করোনা চিকিৎসায় নতুন পদ্ধতির সন্ধান
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গুরুতর অসুস্থদের চিকিৎসায় ব্রিটেনে এক দল বিজ্ঞানী তাদের গবেষণায় পেয়েছেন, যারা আক্রান্ত হয়েছে তাদের শরীরে গুরুত্বপূর্ণ এই সেলগুলোর পরিমাণ কম। এই সেলগুলো দেহকে সংক্রমণ মুক্ত করার কাজ করে।
শরীরে টি-সেল বাড়ানোর চিকিৎসা ইতিমধ্যেই বাজারে রয়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ‘ইন্টারলিউকিন-৭’ নামক ওষুধ। এই ওষুধটি শরীরের টি-সেল বাড়াতে সাহায্য করে।
সংশ্লিষ্ট গবেষকরা ওষুধটি প্রাথমিকভাবে প্রয়োগের পর এবার ট্রায়ালের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। করোনার চিকিৎসায় এটির ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা হবে। ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় টি-সেলের সংখ্যা বাড়লে সেটি কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় ব্যবহার হতে পারে।
ওই গবেষক দলের সদস্য ছিলেন, ফ্রান্সিস ক্রিক ইনস্টিটিউট, কিং’স কলেজ লন্ডন এবং গাই’জ ও সেন্ট টমাস হাসপাতালের বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকেরা। নেতৃত্বে রয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মনুশঙ্কর হরি।
ক্রিক ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক আড্রিয়ান হেডে বলছেন, ‘টি-সেলগুলোর অবস্থা দেখে আমরা অবাক হয়েছিলাম। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কথা যাদের, তাদের সংখ্যাই নাটকীয় ভাবে কমে যাচ্ছে কোভিড-১৯-এ গুরুতর আক্রান্তদের শরীরে। করোনভাইরাস সেগুলিকে কব্জা করে ফেলছে।’ সাধারণত একজন সুস্থ ব্যক্তির ১ মাইক্রোলিটার (০.০০১ মিলিলিটার) রক্তে ২০০০ থেকে ৪০০০ টি-সেল থাকে। আর কোভিড-আক্রান্তদের অনেকের ক্ষেত্রে তা ২০০ থেকে ১২০০-তে নেমে যাচ্ছে।