চলছে অভিযান :বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া শত শত কোটি টাকা উদ্ধারে ১৭ স্থানে অভিযান

সম্প্রতি ভারতীয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার হওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থের একটি চাঞ্চল্যকর তদন্ত শুরু করেছে। অভিযানের উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে পাচার হওয়া শত শত কোটি টাকা শনাক্ত ও উদ্ধার করা। সোমবার সকালে, পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতজুড়ে একযোগে অভিযান পরিচালনা করে ইডি। অভিযানে মোট ১৭টি স্থানে তল্লাশি চালানো হয়, যার মধ্যে ১২টি পশ্চিমবঙ্গে, বিশেষত মধ্যমগ্রাম ও বারাসাতে ছিল।
এছাড়া, ৫ আগস্ট বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের বেশ কিছু নেতা-কর্মী ক্ষমতাচ্যুত হন এবং তারা ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে পালিয়ে আসেন। এসব নেতা-কর্মীরা বৈধ এবং অবৈধ উপায়ে সেখানে আশ্রয় নেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন বিলাসী জীবনযাপন দেখানো হয়েছে। তারা বাংলাদেশে আগেই গড়ে তোলা সম্পদ এবং হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করা টাকা কাজে লাগিয়ে ভারতে আর্থিকভাবে সচ্ছল অবস্থানে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ইডি’র অভিযানের অন্যতম মূল লক্ষ্য হলো পশ্চিমবঙ্গের মধ্যমগ্রাম এলাকার বাসিন্দা পিংকি বসু। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি সম্প্রতি বিপুল পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ থেকে ভারতে হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করেছেন। এই তদন্তটি ঝাড়খণ্ডের একটি মামলার সূত্র ধরে শুরু হয়, এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে তার বাসায় অভিযান চালানো হয়। মধ্যগ্রামে পিংকি বসুর তিনটি ফ্ল্যাট ও বারাসাতে দুটি ফ্ল্যাটসহ একটি বার ও রেস্তোরাঁয় তল্লাশি চালিয়ে আর্থিক দণ্ড এবং অন্যান্য সম্পদ উদ্ধার করার চেষ্টা করা হয়েছে।
এছাড়া, পিংকি বসু বাংলাদেশের এক সাবেক সংসদ সদস্য ও শিল্পপতির ঘনিষ্ঠ বান্ধবী বলে জানা গেছে। যদিও এখন পর্যন্ত ইডি ঠিক কত পরিমাণ অর্থ উদ্ধার করেছে তা নিশ্চিত করেনি, তবে ধারণা করা হচ্ছে যে উদ্ধার হওয়া অর্থ বাংলাদেশের ঐ শিল্পগোষ্ঠীর হতে পারে, এবং তা এখনও তদন্তাধীন।
পিংকি বসুর বিরুদ্ধে আরও একটি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে—তিনি বাংলাদেশ থেকে নারী পাচারের সঙ্গে জড়িত। এ নিয়ে তদন্তের কাজ চলমান রয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে হুন্ডির মাধ্যমে পাচার হওয়া অর্থের খোঁজে ইডি পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ এলাকার পেট্রাপোল সীমান্তে আরও একটি অভিযান চালিয়েছে। সেখানে এক ট্যাক্সি ড্রাইভার পিন্টু হালদার এবং সীমান্ত ব্যবসায়ী পার্থ সাহার বাড়িতে তল্লাশি করা হয়। এসব বাড়ি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে ঘিরে রাখা হয়, এবং অভিযুক্তদের সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।
এই তদন্তের মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার হওয়া অবৈধ অর্থের উৎস খুঁজে বের করা এবং এসব টাকা কোথায় এবং কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে তা অনুসন্ধান করা। ইডি জানতে চাচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে আসা রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা কিভাবে অর্থের অভাব ছাড়াই সচ্ছল জীবনযাপন করছেন, এবং তাদের পাচারকৃত অর্থের আসল উৎস কী।
এটি একটি বৃহৎ অর্থপাচার চক্রের অংশ হতে পারে, এবং ইডি এই চক্রের পেছনে থাকা সবাইকে চিহ্নিত করার জন্য তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এসব পাচারকৃত অর্থ কীভাবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পাচার হচ্ছে এবং এর সাথে কোন রাজনৈতিক বা অপরাধমূলক চক্র জড়িত রয়েছে, তা তদন্তের মাধ্যমে বের হয়ে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
- তরুণ অলরাউন্ডারের ব্যাটিং ঝড় দেখলো ক্রিকেটবিশ্ব
- বুক ধড়ফড়: হৃদয়ের অস্বস্তি নাকি বিপদের সংকেত জেনেনিন কারণ, লক্ষণ ও মুক্তির উপায়
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: ৮ গোলে শেষ ৯০ মিনিটের খেলা
- এক ধাক্কায় সোনার ভরিতে কমলো ১৫৭৫ টাকা
- মেয়েদেরকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে পুরুষের যে গুণটি
- বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২৬০ জনের,জানা গেলো আসল কারন
- দাঁড়ালে মাথা ঘুরে ও চোখে ঝাপসা দেখেন, তাহলে সাবধান
- একলাফে বেড়ে গেলো সিঙ্গাপুরের ডলার রেট, জেনেনিন আজকের রেট
- টস হেরে ব্যাটিংয়ে সাকিবের দল, দেখেনিন একাদশ
- পোলার্ড ও পুরানের ব্যাটিং দেখলো ক্রিকেটবিশ্ব
- সাকিবের রাজকীয় প্রত্যাবর্তন
- শাহজালালে বিমান বন্দরে নতুন আতঙ্ক, বিমানে শেষ হলো তল্লাশি
- দিনের শুরুতেই খালি পেটে পানি পান, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
- জামায়াত আমির স্ট্যাটাসে জানালেন ‘ভাষা হারিয়ে ফেলেছি’
- কমলো আজকের মালয়েশিয়ান রিংগিত রেট (১১ জুলাই ২০২৫)