এইমাত্র পাওয়া : আরও একটি মেডিকেলে বিক্রি হচ্ছে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে গড়ে উঠেছে একটি জালিয়াতির শক্তিশালী সিন্ডিকেট। তারা সুযোগ বুঝে বিভিন্ন উপায়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা আদায় করছে।
জানা যায়, সাধারণ চিকিৎসার জন্যও এখন হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তি হতে গেলেই করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট চায়। এই সার্টিফিকেট ছাড়া রোগী ভর্তি তো দূরের কথা অনেক সময় চিকিৎসাই দিতে চায় না তারা। এর বাইরে কর্মস্থল, পোশাক কারখানা এবং ভ্রমণের জন্য করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট অনেকটা বাধ্যতামূলক হয়েছে।
কিন্তু সাধারণভাবে করোনার টেস্ট এখানে সময় সাপেক্ষ এবং উপসর্গ ছাড়া পরীক্ষা করানো কঠিন। আর এই সুযোগ নিচ্ছে প্রতারক চক্র।
তারা করোনা সার্টিফিকেটের স্টাইল জাল করে ভুয়া সার্টিফিকেট দিচ্ছে। তারা শুধু নেগেটিভ নয়, পজিটিভ সার্টিফিকেটও দিচ্ছে। পজিটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে কেউ কেউ আবার অফিসে না গিয়ে বাসায় ছুটি কাটানোসহ নানা সরকারি সুবিধা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভুয়া সাটিফিকেট। অনুসন্ধানে খুমেক হাসপাতালের লিফটম্যান পদে কর্মরত নওশাদ নামে ব্যক্তির মাধ্যমে করোনা নেগেটিভ সনদ দেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। তবে এই সিন্ডিকেটের রাঘব বোয়ালরা রয়েছে সম্পূর্ণ ধরাছোঁয়ার বাইরে।
নওশাদ মহানগরীর ২৬ বিকে রায় ক্রস রোডে করোনা পজিটিভ তানিয়া নামে এক গৃহবধূকে গত ১২ জুলাই (রবিবার) তাকে নেগেটিভ সনদপত্র দেন।
ওই নারীর নেগেটিভ রিপোর্টে স্যাম্পল আইডি নম্বরে উল্লেখ করা হয়েছে কেএমসি-২০০২৩ এবং স্যাম্পল গ্রহণের তারিখ ৭ জুলাই, টেস্টের তারিখ ১২ জুলাই উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া মহানগরীর পশ্চিম বানিয়াখামার ঠিকানায় শামীম আহমেদ নামে এক ব্যক্তি ৮ জুলাই খুমেক হাসপাতালের ফ্লু কর্নারের স্যাম্পল টেস্টে পজিটিভ রিপোর্ট এলেও নওশাদ একদিন আগের তারিখে অর্থাৎ ৭ জুলাই তারিখে আইডি নম্বর কেএমসি-১৯০৩১ দেখিয়ে পজিটিভ রিপোর্টকে নেগেটিভ উল্লেখ করেছে।
শামীম আহমেদ ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, নওশাদ তার পরিচিত ছোট ভাই। তার মাধ্যমেই নেগেটিভ রির্পোট পেয়েছেন।
এটি একটি নকল রিপোর্ট তা-কি আপনার জানা আছে প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, আমি ব্যবসায়ী কাজে চুকনগরে আছি। আমি খুলনায় গিয়ে খোঁজ নেবো।
একইভাবে কথা হয় গৃহবধূ তানিয়ার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, হাসপাতালেই নওশাদের সঙ্গে তার পরিচয় হয় সেই পরিচয়ের মাধ্যমেই তার কাছ থেকে তিনি রিপোর্ট পেয়েছেন। সঠিক না নকল রিপোর্ট তা তার জানা নেই। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে নওশাদ অস্বীকার করেন।
এদিকে খুমেক হাসপাতাল আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ও আইসোলেশন ইউনিটের মুখপাত্র ডা. মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, কেএমসি-১৯০৩১ এবং কেএমসি-২০০২৩ স্যাম্পল আইডি নম্বর দুটোই ভুয়া। এই নম্বরে কোনো রিপোর্ট নেই। তিনি অসাধু চক্রের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেন।
কথা হয় খুমেক হাসপাতালের পরিচালক রেজা সেকেন্দারের সঙ্গে। হাসপাতালে কর্মরত একজন লিফটম্যান কিভাবে জাল সনদপত্র দিচ্ছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার বিষয়টি জানা নেই। তবে অনুসন্ধানে সত্যতা পেলে অবশ্যই এই দুষ্টচক্রকে পুলিশে সোর্পদ করবো।
- এএসপি আত্মহত্যার আসল কারণ জানালেন তার ভাই
- নতুন আইনের ইঙ্গিত, শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে ১০ বড় সিদ্ধান্ত
- টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এমন ব্যাটিং ইনিংস আগে দেখা যায়নি
- সৌদিতে ১৭ হাজার বাংলাদেশি গ্রেপ্তার : আসল তথ্য যা জানা গেল
- হঠাৎ ভিসা বন্ধের ঘোষণা, বিপাকে হাজারো আবেদনকারী
- আজকের সকল দেশের টাকার রেট (৮ মে ২০২৫)
- বাংলাদেশকে অনেক বড় সুখবর দিলো সৌদি আরব
- আজকের বাজারে ১৮, ২১ ও ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার মূল্য
- হত্যা মামলার আসামি হয়েও বিদেশ যাত্রা আলোচনায় সাবেক রাষ্ট্রপতি
- ভারতের ড্রোন হামলায় কাঁপছে স্টেডিয়াম, অনিশ্চিত পিএসএল ম্যাচ
- পাক-ভারত যুদ্ধ নিয়ে মালালার মানবিক বার্তা
- আ.লীগকে সুবিধা দেওয়ায় ইউনূস সরকারকে একহাত নিলেন হাসনাত
- ইংল্যান্ডে চলে গেলেন সাব্বির রহমান
- প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে দাঁড়াতেই দেননি বাংলাদেশ
- ৯৪ কোম্পানির শেয়ার ফ্রিজ