করোনাভাইরাস সংক্রমণ গ্রীষ্মেও বন্ধ হবে না

৮ দশমিক ৭২ ডিগ্রি সেলসিয়াস গড় তাপমাত্রা অতিক্রম করার পর চীনে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নাটকীয়ভাবে কমে গেছে। মহামারী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার বৃদ্ধিতে করোনাভাইরাস মাঝারি মাত্রায় কমিয়ে আনতে পারবে। কাজেই এই উপদ্রব প্রশমনে আবহাওয়ার ভরসা করে বসে থাকা ঠিক হবে না দেশগুলোর।
সাধারণত ফ্লু ও ঠাণ্ডাজনিত ভাইরাসের ক্ষেত্রে যেমনটি ঘটে, ঋতুর পরিবর্তন নতুন এই ভাইরাসে তেমন কোনো প্রভাব খাটাতে পারবে না।
চীনের গবেষণায় দেখা গেছে, ঠাণ্ডা অঞ্চলে প্রতি এক ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে এই রোগটির ক্রমবর্ধমান আক্রান্তের সংখ্যা শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ করে বেড়ে যেতে পারে। যখন উচ্চ তাপমাত্রার গ্রুপে ন্যূনতম প্রতি এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধিতে আক্রান্ত শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ পড়ে যেতে পারে।
সংক্রামক সহায়ক সবচেয়ে ভালো তাপমাত্রা এখন রয়েছে। গ্রীষ্মে উচ্চ তাপমাত্রায় ভাইরাসের স্পর্শকাতরতা উষ্ণ দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়া থেকে রোধ করতে পারে।
গবেষণায় চীনসহ আক্রান্ত দেশগুলোর রাজধানীতে ২০ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সংক্রমণ সংখ্যা ও আবহাওয়ার উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য দিয়েছে।
গুয়াংডোং প্রদেশের গুয়াংজুতে সান ইয়াত-সেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণা গত ২২ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয়েছে। হার্ভার্ড টিএইচ চান স্কুল অব পাবলিক হেলথের আরেকটি গবেষণায় বৈচিত্র্যময় আবহাওয়ায়ও এই ভাইরাসের সংক্রমণের দিকে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, চীনের ভেতর গ্রীষ্মমণ্ডলীয় প্রদেশগুলোতে শুষ্ক থেকে ঠাণ্ডা অবস্থায়ও ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে পারে। ভারতে প্রথম এই ভাইরাসটি আক্রান্ত হয় কেরালা রাজ্যে। চলতি সপ্তাহে সেখানে আরও সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। রাজ্যটির আবহাওয়া আর্দ্র ছিল এবং সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
হার্ভার্ডের গবেষণায় বলা হয়েছে, উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্ম ও বসন্তে আর্দ্রতা এবং তাপমাত্রার বৃদ্ধির মতো কেবল আবহাওয়ায়ই এই রোগ কমাতে সহায়তা করবে না, বরং এটি নিরোধে ব্যাপক জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত পদক্ষেপ নিতে হবে।
হার্ভার্ড জনস্বাস্থ্য স্কুলের মহামারী বিদ্যার অধ্যাপক মার্ক লিপসিচ বলেন, যদি সার্স-কোভ-২ অন্যান্য বেটা করোনাভাইরাসের মতো আচরণ করে, তবে নিম্ন তাপমাত্রায় জোরালোভাবেই এটির সংক্রমণ ঘটবে। কিন্তু গ্রীষ্মের গরমে আক্রান্তের সংখ্যায় পরিবর্তন এসে মাঝারি মাত্রায় চলে যাবে। কেবল গরম আবহাওয়াই যথেষ্ট হবে না।
এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি কর্মসূচির নির্বাহী পরিচালক মাইক রেয়ান বলেন, ফ্লুর মতো গ্রীষ্মেই এটি বন্ধ হয়ে যাবে, এমন কিছু ভাবা নিরাশাই হবে। আমরা এমন কোনো কল্পনা করতে পারি না। এমন কোনো প্রমাণও নেই। কাজেই আমরা কেবল তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করেই বসে থাকতে পারি না।
গবেষকরা বলেন, তাপমাত্রার বৃদ্ধিতে উপরিভাগে ভাইরাসের টিকে থাকার বিষয়টি কমে যায়। কিন্তু এটি একটি পরিবর্তিত ভাইরাস, যা গ্রীষ্মেও মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে।
- হাসপাতালে হামলায় নিহত অন্তত ৭,আবারও গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা
- দেশ জুড়ে নেমে এলো শোকের ছায়া :মারা গেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা
- শেষ পর্যন্ত কমল স্বর্ণের দাম! ভরিপ্রতি কমেছে ৫ হাজার টাকার বেশি
- ১০ দিনের ব্যবধানে আবারও কমলো সোনার দাম
- চরম উত্তেজনায় শেষ হলো বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার ম্যাচ,জেনেনিন ফলাফল
- আজকে ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট ও ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম জেনেনিন
- বড় সুখবর পেঁয়াজের দাম নিয়ে
- হঠাৎ যেখানে গেলেন সেনাপ্রধান
- সিনেমাকেও হার মানিয়েছে এক ত্রিভুজ প্রেমের করুণ পরিণতি
- পিনাকী কেন দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন, অবশেষে জানা গেল
- সরাসরি জড়িত ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা, আন্তর্জাতিক উত্তেজনা বাড়ছে
- নিজের স্ত্রীকে বিয়ে দিলেন এক যুবক, কারণ জানলে অবাক হবেন
- আজ ঢাকার অবস্থা অনেক খারাপ
- বাংলাদেশে স্বর্ণ কেনার সঠিক সময়
- কক্সবাজারের ১৪ সেকেন্ডের ভিডিওটি মুহূর্তেই ভাইরাল, দেশজুড়ে তোলপাড়