সহকর্মীর মৃত্যু নিয়ে পুলিশের বিক্ষোভ, থানায় ভাংচুর
বেশ কিছুদিন ধরেই শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন ৪০ বছর বয়সী ওই পুলিশ কনস্টেবল। বিক্ষোভকারীদের দাবি, রোববার তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিক্ষোভরত এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘তাকে গুরুতর শ্বাসকষ্ট নিয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়, যদিও তার মধ্যে করোনার লক্ষণ ছিল। আমি মনে করি, পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আগেই তার আরো যত্ন হওয়া উচিত ছিল। কেন তাকে কোনো বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি।’
বিক্ষোভকারীদের থামাতে গড়ফা থানায় ছুটে যান পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের একটি দল। তারপর বিক্ষোভ উঠে যায়।
এখন পর্যন্ত অন্তত সাতজন পুলিশ কর্মকর্তার শরীরে করোনাভাইরাস পজিটিভ ধরা পড়েছে।
গত সপ্তাহে, এজেসি বোস রোডের পুলিশ প্রশিক্ষণ স্কুল বিল্ডিংয়ে বিক্ষোভ করেন প্রায় ৫০০ পুলিশ কর্মী। তাদের দাবি, যেসব এলাকায় বদলি করা হয়েছে, সেখানে করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শ আসার সম্ভাবনা প্রবল।
পুলিশ কর্মীদের অভিযোগ ও দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি পুলিশকর্মীদের সবচেয়ে ভালো স্বাস্থ্য পরিষেবা দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়।