২০২৩ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হবেন যে দল, জ্যোতিষীর অবিশ্বাস্য ভবিষ্যদ্বাণী

আগামী ০৫ অক্টোবার থেকে শুরু হসচ্ছে বিশ্বকাপ। ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা শুরু হতে আর মাত্র দুই দিন বাকি। ১৯৮৭, ১৯৯৬ এবং ২০১১-এর পর চতুর্থবারের মতো সামনে থেকে বিশ্বকাপ উপভোগ করার সুযোগ পাবে ভারতীয়রা। তবে এবারের টুর্নামেন্টটি আগের তিনবারের চেয়ে বেশি 'স্পেশাল', কারণ এই প্রথম পুরো টুর্নামেন্ট ভারতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৯৭৯ সালের পর এই প্রথম কোনো দেশ পুরো বিশ্বকাপের আয়োজন করল।
এশিয়ায় এটি ভারতের প্রথম অর্জন। বিশ্বকাপকে ঘিরে দেশের দশটি শহর সেজেছে। উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানের জন্য আহমেদাবাদকে বেছে নেওয়া হয়েছিল। সেমিফাইনাল ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে মুম্বাই ও কলকাতার দুটি ঐতিহাসিক স্থানে। দিল্লি, ব্যাঙ্গালোর, পুনে, চেন্নাই, ধর্মশালা, হায়দ্রাবাদ এবং লখনউও আয়োজক শহরগুলির মধ্যে রয়েছে।
যেহেতু দেশের মাটিতে বসতে চলেছে বিশ্বকাপের আসর, সেহেতু বাড়তি উন্মাদনা রয়েছে ভারতীয় শিবিরকে ঘিরে। ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পর থেকে আইসিসি আয়োজিত কোনো প্রতিযোগিতায় সাফল্য নেই। শেষবার বিশ্বকাপ জয় ২০১১ সালে, এই ভারতের মাটিতেই। তারপর ২০১৫ এবং ২০১৯ বিশ্বকাপে তীরে এসে তরী ডুবেছে। সেমিফাইনালে থেমেছে ভারতের জয়যাত্রা।
এছাড়াও টি-২০ বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হোক বা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশপ, নানা সময় ফাইনাল বা সেমিফাইনালে পা রাখলেও গত এক দশকে ট্রফির সংখ্যা আটকে রয়েছে শূন্যতেই। এবার ঘরের মাঠের সুবিধা কাজে লাগিয়ে ট্রফি জিতুক ভারত, চাইছে দেশের ১৪০ কোটি জনতা। তাঁরা অনেকটা আশ্বস্ত হতে পারেন গ্রিনস্টোন লোবোর কথা শুনে। স্বনামধন্য জ্যোতিষী গ্রিনস্টোন লোবো এবার সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দেখছেন টিম ইন্ডিয়াকেই।
লিওনেল মেসি, ফুটবলবিশ্বের জনপ্রিয়তম তারকাদের মধ্যে অবশ্যই একজন। অনেক বিশেষজ্ঞই তাঁকে সর্বকালের সেরা ফুটবলার বলে মনে করেন। অনেকেই বলেছেন পূর্বসূরি পেলে বা মারাদোনাকে ছাপিয়ে বর্তমানে মেসি’ই ফুটবলবিশ্বের এক নম্বর। এহেন মেসি’র আন্তর্জাতিক কেরিয়ার কিন্তু গিয়েছে বেশ চড়াই উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে।
তরুণ বয়সে অনুর্দ্ধ-২০ বিশ্বকাপ জিতেছিলেন, জিতেছিলেন ২০০৮-এর অলিম্পিক সোনা’ও। এরপর লম্বা সময় বেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছিলো তাঁকে। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে হার, ২০১৫ এবং ২০১৬-কোপা আমেরিকা ফাইনালে হারের পর ভেঙে পড়েছিলেন মেসি। একটা সময় নিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অবসর’ও। কিন্তু পরে ফিরে আসেন মাঠে। শাপমুক্তি ঘটাতে মেসি’র লেগেছিলো আরও কয়েকটা বছর। শেষমেশ ২০২১ সালের কোপা আমেরিকায় ব্রাজিল’কে হারিয়ে ট্রফি জেতে মেসির আর্জেন্তিনা।
২০২১-এর কোপা জয়ের পর থেকে শুরু হয় আর্জেন্তিনার স্বপ্নের দৌড়। ২০২২ সালে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালির বিরুদ্ধে ফিনালিসিমা ট্রফির ফাইনালে ৩-০ জেতে তারা। নভেম্বরে কাতারে ‘ফেভারিট’ হিসেবে বিশ্বকাপে পা রেখেছিলো তারা। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই অনামী সৌদি আরবের বিরুদ্ধে হেরে বিদায়ের আশঙ্কার মুখে পড়তে হয়েছিলো লা আলবিসেলেস্তে’কে। প্রথম ম্যাচের হারের পর অবশ্য ঘুরে দাঁড়ান মেসি-ডি মারিরা’রা। মেক্সিকো, পোল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস, ক্রোয়েশিয়া এবং ফ্রান্সের বিপক্ষের একের পর এক জয় ছিনিয়ে নিয়ে জেতেন ট্রফি। ১৯৮৬-র পর ফের বিশ্বকাপ ফেরে আর্জেন্তিনায়। কেরিয়ারের সেরা খেতাবটি যে ২০২২-এ মেসি জিততে চলেছিলেন তা ২০২১-এর কোপা আমেরিকার আগেই ভবিষ্যদ্বাণীতে জানিয়ে দিয়েছিলেন জ্যোতিষী গ্রিনস্টোন লোবো।
