স্কুলের খাবারে মিলল মরা সাপ, অসুস্থ শতাধিক শিশু

ভারতের বিহার রাজ্যের মোকামা শহরের একটি বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিলের খাবারে অপ্রত্যাশিতভাবে মরা সাপ পাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনার ফলস্বরূপ শতাধিক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে, যা স্থানীয় জনমনে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি) এর তদন্ত শুরু করেছে।
সংবাদমাধ্যম বিবিসির সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২ মে) এই মর্মান্তিক ঘটনার খবরটি প্রচারিত হয়। এনএইচআরসি তাদের এক বিবৃতিতে জানায়, গত সোমবার (৩০ এপ্রিল) মোকামা শহরের একটি বিদ্যালয়ে প্রায় পাঁচশ’ শিশুকে মিড-ডে মিলের খাবার পরিবেশন করা হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছে যে, সরবরাহকৃত খাবারে একটি মৃত সাপ পাওয়া যায়। আরও গুরুতর অভিযোগ হলো, বাবুর্চি সাপের উপস্থিতি সম্পর্কে অবগত থাকা সত্ত্বেও সেই খাবার শিশুদের পরিবেশন করেন।
খাবার গ্রহণের অব্যবহিত পরেই বহু শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ শিশুদের দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় বাসিন্দারা তীব্র প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করেন। বিক্ষোভকারীরা এই ধরনের চরম অবহেলা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (এনএইচআরসি) এই ঘটনার গুরুত্ব অনুধাবন করে ইতিমধ্যেই একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে। কমিশন স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছে, যদি অভিযোগটি সত্য প্রমাণিত হয়, তবে এটি শিশুদের মানবাধিকারের সুস্পষ্ট এবং গুরুতর লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে। সংস্থাটি বিহারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন চেয়েছে। এই প্রতিবেদনে আক্রান্ত শিশুদের বর্তমান স্বাস্থ্য পরিস্থিতির পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারতে মিড-ডে মিল কর্মসূচি একটি দীর্ঘস্থায়ী উদ্যোগ। ১৯২৫ সালে তৎকালীন মাদ্রাজে (বর্তমান চেন্নাই) এই কর্মসূচি প্রথম শুরু হয়েছিল। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণির শিশুদের খাদ্য সহায়তা প্রদান করা। এই কর্মসূচি বিদ্যালয়ে শিশুদের উপস্থিতি বৃদ্ধি এবং তাদের ক্ষুধা নিবারণে সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে, এই কর্মসূচির খাবারের পুষ্টিমান এবং গুণগত মান নিয়ে প্রায়শই বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন ওঠে। এর আগে ২০১৩ সালে বিহারেই মিড-ডে মিলের খাবারে বিষক্রিয়ার কারণে ২৩ জন শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল।
এই সাম্প্রতিক ঘটনাটি খাদ্যের মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সরকারি পদক্ষেপের কার্যকারিতা নিয়ে আরও একবার গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। প্রশ্ন উঠেছে, প্রতিটি মিড-ডে মিলের খাবার নিরাপদ ও পুষ্টিকর হওয়া সত্ত্বেও কেন বারবার এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে। এখন এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং একই সাথে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে
- হাসপাতালে হামলায় নিহত অন্তত ৭,আবারও গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা
- দেশ জুড়ে নেমে এলো শোকের ছায়া :মারা গেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা
- শেষ পর্যন্ত কমল স্বর্ণের দাম! ভরিপ্রতি কমেছে ৫ হাজার টাকার বেশি
- ১০ দিনের ব্যবধানে আবারও কমলো সোনার দাম
- চরম উত্তেজনায় শেষ হলো বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার ম্যাচ,জেনেনিন ফলাফল
- আজকে ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট ও ২২ ক্যারেট সোনা ও রুপার দাম জেনেনিন
- বড় সুখবর পেঁয়াজের দাম নিয়ে
- হঠাৎ যেখানে গেলেন সেনাপ্রধান
- সিনেমাকেও হার মানিয়েছে এক ত্রিভুজ প্রেমের করুণ পরিণতি
- পিনাকী কেন দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন, অবশেষে জানা গেল
- সরাসরি জড়িত ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা, আন্তর্জাতিক উত্তেজনা বাড়ছে
- নিজের স্ত্রীকে বিয়ে দিলেন এক যুবক, কারণ জানলে অবাক হবেন
- আজ ঢাকার অবস্থা অনেক খারাপ
- বাংলাদেশে স্বর্ণ কেনার সঠিক সময়
- চরম দু:সংবাদ : বন্ধ হয়ে গেল যে সকল ফ্লাইট