নির্বাচনের জন্য কি সিস্টেম পরিবর্তন করতেই হবে,যে মন্তব্য করলেন নির্বাচন কমিশনার

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) মোহাম্মদ আবু হেনা বলেছেন, নির্বাচন ব্যবস্থার বর্তমান সিস্টেম পরিবর্তন না করেই কার্যকর নির্বাচন করা সম্ভব। তিনি মনে করেন, নির্বাচন কমিশনে যোগ্য সিইসি ও কমিশনার থাকলে এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতি উন্নত হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।
সোমবার (১১ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে সাবেক সিইসি এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, "যত রিফর্মই করা হোক না কেন, নির্বাচনে সফলতার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যোগ্য কমিশন। আমি মনে করি, আমাদের দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা বর্তমান অবস্থায় কার্যকর হতে পারে, নতুন সিস্টেমের কোনো প্রয়োজন নেই।"
**রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নয়নও জরুরি**
বৈঠকে সাবেক সিইসি আরো বলেন, "অন্য দেশে যেখানে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (প্রোপোরশনাল রেপ্রেজেন্টেশন) ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে খুব ভালো ফলও হচ্ছে না। আমাদের সিস্টেম, যা জনগণের কাছে পরীক্ষিত, সেটাকেই কার্যকর করা উচিত। তবে, নির্বাচন কমিশনে যোগ্য ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি অপরিহার্য।"
এছাড়া, তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির উন্নয়নেও গুরুত্ব দেন। তার মতে, সুষ্ঠু নির্বাচন তখনই সম্ভব যখন প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু হবে। "প্রার্থী নির্বাচন উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া নয়, বরং স্থানীয় পর্যায়ে ভোটের মাধ্যমে সঠিক ও যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন। এটি রাজনৈতিক দলগুলোকে বাস্তবায়ন করতে হবে, এবং তবেই দেশের কল্যাণ হবে,"—যোগ করেন তিনি।
**আইন প্রয়োগ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যোগ্য নেতৃত্বের প্রয়োজন**
তিনি আরও বলেন, "আইন যতই ভালো হোক না কেন, যদি সঠিকভাবে তার প্রয়োগ না হয়, তবে সুফল পাওয়া যাবে না। তাই আইন সংশোধনের পাশাপাশি, যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি নির্বাচন কমিশনে যোগ্য মানুষ না থাকেন, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না।"
**নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের অগ্রগতি**
এদিকে, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বৈঠক শেষে বলেন, "এটি আমাদের জন্য একটি বড় উৎসাহের বিষয় যে, সাবেক সিইসি বলেছেন আমরা সঠিক পথে আছি। আমরা এখনো আইন-কানুন গভীরভাবে পর্যালোচনা করছি এবং কিছু দল ও গণমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনাও করবো।"
তিনি আরো জানান, বিভিন্ন মতামত এসেছে এবং কিছু ক্ষেত্রে সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। "আমরা সংশ্লিষ্ট কমিশনের সঙ্গেও বসে এই বিষয়ে আলোচনায় এগিয়ে যাব,"— বলেন ড. মজুমদার।
সাবেক সিইসি মোহাম্মদ আবু হেনার অভিজ্ঞতার আলোকে, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের ক্ষেত্রে তাঁর দেওয়া পরামর্শ নির্বাচন কমিশনের কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়ার উন্নয়ন ছাড়া দেশে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব নয়, এমনটি তিনি মনে করেন।
- তরুণ অলরাউন্ডারের ব্যাটিং ঝড় দেখলো ক্রিকেটবিশ্ব
- বুক ধড়ফড়: হৃদয়ের অস্বস্তি নাকি বিপদের সংকেত জেনেনিন কারণ, লক্ষণ ও মুক্তির উপায়
- বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা: ৮ গোলে শেষ ৯০ মিনিটের খেলা
- এক ধাক্কায় সোনার ভরিতে কমলো ১৫৭৫ টাকা
- মেয়েদেরকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে পুরুষের যে গুণটি
- বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২৬০ জনের,জানা গেলো আসল কারন
- দাঁড়ালে মাথা ঘুরে ও চোখে ঝাপসা দেখেন, তাহলে সাবধান
- একলাফে বেড়ে গেলো সিঙ্গাপুরের ডলার রেট, জেনেনিন আজকের রেট
- টস হেরে ব্যাটিংয়ে সাকিবের দল, দেখেনিন একাদশ
- সাকিবের রাজকীয় প্রত্যাবর্তন
- পোলার্ড ও পুরানের ব্যাটিং দেখলো ক্রিকেটবিশ্ব
- শাহজালালে বিমান বন্দরে নতুন আতঙ্ক, বিমানে শেষ হলো তল্লাশি
- কমলো আজকের মালয়েশিয়ান রিংগিত রেট (১১ জুলাই ২০২৫)
- জামায়াত আমির স্ট্যাটাসে জানালেন ‘ভাষা হারিয়ে ফেলেছি’
- চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নিয়মেই ঝুঁকিতে নিকো গনজালেজ