অনেকেই যৌন দুর্বলতা বা অক্ষমতা দূর করতে ওষুধ সেবনের দিকে ঝুঁকছেন। কিন্তু এ বিষয়ে না জেনে-বুঝে ওষুধ গ্রহণ করা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ডা. মো. রায়সুল ইসলাম পারাগ। ইউটিউবে প্রকাশিত এক বক্তব্যে তিনি বলেন, যৌন উদ্দীপনা বৃদ্ধির জন্য সিলডেনাফিল, টাডালাফিল, অ্যাভানাফিল ও ভারডেনাফিল জাতীয় ওষুধ ব্যবহৃত হয়। এসব ওষুধ মূলত রক্তপ্রবাহ বাড়িয়ে সাময়িকভাবে লিঙ্গের দৃঢ়তা (ইরেকশন) বৃদ্ধি করে।

তবে এসব ওষুধ কেবল তখনই কাজ করে যখন সামান্য উত্তেজনা বা দৃঢ়তা আগে থেকেই থাকে। ওষুধ গ্রহণ করলেই লিঙ্গ শক্ত হয়ে যাবে — এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা। চিকিৎসক জানান, সাধারণত ওষুধ সেবনে বড় ধরনের ক্ষতি হয় না, তবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে মাথা ব্যথা, পিঠে ব্যথা কিংবা ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। তবে যাদের পূর্ব থেকে হৃদরোগ আছে, তাদের এসব ওষুধ একেবারেই গ্রহণ করা উচিত নয়।

আরেকটি সাধারণ ভুল ধারণা হলো, এ ধরনের ওষুধ একবার খেলে তা আজীবনের জন্য অভ্যাসে পরিণত হয়। ডা. পারাগ বলেন, এটি শারীরিক নয়, বরং মানসিক নির্ভরতা। সাময়িকভাবে সহায়ক হিসেবে ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে মূল কারণ যেমন ডায়াবেটিস, স্নায়ুজনিত সমস্যা, মানসিক চাপ ইত্যাদির চিকিৎসাই স্থায়ী সমাধান।

চিকিৎসকের ভাষ্য অনুযায়ী, ওষুধ খেয়েও যদি যৌনমিলন না হয়, তাতেও দুশ্চিন্তার কিছু নেই। ওষুধ ধীরে ধীরে শরীর থেকে প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যায় এবং তা শরীরে জমে থাকে না।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো— এসব ওষুধ কখনোই নিজে থেকে খাওয়া উচিত নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ গ্রহণ করলে তা মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ডেকে আনতে পারে বলে সতর্ক করেন ডা. পারাগ। তিনি সবার সুস্থতা কামনা করে বলেন, যৌন স্বাস্থ্য নিয়ে ভুল ধারণা দূর করা জরুরি, এবং সঠিক চিকিৎসাই হলো নিরাপদ সমাধান।

আপনি কি এই সংবাদটির শর্ট ভিডিও স্ক্রিপ্টও চান?