কেবলমাত্র মেসি’র বিশ্বকাপ জয় নয়, গত তিনটি ক্রিকেট বিশ্বকাপের জয়ী দলের নাম’ও প্রতিযোগিতা শুরুর আগেই সঠিক ভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের এই জ্যোতিষী। ২০১১ সালে তাঁর বাজি ছিলো ভারত, ২০১৫ এবং ১৯-এ ছিলো যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ড। টানা তিনবার মিলেছে তাঁর কথা, তাই চতুর্থবার তিনি ফের ভারতকে ‘ফেভারিট’ ঘোষণা করায় নড়েচড়ে বসেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এক সাক্ষাৎকারে নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে যুক্তিও সাজিয়েছেন লোবো। তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি সফল ব্যক্তিরা একটা নির্দিষ্ট সময়েই জন্ম নেন। ১৯৮১তে জন্ম নিয়েছিলেন দুইজন বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক। ২০১১ তে জিতেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি, ২০১৫তে মাইকেল ক্লার্ক।”
তিনি আরও বলেন, “আমি অন্যান্য খেলা থেকে সূত্র খুঁজি এবং গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থানের সঙ্গে মিলিয়ে দেখি। ১৯৮৬-তে জন্ম নেওয়া হুগো লরিস ২০১৮ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ জিতেছিলো। ১৯৮১-তে জন্ম নেওয়া রজার ফেডেরার’কে সরিয়ে সফলতম টেনিস খেলোয়াড় হয়েছিলেন ১৯৮৬-তে জন্ম নেওয়া রাফায়েল নাদাল, ১৯৮৬তে জন্ম নেওয়া ব্যক্তিত্বদের ইউরেনাস এবং নেপচুন খুব শক্তিশালী জায়গায় রয়েছে যথাক্রমে ২৫ এবং ১২ ডিগ্রী অবস্থানে। ১৯৮৬তে জন্ম নেওয়া তারকাদের সরিয়ে পাদপ্রদীপের আলোয় আসেন ১৯৮৭তে জন্ম নেওয়া তারকারা। তেমনটাই দেখা গিয়েছিলো নাদালের বদলে জোকোভিচ টেনিসে সেরা হওয়ায়, ২০২২-এর ফুটবল বিশ্বকাপ’ও ১৯৮৭তে জন্ম নেওয়া লিওনেল মেসিই জিতেছে।”
২০২৩-এর ক্রিকেট বিশ্বকাপ নিয়ে বলতে গিয়ে লোবো বলেন, “হ্যাঁ, আমার মতে এবারের বিশ্বকাপ জয়ের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশী এগিয়ে রয়েছেন ১৯৮৭তে জন্মানো রোহিত শর্মাই। বেশ ভালো সম্ভাবনা রয়েছে, কারণ অন্য কোনো অধিনায়ক ১৯৮৭তে জন্মান নি। তবে আমাদের মাথায় রাখতে হবে ১৯৯০ তে জন্মানো অধিনায়কদের। ইংল্যান্ডের জস বাটলার, দক্ষিণ আফ্রিকার তেম্বা বাভুমা এবং পাকিস্তানের বাবর আজম, যাঁদের আসল জন্মদিন সরকারী পরিচয়পত্রে থাকা তারিখের আগে-পরে হতে পারে। আমি অস্ট্রেলিয়াকে এই সম্ভাব্য তালিকায় রাখছিই না। কারণ তাদের অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের জন্ম ১৯৯৩ সালে। একই কারণে দৌড়ে নেই নিউজিল্যান্ডও।”
- "লঞ্চে দুই তরুণীকে পেটানো সেই যুবক থানায় হাজির হয়ে যা বলল, শুনে চমকে গেল সবাই"
- আলোচিত সেই বাবা-মেয়েকে নিয়ে যা বলছেন কেয়ারটেকার, সামনে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
- সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর, যে প্রজ্ঞাপন জারি করল অর্থ মন্ত্রণালয়
- এবার যে বার্তা দিলেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান
- আ:লীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় যা বললেন : জামায়াত আমির
- দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে নতুন ভাইরাস, কিডনি পর্যন্ত নষ্ট হতে পারে
- রেশমা উদ্ধারের নাটক কেন সাজানো হয়েছিলো
- নতুন দু:সংবাদ জানালো আবহাওয়া অফিস
- সৌদিতে প্রবাসীসহ শতাধিক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
- আজ সন্ধ্যার আগেই ঝড় হতে পারে যে ৬ জেলায়
- যা কেউ ভাবেনি, সেটাই করলেন তামিম ইকবাল
- হঠাৎ পাল্টে গেলো ডিমের দাম
- চলছে উপদেষ্টাদের বৈঠক; ওদিকে আ. লীগ নিষিদ্ধে অনড় ফ্যাসিবাদবিরোধীরা
- দেশের বাজারে ১৮, ২১ ও ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার নতুন মূল্য তালিকা প্রকাশ
- শেষ পর্যন্ত অবসরের সিদ্ধান্ত বিরাট কোহলির