বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, অবরুদ্ধকালীন সময়ে জেলার সড়ক, নৌ ও আকাশ পথে জনসাধারণের আগমন-বর্হিগমন নিষিদ্ধ করা হল। জেলার অভ্যান্তরে আন্ত:উপজেলা যাতায়াতের ক্ষেত্রেও একইরূপ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। সকল ধরনের গণপরিবহন, জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হল। তবে জরুরী পরিসেবা, চিকিৎসা সেবা, কৃষি পন্য, খাদ্য সরবরাহ ও সংগ্রহ, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ফায়ারসার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ব্যাকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, ঔষধ শিল্প সংশ্লিষ্ট যানবাহন, কর্মী ইত্যাদি সরকার কর্তৃক সময়ে ঘোষিত অন্যান জরুরি পরিসেবার আওতা বর্হিভূত থাকবে।

(১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে কার্যকর এ আদেশ পরর্বতী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম জানান, পটুয়াখালী থেকে এ পর্যন্ত ২৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে ২ জনের দেহে করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। যেহেতু পাশ্ববর্তী জেলার থেকে এই জেলার করোনা পরিস্থিতি ভালো। এই অবস্থান ধরে রাখতেই লকডাউন করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই সভায় উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী-১ আসনের সাংসদ এ্যাড. শাহজাহান মিয়া, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান মোহন, পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মইনুল হাসান পিপিএম, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম, পৌরমেয়র মহিউদ্দিন আহম্দে, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড, গোলাম সরোয়ার, লে. কর্নেল শাহারিয়া রিয়াজ, র‌্যাব কমান্ডার মো. রইছ উদ্দিনসহ জেলা কমিটির সদস্যগন।

জেলা প্রশাসক জানান, জেলায় ইতিমধ্যে ১লাখ ১৮হাজার ১৮০ লোককে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত খাদ্য সহায়তার তালিকায় আনা হয়েছে।