৪০ মিনিটেই চমক দেখোলো মেসির বার্সার
কিন্তু মেসি ও গ্রিজম্যান তো বটেই, দলের বড় বেশ কিছু তারকা ছাড়া প্রতিপক্ষের মাঠে নেমে, এটাও যে বেশ কঠিন ঠেকছিল কাতালান ক্লাবটার। মেসিবিহীন দলটা কেমন করেছে বোঝা গেল কিচ্ছুক্ষণ পর। কিক অফের বাঁশি বাজতেই ধীর লয়ে খেলতে থাকে বার্সা। ৬ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো কাতালানরা। কৌতিনিয়োর একক প্রচেস্টা ডি বক্সে প্রতিহত হয়। ৩৪ মিনিটে বার্সা ফরোয়ার্ড ট্রিনকাওকে ডি বক্সে ফাউল করে ডায়নামো কিয়েভ।
পেনাল্টির জোড়ালো আবেদন নাকোচ করে দেয়। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে গোলের সুযোগ পেয়েছিল ইউক্রেনের ক্লাবটি। তবে বার্সা গোলরক্ষক টেরস্টেগেনের কল্যাণে তা আলোর মুখ দেখেনি। গোল শুণ্য ড্র নিয়ে বিরতিতে যায় দু’দল। চাপে পড়ে মেসি বিহীন বার্সা।২০০৯ থেকে যতবারই দেখা হয়েছে দু দলের, জয়ে পেয়েছে বার্সেলোনাই। আর কাতালানদের বিপক্ষে শেষবার জয়ের স্মৃতি হাতড়াতে গেলে কিয়েভকে যেতে হবে ১৯৯৭ সালে।
পরিসংখ্যানের দাপট মাঠে ধরে রাখতে দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায় কৌতিনয়োরা। তাতেই ধীরে ধীরে পালটে যায় ম্যাচের চিত্র। ৫২ মিনিটে দারুন এক গোল করে দলকে লিড এনে দেন বার্সা দেস্ট। ৫৭ মিনিটে লাইমলাইটে আসেন প্রথম গোলের কারিগর ব্রাথওয়েট। কর্নার থেকে পাওয়া বলে প্রতিপক্ষের কেউ বুঝে ওঠের আগেই নিখুঁত নিশানাবাজী করেন।
ডায়নামো কিয়েভের কপালে শনির দশা। দ্বিতীয় গোল হজমে রেশ না কাটতেই আবারো ভুল করে বসে। পেনাল্টি থেকে ব্যবধানটা ৩-০ করেন ওই ব্রাথোয়েট। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে আতোয়ান গ্রিজম্যান আরো এক গোল করলে ৪-০ গোলের বড় জয় নিয়ে মাঠে ছাড়ে কাতালানরা। তাতে গ্রুপ পর্বের সবকটি ম্যাচে অপারজিত থেকেই নকআউট পর্বে উঠল রোনাল্ড ক্যোম্যান শিষ্যরা।