বিনিয়োগকারীদের জন্য ৪ চ্যালেঞ্জ: সরকারের পদক্ষেপ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে দরকার দ্রুত ও কার্যকর উদ্যোগ
বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশের নানা দিক নিয়ে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামনে চারটি প্রধান চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যা বিনিয়োগের প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করছে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এসব চ্যালেঞ্জ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তার মতে, জ্বালানির মূল্যনীতি, আমেরিকা আরোপিত নতুন শুল্কনীতি, তৃণমূল পর্যায়ে পুরোনো অনুশীলন এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি—এই চারটি প্রধান প্রতিবন্ধকতা বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিনিয়োগে বাধা সৃষ্টি করছে জ্বালানির মূল্যনীতি
বিডা চেয়ারম্যান বলেন, “দেশের শিল্পক্ষেত্রে উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে। এমন পরিস্থিতি বাজারে প্রতিযোগিতার ক্ষমতাও কমিয়ে দেয়।”
আমেরিকা শুল্কনীতির চাপ
চৌধুরী আশিক মাহমুদ আরও বলেন, “আমেরিকা সম্প্রতি কিছু নতুন শুল্কনীতি কার্যকর করেছে, যা বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এ ধরনের আন্তর্জাতিক শুল্ক নীতি বিনিয়োগকারীদের সিদ্ধান্তে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।”
পুরোনো অনুশীলন তৃণমূল পর্যায়ে প্রতিবন্ধকতা
তৃণমূল পর্যায়ে পুরোনো অনুশীলন এখনও দৃঢ়ভাবে চালু থাকায় আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কর্মকাণ্ড পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। এই প্রথাগত পদ্ধতি মানিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে নতুন বিনিয়োগের জন্য।
প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি
সবচেয়ে বড় সমস্যা, যা বিনিয়োগকারীদের উদ্বিগ্ন করে, তা হচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়ন ও সম্পাদনে দীর্ঘ সময় লেগে যাওয়া। “আমাদের প্রকল্পগুলো যখন সময়মতো বাস্তবায়িত হয় না, তখন বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে যায়, যা বিদেশি বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে,” বললেন বিডা চেয়ারম্যান।
সরকারের পদক্ষেপ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
মঙ্গলবার (৬ মে) রাতে বিডার আয়োজনে ‘স্টেট অব ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট’ ওয়েবিনার সিরিজের তৃতীয় সেশনে এসব মন্তব্য করেন চৌধুরী আশিক মাহমুদ। ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নতি করার জন্য সরকার একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, তবে এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হলে আমাদের আরও শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে হবে।”
বিডা চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ আরও জানান, সরকার এবং বেসরকারি খাতের মধ্যে আরও গভীর সমন্বয় এবং অর্থনৈতিক অবকাঠামো শক্তিশালী করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ আরও আকর্ষণীয় হয়।
নতুন আশার আলো
কিন্তু, সমস্ত চ্যালেঞ্জের মাঝে ইতিবাচক পরিবর্তনও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ওয়েবিনারের অংশগ্রহণকারীরা নতুন ধারণা এবং সুপারিশ নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন, যা দেশের বিনিয়োগ পরিবেশে সৃষ্ট সমস্যাগুলোর সমাধান হতে পারে।
তারা সবাই একমত, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে শুধু সমস্যার সমাধান নয়, একটি শক্তিশালী এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রয়োজন।
এই নিবন্ধে তুলে ধরা সমস্যাগুলোর সমাধান হলে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য এক নতুন দ্বার উন্মুক্ত হবে।
- হঠাৎ পাল্টে গেল রড-সিমেন্টের বাজার
- কনডম তৈরি হয় কোন প্রাণীর অঙ্গ থেকে, অনেকেই জানেন না এই চমকপ্রদ তথ্য
- চরম দু:সংবাদ : বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বন্ধ
- দিল্লি ক্যাপিটালস ও গুজরাট টাইটানস: টস শেষ, জানুন একাদশে মুস্তাফিজের অবস্থান
- বউয়ের সাথে জমিয়ে রোমান্স করতে খান এই ৫টি খাবার
- একই হাসপাতালে ১৪ নার্স একসঙ্গে অন্তঃসত্ত্বা, বিরল ঘটনায় চাঞ্চল্য বিশ্বজুড়ে
- বেড়েছে সিঙ্গাপুরের ডলার রেট, জেনেনিন আজকের রেট
- টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে মুস্তাফিজের বিশ্বরেকর্ড
- পাইলট ছাড়াই আকাশে বিমান, যেভাবে বাঁচলেন দুই শতাধিক যাত্রী
- শুধুমাত্র ট্রাম্পের জন্য মসজিদ বন্ধ করলো আরব আমিরাত
- মাঝ আকাশে দুই হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ, নিহত ৫
- ভিসা নিয়ে বাংলাদেশীদের জন্য সুখবর
- মালয়েশিয়া যেতে আগ্রহীদের জন্য বড় সুখবর, কর্মী নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি
- ওমানে প্রবাসী দম্পতির এ কেমন পরিণতি
- সাবিলা নূরকে নিয়ে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলংকা-তে শাকিব খান