৬৯০ টাকার গ্যাস লুটপাট : স্ত্রীও অস্বীকার করলেন স্বামীকে

বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের রান্নার জন্য নির্ভরযোগ্য জ্বালানির অন্যতম উৎস এলপিজি গ্যাস, যার সিলিন্ডার প্রতি নির্ধারিত মূল্য ৬৯০ টাকা। কিন্তু এই নিরীহ সিলিন্ডারের পেছনেই ঘাপটি মেরে বসে আছে এক ভয়ঙ্কর দুর্নীতির চক্র। সম্প্রতি Jamuna TV-এর 'Investigation 360 Degree' অনুসন্ধানী প্রতিবেদন এক অভাবনীয় লুটপাটের চিত্র সামনে এনেছে, যেখানে রাষ্ট্রীয় সম্পদ গ্যাস বরাদ্দের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে।
ডিলার ছাড়াই বরাদ্দ, পুরনো লাইসেন্সেও চালু লেনদেন!অনুসন্ধানে দেখা গেছে, অনেক মৃত বা মেয়াদোত্তীর্ণ LPG ডিলারের নামে এখনো গ্যাস বরাদ্দ হচ্ছে। এসব ডিলারদের কেউ কেউ বহু বছর আগে মারা গেছেন বা লাইসেন্স নবায়ন করেননি, অথচ তাদের নামে এখনো গ্যাস বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে এবং বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে।
এই বরাদ্দকৃত গ্যাসের বিপণন ও টাকা উত্তোলনের দায়িত্ব নিচ্ছে একটি সিন্ডিকেট, যারা মূলত ভুয়া বা অদৃশ্য প্রতিষ্ঠানের আড়ালে এসব লেনদেন পরিচালনা করে।
‘তাজ এন্টারপ্রাইজ’ এবং লিটন মিয়া: নামটি আসলেই কার?ব্যাংক তথ্য বিশ্লেষণে উঠে আসে একটি প্রতিষ্ঠানের নাম—তাজ এন্টারপ্রাইজ, যার অ্যাকাউন্ট থেকে লাখ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে দেখা যায় ‘লিটন মিয়া’ নামটি। প্রশ্ন ওঠে—এই লিটন মিয়া কে?
তদন্তে দেখা যায়, একাধিক ডিলার এই অ্যাকাউন্টে ১৭ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা দিয়েছেন। এই টাকা আবার চেকে উত্তোলন করেছেন কেউ কেউ। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই অ্যাকাউন্টটি আদতে পরিচালনা করছিলেন রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি SAOCL-এর (Standard Asiatic Oil Company Ltd.) একজন প্রভাবশালী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুস সালাম মির।
ফোন নম্বর ও পরিচয়: দ্বৈত সত্তার খেলাব্যাংক থেকে প্রাপ্ত একটি মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে তদন্তকারী দল সালাম মির-এর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে। প্রথমে তিনি নিজের পরিচয় অস্বীকার করেন এবং ফোন কেটে দেন। পরে Truecaller এবং মোবাইল লোকেশন ট্র্যাক করে নিশ্চিত হয় যায় যে, নম্বরটি আসলে সালাম নিজেই ব্যবহার করছেন।
তদন্তকারী দল যখন সরাসরি তার বাড়িতে পৌঁছায়, তার স্ত্রী নিজেও স্বামীকে অস্বীকার করেন। বলেন, "আমি তাকে চিনি না"—যা তদন্তকারীদের আরও সন্দেহে ফেলেছে।
অবশেষে ধরা পড়লেন লিটন মিয়া! পালালেন ক্যামেরা দেখেশেষ পর্যন্ত চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া এলাকায় এক দোকানের সামনে পাওয়া যায় সেই রহস্যময় লিটন মিয়াকে। Jamuna TV প্রতিনিধি তাকে ছবি দেখিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করার চেষ্টা করলে, সে চুপচাপ ক্যামেরা দেখে অন্ধকারে পালিয়ে যায়।
কমিশন বাণিজ্য: ‘৮০ শতাংশ আমিই নিই’ডিলার দিদারের এক কর্মচারী মাহবুব নিয়মিত টাকা জমা দিতেন লিটনের নামে খোলা অ্যাকাউন্টে, সেখান থেকে সালাম নিজে টাকা উত্তোলন করতেন। এক কর্মী দাবি করেছেন—"৮০% কমিশন তিনি নিজেই নিতেন।"
সেইসাথে, ডিলারদের সিগনেচার নকল করে জাল ক্যাশ মেমো তৈরি করে ৫৪ লাখ টাকার দুর্নীতির প্রমাণ আগেও পাওয়া গিয়েছিল সালামের বিরুদ্ধে, যা একটি অডিট রিপোর্টে উল্লেখ আছে।
পদায়ন ও রক্ষাকবচ: শাস্তি নয়, পুরস্কার!সালাম মির বর্তমানে বদলি হয়েছেন মহেশখালীতে BPC-এর অধীন একটি প্রতিষ্ঠানে। যেখানে দুর্নীতির ইতিহাস আগেও আছে। দুই মাসের ব্যবধানে তাকে দু’বার স্থানান্তর করা হয়েছে, কিন্তু আজও তার বিরুদ্ধে কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেয়নি কোম্পানি।
অনুসন্ধানীরা জানায়, এই প্রতিবেদন হয়তো প্রকাশ পাবে, তবে নির্বাহী মহল এটিকে বার্ষিক রিপোর্টে গুম করে দেবে। কারণ, এরকম বহু রিপোর্ট, মন্ত্রণালয়ের সুপারিশ, তদন্ত সবই শুধু ফাইলেই থাকে—কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না।
- ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বহিষ্কার! হামজা চৌধুরীর মুখে চাঞ্চল্যকর তথ্য
- যে ৮ প্রকার নারীর সঙ্গে ভুলেও বিছানায় যাবেন না
- হিন্দু যুবকের বাড়িতে মুসলিম নারীর অবস্থান, এলাকায় ব্যাপক.,,
- করোনা বাড়ায় এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে আছে যে বিকল্প চিন্তা
- অভিমানেই বড় সিদ্ধান্ত! আর ফিরতে চান না মুমিনুল
- আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে দিল ব্রাজিল ফুটবল
- ভিসা নিয়ে চরম দু:সংবাদ
- বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করলো যে দেশ
- এইচএসসি পরিক্ষা পেছানো হবে কিনা, যা বলছে শিক্ষা বোর্ডগুলো
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট
- পুরুষরা সঙ্গীর কাছে ৬টি সত্য গোপন করেন
- শারীরিক শক্তি বাড়ানোর দারুন কৌশল, যা কাজ করবে দুর্দান্ত
- এক লাখ শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি আসছে
- একসঙ্গে ৬ বিসিএস পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা
- দুই প্রবাসীর স্বপ্ন বাঁচাল সেনাবাহিনী