিলাম। আমরা সবাইকে বাইরে আমন্ত্রণ জানালাম। মানুষকে শপিং করতে বললাম। কারখানা খুলে দিলাম। অফিস খুলে দিলাম। যার ফলে সামাজিক সংক্রমণ এখন টগবগিয়ে উঠছে। সামাজিক সংক্রমণের প্লাবন শুরু হচ্ছে। সেই প্লাবন সামাল দেওয়ার সাধ্য কি আমাদের আছে? নাকি আমাদের মরিবার সাধ জেগেছে?
- হাসপাতালে হামলায় নিহত অন্তত ৭,আবারও গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা
- ১০ দিনের ব্যবধানে আবারও কমলো সোনার দাম
- আজকে ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট ও ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম জেনেনিন
- কক্সবাজারের ১৪ সেকেন্ডের ভিডিওটি মুহূর্তেই ভাইরাল, দেশজুড়ে তোলপাড়
- চরম উত্তেজনায় শেষ হলো বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার ম্যাচ,জেনেনিন ফলাফল
- সিনেমাকেও হার মানিয়েছে এক ত্রিভুজ প্রেমের করুণ পরিণতি
- বাংলাদেশে স্বর্ণ কেনার সঠিক সময়
- ধোনির এক কথায় মুগ্ধ গোটা ক্রিকেট বিশ্ব
- যতোক্ষণ ইচ্ছা ততোক্ষণ সহবাস করার সঠিক উপায় জেনেনিন, চিকিৎসা বিজ্ঞান যা বলছে
- সৌদিতে ৩ দিন সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ
- যৌ,ন শক্তি বাড়ানোর ওষুধ খাচ্ছেন, জেনেনিন চিকিৎসক কি বলছে
- বেড়েছে সিঙ্গাপুরের ডলার রেট, জেনেনিন আজকের রেট
- কোরবানির ঈদের তারিখ জানাল কুয়েত
- বন্ধ হচ্ছে ময়ূখ রঞ্জনের চেঁচামেচি ও ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে মিথ্যাচার
- কবরের পরে সবচেয়ে কষ্টের ঠিকানা হয়তো বিমানবন্দর