এতো নাটক করেও পড়লো ধরা, উন্মোচিত ভয়াবহ সত্য

“পাপ বাপকেও ছাড়ে না”—এই প্রবাদের প্রমাণ মিলেছে আবারও। আট বছর আগে চট্টগ্রামের রাউজানে প্রবাসী স্বামী নাজিম উদ্দিনের খুনের রহস্যে নতুন মোড় এনে দিয়েছে সিআইডির তদন্ত। যে মৃত্যুকে বছরের পর বছর ধোঁয়াশায় ঢাকা ছিল, সেই ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের হঠাৎ করেই বেরিয়ে এসেছে এক চাঞ্চল্যকর সত্য—স্বামীকে খুন করেছিলেন স্ত্রী নিজেই। শুধু তাই নয়, হত্যার মূল পেছনে ছিল তার দেবরের সঙ্গে গোপন সম্পর্ক।
ঘটনার সূচনা: নিখোঁজ নাটক ও মৃতদেহ গুম২০১৭ সালের ১৯ জুলাই, চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার চিকদাইর ইউনিয়নে বর্বরোচিতভাবে খুন হন প্রবাসফেরত নাজিম উদ্দিন। খুনের পর, মৃতদেহ লুকিয়ে রাখা হয় বাড়ির পাশের একটি মুরগির খোপে। পচনরোধে ব্যবহার করা হয় পারফিউম, পরে মরদেহটি প্যাকেটজাত করে ফেলা হয় ১০০ গজ দূরের একটি পুকুরে। দুই মাস পর যখন মরদেহ পানিতে ভেসে ওঠে, স্থানীয়রা তা কুকুরের লাশ ভেবে গর্তে ফেলে দেয়।
স্ত্রীর নাটকীয় আচরণ ও প্রতারণানাজিমের স্ত্রী নাসিমা আক্তার শুরু থেকেই সকলকে বুঝিয়ে দেন, তার স্বামী বিদেশে চলে গেছেন। এমনকি স্বামী নিখোঁজের নাটক সাজিয়ে থানায় একটি জিডিও করেন। গ্রামে ছড়িয়ে দেন যে, নাজিম বিদেশে নতুন করে পাড়ি জমিয়েছেন। অথচ সেই সময়েই তার মরদেহ ছিল নিকটবর্তী পুকুরে, গোপনে গুম করা।
রহস্য উদঘাটন: কাকের ঠোকর ও ফরেনসিক রিপোর্টে ধরা পড়ে কঙ্কালমরদেহ গুমের দুই মাস পর, একটি কাক পচা হাড়ে ঠোকর দিতে থাকে। এরপর স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। প্রথমে কুকুর ভেবে এড়িয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু ফরেনসিক রিপোর্টে ধরা পড়ে—এটি মানুষের দেহাবশেষ। এরপরই মামলা নতুন দিকে মোড় নেয়।
সিআইডির তদন্তে বেরিয়ে আসে চরম সত্যসাত বছর পর যখন মামলাটি সিআইডির হাতে যায়, তারা তদন্তে নেমে এক পর্যায়ে খুঁজে পায় ঘটনার মূল সূত্র—স্ত্রী নাসিমা আক্তারের সঙ্গে তার দেবরের অবৈধ সম্পর্ক। প্রবাসে থাকা অবস্থায় নাজিম বিষয়টি জানতে পেরে দেশে ফিরে এলে শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। এরপর এক রাতে নাসিমা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত চালিয়ে, শেষ পর্যন্ত সিআইডি নাসিমাকে গ্রেফতার করে এবং তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
সিআইডির ভাষ্যমতে নাসিমা: ঠান্ডা মাথার ভয়ংকর খুনিসিআইডি কর্মকর্তারা জানান, তদন্তে নাসিমার সহিংসতা ও নির্দয় পরিকল্পনা দেখে তারা চমকে যান। তিনি খুব ঠান্ডা মাথায় পুরো হত্যাকাণ্ডটি সংগঠিত করেন এবং আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও প্রশাসনকে বছরের পর বছর ধোঁকা দিয়ে যান।
সমাপ্তি নয়, বরং নতুন প্রশ্নের শুরুএই চাঞ্চল্যকর ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে—এমন অপরাধ এত বছর ধরা পড়লো না কেন? সমাজের ভেতরে থাকা এই নৈতিক ও পারিবারিক অবক্ষয়ের দায় কার? তদন্তকারী সংস্থা, স্থানীয় প্রশাসন না কি সমাজের নীরব দর্শকরা?
এই হত্যাকাণ্ড আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়—গৃহের ভেতরকার অপরাধ সবচেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর, কারণ তা নীরবে ঘটে, দীর্ঘসময় ধরা পড়ে না, এবং অনেক সময় মৃতের জন্য ন্যায়বিচারও মেলে না।
- বিসিবির বড় চমক, এশিয়া কাপে বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা
- ‘ক্ষমতা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’—ড. ইউনূস ঘোষণা
- এশিয়া কাপ ২০২৫: বাংলাদেশের সম্ভাব্য ১৫ সদস্যের দলে রয়েছে চমক
- বাংলাদেশের ম্যাচ সহ টিভিতে আজকের খেলার সময়সূচি
- শেষ সময় ২৩ আগস্ট, বন্ধ হয়ে যাবে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন
- শক্ত অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা, সেনাপ্রধানের কড়া বার্তা
- গোলাম মাওলা রনির মুখোশ খুললেন ফারজানা
- সকালে পাকা কলা খাওয়ার ৫ সতর্কতা, না মানলে হতে পারে ক্ষতি
- মালয়েশিয়া প্রবাসে নতুন যুগ: বিনা খরচে চাকরির সুযোগ, দালালদের দিন শেষ
- টাকার রেট: ওমানের ১ রিয়াল সমান বাংলাদেশের কত টাকা,জেনেনিন
- ট্রাইব্যুনালে এসে যা বললেন সাইদীর মামলার সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি
- দুপুরের মধ্যে ৭ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা
- প্রবাসীদের জন্য দারুন সুখবর : টিকিটে অর্ধেক ছাড় ঘোষণা করলো সৌদি এয়ারলাইন্স
- দেশে আজ কত দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ ও রুপা? জানুন সর্বশেষ দাম
- এই হলো টাইগার ক্রিকেটারদের অবস্থা, অস্ট্রেলিয়ার অ্যাকাডেমি দলগুলোর কাছে হেরেই বিদায়