| ঢাকা, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২

অতিরিক্ত কার্টুন দেখায় শিশুদের মস্তিষ্কের যে ক্ষতি হয়

লাইফস্টাইল ডেস্ক . স্পোর্টসআওয়ার২৪
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০২ ১৩:০৫:০২
অতিরিক্ত কার্টুন দেখায় শিশুদের মস্তিষ্কের যে ক্ষতি হয়

নিজস্ব প্রতিবেদক: কার্টুন শিশুদের কাছে আনন্দের বিষয়। অনেক সময় এগুলো শিক্ষণীয়ও বটে। তবে যখন শিশু অতিরিক্ত সময় ধরে কার্টুন দেখে, তখন মজার এই বিষয়টিই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশু কী ধরনের কার্টুন দেখছে, কতক্ষণ ধরে দেখছে এবং বাবা-মা কতটা সঙ্গ দিচ্ছেন এসবের ওপর নির্ভর করছে কার্টুনের ইতিবাচক ও নেতিবাচক প্রভাব। শিশু স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. পূজা কপূর এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানিয়েছেন।

কার্টুনের ইতিবাদক দিক: কার্টুন তৈরি করা হয় শিশুদের আকর্ষণ করার মতো করে রঙিন ছবি, প্রাণবন্ত চরিত্র আর সহজবোধ্য গল্প দিয়ে। এর মাধ্যমে একটি শিশু খুব দ্রুত ভাষা শিখতে পারে, নতুন শব্দ মুখস্থ করতে পারে এবং বিভিন্ন বাক্য গঠনের নিয়ম বুঝতে শুরু করে। শুধু ভাষাই নয়, কার্টুনে ব্যবহৃত নানা রঙ, আকার, সংখ্যা কিংবা প্রতীক শিশুর মনে সহজে গেঁথে যায়। যেমন, বিভিন্ন প্রাণীর নাম, খাবারের ধরন, এমনকি ভদ্রতা বা সামাজিক আচরণ সম্পর্কেও শিশুরা কার্টুন থেকে শিখে নেয়। বিশেষ করে ‘সিসিমি স্ট্রিটের’ এর মতো শিক্ষামূলক কার্টুন শিশুদের ভাষা ও সংখ্যা শেখায়। তবে বাবা-মায়ের অংশগ্রহণ এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।

অতিরিক্ত কার্টুন দেখার ক্ষতিকর দিক: বিশেষজ্ঞরা অতিরিক্ত কার্টুন দেখার বেশকিছু ক্ষতিকর দিক তুলে ধরেছেন। এগুলো হলো:

মনোযোগ কমে যাওয়া: মাত্র নয় মিনিট দ্রুতগামী কার্টুন দেখার পরই প্রি-স্কুল শিশুদের মনোযোগ, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা কমে যেতে দেখা গেছে।

দীর্ঘমেয়াদি বিকাশে বিলম্ব: ২-৫ বছর বয়সী যারা বেশি সময় স্ক্রিনে কাটায়, তাদের ভাষা, স্মৃতি ও সামাজিক দক্ষতা অন্যদের তুলনায় ধীরগতিতে গড়ে ওঠে।

আচরণগত পরিবর্তন: অনেক সময় শিশুরা কার্টুনের আক্রমণাত্মক কাজ অনুকরণ করে বা অস্বাভাবিক ভঙ্গিমা ও কথোপকথনের ধরন গ্রহণ করে। তারা বাস্তব ও কল্পনার পার্থক্য বুঝতেও সমস্যায় পড়ে।

জ্ঞান ও আবেগের চাপ: ফ্যান্টাসিভরা, দ্রুত দৃশ্য পরিবর্তন হওয়া কার্টুন শিশুদের জ্ঞানীয় ব্যবস্থাকে চাপে ফেলে। এতে মনোযোগ কমে, স্মৃতি দুর্বল হয় এবং হঠাৎ সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রবণতা বাড়ে।

সামাজিক ও মানসিক সমস্যা: বেশি সময় কার্টুন দেখার কারণে বাস্তব খেলাধুলা ও কথোপকথনের সুযোগ কমে যায়। এতে শিশুদের সামাজিক দক্ষতা কমে, উদ্বেগ বাড়ে, ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়।

অতিরিক্ত কার্টুন দেখার প্রভাব: শিশুদের মস্তিষ্ক ও আচরণে কী ঘটে?

