স্থির করার ক্ষেত্রে দেশের অবস্থান প্রতিষ্ঠা করার। আবুধাবির কসর আল ওাতানে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে মন্ত্রিসভা সংক্রান্ত প্রস্তাবসমূহ এবং ফেডারেল প্রতিষ্ঠান এবং সরকারী কাউন্সিলের জন্য নতুন কাঠামো গ্রহণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল।

নতুন স্বাধীন মানবাধিকার কর্তৃপক্ষের অংশ হিসাবে সংযুক্ত আরব আমিরাত সমাজের দুর্বল জনসাধারণকে ক্ষমতায়নে লক্ষ্য অর্জনের লক্ষ্যে বিশ্বজুড়ে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে চায়। কর্তৃপক্ষকে তার কাজ সম্পাদনের জন্য

আর্থিক ও প্রশাসনিক স্বাধীনতা দেওয়া হবে।শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম বলেছেন, ” দেশের মহিলা, শিশু, শ্রমিক, প্রবীণ, দৃপ্রত্যয়ী এবং দুর্বলদের অধিকার রয়েছে যা আমাদের রক্ষা করা উচিত। মানবাধিকার সংগঠন দেশের অসহায় দুর্বল লোকদের রক্ষায় আমাদের দেশের প্রচেষ্টা এগিয়ে নিয়ে যাবে।”

মানবাধিকার সুরক্ষায় দেশের সক্রিয় ভূমিকা তুলে ধরে কর্তৃপক্ষ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক গৃহীত জাতীয় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানের প্যারিস নীতিমালা অনুসরণ করবে।বৈঠকের অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন এইচ এইচ, লেঃ জেনারেল শেখ সাইফ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, উপ প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, এবং এইচ এইচ। শেখ মনসুর বিন

জায়েদ আল নাহিয়ান, উপ প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি বিষয়ক মন্ত্রী। এসএমই কাউন্সিলের পুনর্গঠন এবং জাতীয় উদ্যোক্তা কাউন্সিল গঠনের মন্ত্রিসভা ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের উদ্যোগ কাউন্সিলকে পুনর্গঠন করার এবং জাতীয় উদ্যোক্তা কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার জন্য প্রস্তাবগুলি গৃহীত হয়েছিল, যার নেতৃত্বে উদ্যোক্তা ও এসএমই প্রতিমন্ত্রী হবে।

নতুন সিদ্ধান্তগুলি দেশের অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপকে জোর দেওয়া এবং এমন একটি পরিবেশ সরবরাহ করা যা উদ্ভাবনকে চালিত করে এবং প্রারম্ভিকাগুলির বিকাশকে উদ্দীপিত করে। শেখ মোহাম্মদ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম বলেছিলেন, “২০২০ আমাদের শিখিয়েছে যে আমাদের দেশ সুযোগ-সুবিধায় পূর্ণ এবং আমাদের যুবকরা সর্বোত্তমভাবে

প্রাপ্য এ দেশের কোন মানুষ কষ্টে থাকবে না আমরা তাদের সহযোগিতা করব “আমিরাত প্রতিযোগিতা পরিষদ পুনর্গঠন মন্ত্রিপরিষদ সরকারী সংস্থার সহযোগিতায় দেশের প্রতিযোগিতামূলক সম্পর্কিত নীতি, কৌশল এবং আইন সম্পর্কিত

পর্যালোচনা এবং প্রস্তাবের কাজ সম্পাদনের জন্য আমিরাত প্রতিযোগিতা কাউন্সিলের পুনর্গঠনকে অনুমোদন দিয়েছে। কাউন্সিল উদ্যোগ ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের তদারকি করবে, জাতীয় প্রতিযোগিতা মূল্যায়ন করবে এবং সরকারী ও বেসরকারী খাতের মধ্যে অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করবে।

শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম বলেছেন, “আমি আমিরাত প্রতিযোগিতা কাউন্সিলের পুনর্গঠনকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে নতুন বছর শুরু করার জন্য অনুমোদন দিয়েছি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিযোগিতা জোরদার করার পরিকল্পনা নিয়েছি। ২০২১ সালে পুনরুদ্ধারের বছর হবে এবং আমাদের সরকার প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করবে সীমাহীন.”

মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত এই কাউন্সিলের মধ্যে অর্থনীতির মন্ত্রী, স্বাস্থ্য ও প্রতিরোধমন্ত্রী, আর্থিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, জ্বালানি ও অবকাঠামো প্রতিমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, মানবসম্পদ ও এমিরিটাইজেশন মন্ত্রী অন্তর্ভুক্ত থাকবেন ,

বিচারপতি, সম্প্রদায় উন্নয়ন মন্ত্রী, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডিজিটাল অর্থনীতি ও রিমোট ওয়ার্ক অ্যাপ্লিকেশন প্রতিমন্ত্রী এবং সরকারী বিকাশ ও ভবিষ্যতের প্রতিমন্ত্রী, সংযুক্ত আরব আমিরাতের জুড়ে নির্বাহী অফিসের প্রধান এবং প্রতিনিধি দল ।

প্রত্নতাত্ত্বিক বিষয়ে ফেডারেল আইনের কার্যনির্বাহী প্রবিধান জারি করে শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম বলেছেন, “আমরা আমাদের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান সংরক্ষণ ও সুরক্ষার জন্য এবং খননকাজে দক্ষ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য নগর

পরিকল্পনা বিভাগের পূর্ণ প্রতিশ্রুতি সহ পুরাকীর্তিক ফেডারেল আইনের নির্বাহী বিধিমালা গ্রহণ করেছি। প্রত্নতত্ত্ব আমাদের প্রাচীনত্বগুলি আমাদের সমৃদ্ধ ইতিহাসকে জাগ্রত করে তুলেছে । “মন্ত্রিসভা সঙ্কট ও বিপর্যয়ের সময়ে প্রত্নতাত্ত্বিকতা রক্ষায়

এবং প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলি চিহ্নিত করার জন্য প্রত্নতত্ত্ব সম্পর্কিত ফেডারেল আইনের নির্বাহী বিধিমালা জারির অনুমোদন দিয়েছে।

এই নতুন পদক্ষেপের লক্ষ্য হচ্ছে অর্থনীতি সমৃদ্ধিতে ব্যবসায়ী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা এবং প্রকল্পগুলি ডিজাইন, পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করার সময় প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান সংরক্ষণে নগর পরিকল্পনা বিভাগ এবং পৌরসভার প্রতিশ্রুতি পর্যবেক্ষণ করা। এটি

খনন ও প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ে জাতীয় ক্যাডারদের প্রশিক্ষণে প্রাসঙ্গিক সংস্থার ভূমিকাও পর্যবেক্ষণ করবে।মন্ত্রনালয় এবং ফেডারেল সংস্থার জন্য চারটি সাংগঠনিক কাঠামো মন্ত্রিপরিষদ শিক্ষা মন্ত্রনালয় এবং স্বাস্থ্য ও প্রতিরোধ মন্ত্রনালয় সহ বেশ কয়েকটি সংস্থার জন্য নতুন সাংগঠনিক কাঠামো গ্রহণ করেছে।

মন্ত্রিপরিষদ এন্টি মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রা; স বাদের ফিনান্সিং কাউন্টারিংয়ের কার্যনির্বাহী অফিস গঠনের বিষয়টিও গ্রহণ করেছে যার লক্ষ্য এই খাতের আন্তর্জাতিক প্রয়োজনীয়তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে দেশের কার্য সম্পাদন করতে হবে।অফিস

বিশ্বজুড়ে সংস্থাগুলি এবং অংশীদারদের সাথে দেশের সক্রিয় সহযোগিতা নিশ্চিত করবে।সংযুক্ত আরব আমিরাত জলবায়ু পরিবর্তন ও প্যারিস চুক্তি সম্পর্কিত জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অনুসারে অবদানের অনুমোদনের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার প্রতিশ্রুতিও নবায়ন করেছে।