প্রবাসীরা সাবধান : কঠোর অভিযানে ৩০৬ প্রবাসী বাংলাদেশি আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক: মালয়েশিয়ায় আবারও বড় পরিসরের অভিবাসনবিরোধী অভিযানে ৩০৬ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। কুয়ালালামপুরসহ বিভিন্ন রাজ্যে পরিচালিত এই যৌথ অভিযানে মোট আটক করা হয়েছে প্রায় এক হাজারের বেশি বিদেশিকে, যাদের মধ্যে বাংলাদেশি ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তানের নাগরিকরাও রয়েছেন।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, “অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ আসছিল। যারা কাজের বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই অবস্থান করছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
কীভাবে অভিযান পরিচালিত হয়?মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে এই অভিযান পরিচালিত হয়। টার্গেট করা হয়েছিল নির্মাণ এলাকা, রেস্তোরাঁ, বাণিজ্যিক ভবন ও গৃহকর্মীদের সম্ভাব্য আবাসস্থলগুলো। অনেকেই অবৈধ ভিসা, মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট কিংবা কোনো বৈধ নথিপত্র ছাড়াই সেখানে ছিলেন।
প্রবাসীদের আচরণ ও জবাবদিহি সন্দেহজনক মনে হলেই, যাচাই শেষে কাগজপত্রবিহীনদের আটক করা হয়।
বাংলাদেশিদের অবস্থা কী?আটক হওয়া ৩০৬ জন বাংলাদেশির বেশিরভাগই ছিলেন রেস্টুরেন্ট, নির্মাণ ও কারখানা কর্মী। অনেকের ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তারা অবস্থান করছিলেন অবৈধভাবে। অনেকে আবার ভ্রমণ ভিসা বা ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে প্রবেশ করে কর্মসংস্থানে যুক্ত হয়েছিলেন—যা দেশটির অভিবাসন আইন লঙ্ঘন করে।
পরবর্তী পদক্ষেপআটকদের ডিটেনশন সেন্টারে নেওয়া হয়েছে এবং যাচাই-বাছাই শেষে তাদের বিরুদ্ধে নির্বাসন বা জরিমানাসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মালয়েশিয়ান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রয়োজন হলে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়াও শুরু হবে দ্রুত।
বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আটক বাংলাদেশিদের তালিকা চাওয়া হয়েছে এবং তাদের আইনগত সহায়তা প্রদানসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যাবেন।
আগাম সতর্কবার্তামালয়েশিয়ান সরকারের পক্ষ থেকে প্রবাসীদের আবারও সতর্ক করে বলা হয়েছে, অবৈধ পথে কাজ না করতে এবং বৈধ কাগজপত্র ব্যতীত অবস্থান না রাখতে। না হলে ভবিষ্যতে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
FAQ:
প্রশ্ন: কোথায় অভিযান চালানো হয়?
উত্তর: কুয়ালালামপুর, সেলাঙ্গর, সারাওয়াকসহ মালয়েশিয়ার বিভিন্ন রাজ্যে অভিযান চালানো হয়েছে।
প্রশ্ন: কেন আটক করা হয়েছে বাংলাদেশিদের?
উত্তর: অধিকাংশের বৈধ কাগজপত্র ছিল না, ভিসার মেয়াদ শেষ বা তারা অবৈধভাবে কাজ করছিলেন।
প্রশ্ন: তাদের কী হবে?
উত্তর: যাচাই শেষে অনেককে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে বা আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে পারেন।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দূতাবাস কী করছে?
উত্তর: তালিকা সংগ্রহ করে আইনি সহায়তা ও দ্রুত হস্তক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে দূতাবাস।
- ৯০ মিনিটের খেলা শেষ : জেনেনিন বাংলাদেশ বনাম লাওস ম্যাচের সর্বশেষ ফলাফল
- আজ বাংলাদেশ বনাম লাওস: কখন, কোথায় দেখবেন ও কী আছে পরিসংখ্যানে
- পোস্ট অফিসে ১ লাখ টাকা রাখলে প্রতি মাসে কত মুনাফা
- শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর দিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
- ১-০ গোলে শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম লাওস ম্যাচের প্রথমার্ধের খেলা
- নাটকীয় লস টাইমের গোল উৎসব শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম লাওসের ম্যাচ
- হাসনাত-জারা-সারজিসসহ এনসিপির ৫ শীর্ষ নেতা শোকজ"
- বিমানবন্দরে ২৬ বাংলাদেশি আটক করলো পুলিশ
- বিমানবন্দর থেকে ফেরার পথে প্রবাসীর পরিবারের ৭ জন নিহত
- পোস্ট ডিলিটের পাল্টা জবাব ড্রোন দিয়ে দিলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
- বিসিবির ২৫০ কোটি টাকার ইস্যু: ফারুকের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষে যা বললো দুদক
- হাড্ডাহাড্ডি লড়ায়ে শেষ হলো বাংলাদেশ বনাম দ:আফ্রিকার ক্রিকেট ম্যাচ
- যে কারনে এনসিপির ৫ শীর্ষ নেতাকে শোকজ, কী বলা হয়েছে চিঠিতে
- বেড়েছে আজকের সৌদি রিয়ালের রেট, জেনেনিন আজকের রেট
- ফুটবল ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