শিশুদের কাছে কার্টুন খুবই আকর্ষণীয় হলেও, অতিরিক্ত কার্টুন দেখা তাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। শিশু স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. পূজা কপূর বলছেন, শিশু কী ধরনের কার্টুন দেখছে, কতক্ষণ দেখছে এবং বাবা-মায়ের অংশগ্রহণ কতটা, তার ওপর নির্ভর করে এর প্রভাব।

কার্টুনের ইতিবাচক দিক

কার্টুন শিশুদের ভাষা শেখা, নতুন শব্দ মুখস্থ করা এবং বিভিন্ন রঙ ও সংখ্যা সম্পর্কে ধারণা পেতে সাহায্য করে। বিশেষ করে 'সিসামি স্ট্রিট'-এর মতো শিক্ষামূলক কার্টুনগুলো শিশুদের ভাষা ও সংখ্যাজ্ঞান বাড়াতে সহায়ক হতে পারে। তবে বাবা-মায়ের সঙ্গ এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অতিরিক্ত কার্টুন দেখার ক্ষতিকর দিক

বিশেষজ্ঞরা অতিরিক্ত কার্টুন দেখার কিছু নেতিবাচক দিক তুলে ধরেছেন:

* মনোযোগ কমে যাওয়া: মাত্র নয় মিনিট দ্রুতগতির কার্টুন দেখার পর ছোট শিশুদের মনোযোগ, আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা কমে যেতে পারে।

* বিকাশে বিলম্ব: ২ থেকে ৫ বছর বয়সী যেসব শিশু বেশি সময় স্ক্রিনে কাটায়, তাদের ভাষা, স্মৃতি ও সামাজিক দক্ষতা তুলনামূলকভাবে দেরিতে বিকশিত হয়।

* আচরণগত পরিবর্তন: শিশুরা অনেক সময় কার্টুনের আক্রমণাত্মক আচরণ অনুকরণ করে বা বাস্তব ও কল্পনার পার্থক্য বুঝতে পারে না।

* সামাজিক ও মানসিক সমস্যা: অতিরিক্ত কার্টুন দেখার কারণে শিশুরা বাস্তব খেলাধুলা এবং মানুষের সঙ্গে মেলামেশার সুযোগ হারায়, যা তাদের সামাজিক দক্ষতা কমিয়ে দেয় এবং উদ্বেগ ও ঘুমের সমস্যা বাড়ায়।

* শারীরিক ক্ষতি: দীর্ঘ সময় বসে থাকার কারণে শিশুদের শারীরিক কার্যক্রম কমে যায়, যা চোখের ওপর চাপ বাড়াতে পারে এবং মাথাব্যথা ও ওজন বাড়ার ঝুঁকি তৈরি করে।

সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখার উপায়

পেডিয়াট্রিক নিউরোলজিস্টরা পরামর্শ দেন যে কার্টুনকে সচেতনভাবে একটি শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা উচিত। কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ নিচে দেওয়া হলো:

* সময়সীমা নির্ধারণ: প্রি-স্কুল শিশুদের জন্য দিনে এক ঘণ্টার বেশি কার্টুন দেখতে দেওয়া উচিত নয়।

* বিষয়বস্তু বাছাই: হিংসাত্মক বা দ্রুতগতির কার্টুনের বদলে শিক্ষামূলক এবং ধীরগতির কার্টুন বেছে নিন।

* সঙ্গে বসে দেখুন: সম্ভব হলে শিশুদের সঙ্গে বসে কার্টুন দেখুন এবং তাদের বাস্তব জীবনের সঙ্গে বিষয়গুলো মেলাতে সাহায্য করুন।

* বিকল্প কাজে উৎসাহ দিন: খেলাধুলা, সৃজনশীল কাজ এবং বাস্তব মেলামেশায় শিশুদের উৎসাহিত করুন।

* বাস্তবতা বোঝান: সহজভাবে শিশুদের বুঝিয়ে দিন যে কার্টুনে যা দেখানো হয়, তার সবটাই বাস্তব নয়।

আরও পড়ুন- নখ কাটলে কি অজু ভাঙে, ইসলাম কী বলে

আরও পড়ুন- পিত্তথলির পাথর হওয়ার ঝুঁকি কাদের বেশি

সঠিকভাবে পরিচালনা করলে কার্টুন শিশুদের জন্য আনন্দ ও শিক্ষার উৎস হতে পারে, কিন্তু অনিয়ন্ত্রিত স্ক্রিন টাইম তাদের স্বাস্থ্য ও বিকাশের জন্য বড় হুমকি।

সোহাগ /

ক্রিকেট

সিরিজ জয়ের পর শেষ ম্যাচে ভিন্ন চেহারায় নামবে বাংলাদেশ

সিরিজ জয়ের পর শেষ ম্যাচে ভিন্ন চেহারায় নামবে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজ জিতে গেছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচের জয় নিশ্চিত করার পর এখন ...

"এশিয়া কাপ ছাড়াই আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি বাংলাদেশ"

নিজস্ব প্রতিবেদক: নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিলেটে চলমান তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট ...

ফুটবল

"ব্রাজিল বনাম চিলি: জেনেনিন ম্যাচ শুরুর সময় ও লাইভ দেখার উপায়

ফুটবল ভক্তদের চোখ এখন ব্রাজিল-চিলি লড়াইয়ের দিকে। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের এই ম্যাচটি দুই দলের জন্য ...

দুটি প্রীতি ম্যাচের জন্য বাংলাদেশের ২৩ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা

দুটি প্রীতি ম্যাচের জন্য বাংলাদেশের ২৩ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক : অবশেষে নেপালের বিপক্ষে হাই-ভোল্টেজ প্রীতি ম্যাচের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ২৩ ...

Scroll to top

রে
Close button