৮ বছর পর জুমার নামাজে ইমামতি করবেন খোমেনি

বিবিসির খবরে বলা হয়, শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) তেহরানে জুমার নামাজে ইমামতি করবেন খোমেনি। আনুষ্ঠানিকভাবে উল্লেখ না করলেও দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ইরানকে ঐক্যবদ্ধ করতেই খোমেনি জুমার নামাজের ইমামতি করবেন।
ইরানের বার্তা সংস্থা মেহের জানিয়েছে, তেহরানের মোসাল্লা মসজিদে ইমামতি করবেন ৮০ বছর বয়সী খোমেনি। কর্তৃপক্ষের উদ্ধৃতি দিয়ে তারা জানিয়েছে, এর মাধ্যমে ‘ইরানি জাতির ফের একবার নিজেদের একতা ও সৌন্দর্য প্রকাশ করবে।’এর আগে ২০১২ সালে দেশটির ইসলামিক বিপ্লবের ৩৩তম বার্ষিকীতে সর্বশেষ জুমার নামাজে ইমামতি করেছিলেন আয়াতুল্লাহ খোমেনি।
ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের গবেষক মেহেদি খালাজি এ প্রসঙ্গে বলেন, দেশের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার জুমার নামাজে ইমামতি করার ঘটনাটি প্রতীকি হলেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সাধারণত ইরান কর্তৃপক্ষ যখন জাতির উদ্দেশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কোনো বার্তা দিতে চায়, তখনই দেশটির ধর্মীয় নেতা জুমার নামাজে ইমামতি করেন।
ইরানের নিক্ষেপ করা মিসাইলে ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হলে দেশটিতে সরকারবিরোধী যে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে, তার মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খোমেনি। কেবল দেশের নাগরিকদের বিক্ষোভ নয়, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে দেশটির অর্থনীতিও এখন চাপের মুখে রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে গত বুধবার দেশটিতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী হাসান রুহানি। তবে সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর যে সম্পর্ক, তা থেকেও বেরিয়ে আসেন তিনি। হাসান রুহানি দেশটির সেনাবাহিনীকে বিমান বিধ্বস্ত করতে মিসাইল নিক্ষেপের বিস্তারিত বিবরণ উপস্থাপন করতে বলেন।
গত ৮ জানুয়ারি ইরানের ইমাম খোমেনি বিমানবন্দর থেকে ইউক্রেনের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় বিমানটিতে আরোহী ১৭৬ জনের সবাই মারা যান। ‘কারিগরি ত্রুটি’র কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল বলে শুরুতে জানায় ইরানি কর্তৃপক্ষ।
একদিন পর ১০ জানুয়ারি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দাবি করেন, ইরানের ভূমি থেকে ছুঁড়া একটি মিসাইলের আঘাতে ভূপাতিত হয় যাত্রীবাহী বিমানটি। তার বক্তব্যের সমর্থনে ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করা হয়।
পরদিন ১১ জানুয়ারি নিজেদের প্রাথমিক বক্তব্য থেকে সরে আসে ইরান কর্তৃপক্ষ। তারা জানায়, ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমানটিকে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ভেবে ‘ভুল করে’ ইরানের রেভ্যুলশনারি গার্ডসের সেনারা মিসাইল হামলা চালিয়েছে। ইরানের সামরিক বাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়, যাত্রীবাহী বিমানে মিসাইল হামলা ইচ্ছাকৃত নয়। এটি মানবিক ভুল। যারা এজন্য দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিমান বিধ্বস্ত হওয়া নিয়ে শুরুতে ‘মিথ্যা তথ্য’ দেওয়ার কারণে সমালোচনার ঝড় ওঠে ইরানেও। রাজধানী তেহরানের বিভিন্ন স্থানে ইরানের নাগরিকরা বিক্ষোভ করেন। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনির বিরুদ্ধেও স্লোগান দেন তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ইরান কর্তৃপক্ষের ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
ইউক্রেনের এই বিধান বিধ্বস্তের আগে ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে মিসাইল হামলা চালিয়েছিল ইরান। বাগদানে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের সিনিয়র জেনারেল কাশেমি সোলাইমানির মৃত্যুর ঘটনার জের ধরেই মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান। এরপর থেকেই দুই ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
- ফের হঠাৎ পাল্টে গেল স্বর্ণের বাজার
- ভিসা চালু নিয়ে বিশাল বড় সুখবর দিলেন উপদেষ্টা
- বন্ধ হয়ে গেল কেকেআরের প্লে-অফের রাস্তা, দেখেনিন পয়েন্ট টেবিল
- বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন সুনীল নারিন
- স্বর্ণের দাম যত হতে পারে চলতি বছরের শেষ দিকে
- ব্রেকিং নিউজ : ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়
- নতুন ঘোষণা দিলো ওমান
- সব শেষ, ভারতীয় ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিলো পাকিস্তান
- এক লাফে যত কমলো লিটার প্রতি জ্বালানি তেলের দাম
- দেশের ভাগ্য বদলালেও প্রবাসীদের ভাগ্য বদলায় না
- মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীদের স্বপ্নের দুয়ার খুলছে শিগগিরই
- কয়েক মিনিটের শিলাবৃষ্টিতে দুই উপজেলার সর্বনাশ
- বেড়েছে সিঙ্গাপুরের ডলার রেট, জেনেনিন আজকের রেট
- আইপিএল থেকে বিদায় চেন্নাইয়ের, ঘটে গেলো অন্য ঘটনা
- প্রবাসীরা আজকের সর্বশেষ সকল দেশের টাকার রেট দেখলে চমকে যাবেন