জেনেনিন এখন পর্যন্ত কতবার বাতিল হয়েছে হজ্ব এবং এর কারন গুলো কি কি

৮৬৫-ঃ প্রথমবার হজ বাতিল হয়েছিল ৮৬৫ খ্রীষ্টাব্দে। হাজীরা অনেকেই জমায়েত হয়েছেন আরাফাতের ময়দানে, বাকিরা আসছেন। এমন সময় হজের কিছুদিন আগে হঠাৎ করে হাজীদের ওপর আক্রমণ চালান আরব নেতা ইসমাইল বিন ইউসুফ। তিনি আল সাফাক নামে সর্বাধিক পরিচিত। বাগদাদের আব্বাসীয় খলিফার সঙ্গে শত্রুতার জেরে এই হামলা চালানো হয়। ফলে ওই বছর বন্ধ হয়ে যায় পবিত্র হজ।
৯৩০-৯৪০-ঃ ‘কারামাতি’ নামে কট্টর একটি শিয়া গ্রুপ হামলা চালায় মক্কা শরীফে। ইতিহাস বলছে, সেসময় প্রায় ৩০ হাজার হাজীকে হত্যা করা হয়। লুটতরাজ করা হয় মসজিদে হারাম ও তার আশপাশের এলাকায়। ঐতিহাসিক কালো পাথরটি নিয়ে যাওয়া হয় বাহরাইনে। প্রায় ১০ বছর পর মক্কায় ফিরিয়ে আনা হয় সেই পাথর। ওই দশ বছর হজ অনুষ্ঠিত হয়নি।
৯৬৮-ঃ বিখ্যাত ইতিহাস গ্রন্থ ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’ তে উল্লেখ করা হয়েছে, ৯৬৮ সালে মক্কায় একটি মহামারি ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় অনেক লোকসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগত হাজীরাও মারা যান ওই মহামারিতে। শুধু তাই নয়, হাজীরা যে উটগুলো নিয়ে মক্কায় এসেছিলেন, পানির অভাবে সেগুলোও মারা যায়। এসব কারণে ওই বছর হজ অনুষ্ঠিত হয়নি।
৯৮৩-৯৯০-ঃ এই ৮ বছর হজ না হওয়ার পেছনে দায়ী ছিল তখনকার রাজনীতি। সেসময় ইরাক ও সিরিয়ায় ছিল আব্বাসীয় খিলাফত এবং মিশরে ছিল ফাতেমীয় খিলাফত। এই দুই খিলাফতের শাসকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে ওঠায় হজ বাতিল হয়ে যায় এবং কাবা শরীফের কপাট বন্ধ থাকে ৮ বছর ধরে।
১২৫৮-ঃ এ বছর বাগদাদ আক্রমণ করেন হালাকু খান। সেই আক্রমণ ছিল ভয়ংকর, বাগদাদ শহরকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়। খলিফাসহ হত্যা করা হয় অসংখ্য মানুষকে। এই আক্রমণের প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে মুসলিম বিশ্বে। কোনো মুসলমানই ওই বছর হজে যাননি। বন্ধ করে দেওয়া হয় হজ ও ওমরার কার্যক্রম।
১৮১৪ ও ১৮৩১-ঃ এই দুই বছরই হজ বাতিল করা হয় মহামারি প্লেগের কারণে। ১৮১৪ সালে প্লেগের সংক্রমণে সৌদি আরবের হেজাজ প্রদেশে মারা যায় ৮ হাজার মানুষ। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে, এই শঙ্কায় হজ বাতিল করা হয়। ১৮৩১ সালে আবারও মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ে প্লেগ। সংক্রমণ এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, হাজীদের চারভাগের তিনভাগই মৃত্যুবরণ করেন। ফলে সে বছরও হজ বাতিল করা হয়।
এছাড়া ১৮৩৭ থেকে ১৮৫৮ সালের মধ্যে প্লেগ ও কলেরার কারণে মোট সাতবার হজ বাতিল করার ঘটনা ঘটেছে। তবে এসময় বিচ্ছিন্নভাবে কেউ কেউ হজ পালন করেছিলেন বলে জানা যায়।
উপরে উল্লিখিত নির্দিষ্ট বছরগুলো বাদে বিভিন্ন সময় হজ পালনে নানারকম বাধা এসেছে। ফলে কখনো কখনো হজ অনুষ্ঠিত হয়েছে আংশিকভাবে কিংবা শুধু স্থানীয়দের দ্বারা। ১৯৭৯ সালের ২০ নভেম্বর জুহাইমান আল ওতাইবি নামক সৌদি আরবের এক সেনা সদস্য তার শিষ্যদেরকে নিয়ে কাবা ঘর দখল করে বসেন। তিনি ঘোষণা করেন, তার ভগ্নিপতি ইমাম মাহদি রূপে আবির্ভূত হয়েছেন। এসময় প্রায় দুই সপ্তাহ কাবাঘর অবরুদ্ধ ছিল, কোনো তাওয়াফ অনুষ্ঠিত হয়নি।
সর্বশেষ ১৯৮৭ সালে ইরানি হাজীরা কাবা চত্বরে আমেরিকা ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করে। সৌদি আরবের পুলিশ তাদের বিক্ষোভে বাধা দিলে ছড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষ। মারা যান অনেক হাজী, কয়েকদিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় তাওয়াফ। এছাড়া রাজনৈতিক কারণে ২০১৬ সালেও ইরান তার দেশের কাউকে হজে পাঠায়নি।
- বাংলাদেশিদের জন্য দুঃসংবাদ! এক রাতেই বদলে গেল সৌদির ভিসা নীতিমালা
- চরম দু:সংবাদ : সৌদির কালো তালিকায় বাংলাদেশি
- বাজুসের রাতারাতি সিদ্ধান্তে সোনার দাম তলানিতে,জেনেনিন ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- তরুণী মা'রধরের নেপথ্যে লঞ্চের ভেতরে সেদিন কী ঘটেছিল, ভিডিও প্রকাশ্যে
- বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হলো পার্থর স্ত্রীকে
- জামায়াত ইসলমীর আপিল শুনানি নিয়ে যে আদেশ দিলো আদালত
- ৬ জয় ও ৩ ড্রয়ে ২১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিল পাল্টে দিলো ব্রাজিল
- জামায়াত-এনসিপি ‘বন্ধুত্বে’ হঠাৎ ফাটল
- প্রকাশিত হলো আইপিএলের নতুন সময়সূচি ও ফাইনাল ম্যাচের সময়
- ভিসা নিয়ে বাংলাদেশকে সুখবর পাঠালো যে দুই দেশ
- শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় : সর্বশেষ আপডেট
- টাকা ছাপিয়ে বাজেট নয়! চমকে দেওয়া ঘোষণা দিলেন অর্থ উপদেষ্টা
- আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ঘোষণায় ভারতের মাথায় হাত
- বড় সুখবর পেঁয়াজের বাজারে
- আবারও পাল্টে গেলো সোনার দাম