| ঢাকা, বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২

মুস্তাকিম

জুনিয়র রিপোর্টার

হাঁচি-কাশির জ্বালায় অস্থির? জানুন মৌসুমি ঠান্ডা-অ্যালার্জির সঠিক সমাধান

লাইফস্টাইল ডেস্ক . স্পোর্টসআওয়ার২৪
২০২৫ আগস্ট ০৬ ১১:২৯:৩৩
হাঁচি-কাশির জ্বালায় অস্থির? জানুন মৌসুমি ঠান্ডা-অ্যালার্জির সঠিক সমাধান

মৌসুম পরিবর্তনের সময় অনেকেই হঠাৎ ঠান্ডা লাগা, হাঁচি-কাশি, গলা চুলকানি, চোখে পানি পড়া বা নাক বন্ধ হওয়ার সমস্যায় ভোগেন। বিশেষ করে বর্ষা ও শীতকালে এই ধরণের সমস্যাগুলো বেশি দেখা যায়। অনেকের জন্য এটি শুধু অস্বস্তিকর নয়, বরং কাজের ক্ষতি থেকে শুরু করে ঘুমের ব্যাঘাত পর্যন্ত ঘটায়। এই সমস্যার পেছনে মূলত রয়েছে কিছু সাধারণ কারণ ও পরিবেশগত প্রভাব, যেগুলো একটু সতর্কতা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিলে সহজেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

মৌসুমি ঠান্ডা ও অ্যালার্জির অন্যতম কারণ হলো আবহাওয়ার হঠাৎ পরিবর্তন। গরম থেকে ঠান্ডা বা ঠান্ডা থেকে গরম—এই পরিবর্তনে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হঠাৎ দুর্বল হয়ে পড়ে। পাশাপাশি বাতাসে ভেসে থাকা ধুলাবালি, ধোঁয়া ও বিভিন্ন অ্যালার্জেন (যেমন ফুলের পরাগ, পশুর লোম বা ছাঁচ) আমাদের শ্বাসতন্ত্রে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে। এ ছাড়া রাইনোভাইরাস বা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো ভাইরাসও ঠান্ডা লাগার অন্যতম কারণ হিসেবে কাজ করে।

এই সমস্যার লক্ষণগুলো সাধারণত একই রকম হয়—বারবার হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া বা নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, গলা চুলকানো বা ব্যথা, চোখ লাল হওয়া ও চুলকানো, হালকা জ্বর এবং মাঝে মাঝে শ্বাসকষ্ট বা কাশি দেখা দেয়। ছোট শিশু, হাঁপানি বা এলার্জিতে ভোগা মানুষদের মধ্যে এই লক্ষণগুলো আরও তীব্র হতে পারে।

তবে এই সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিকার রয়েছে। প্রথমত, ব্যক্তিগত ও পারিপার্শ্বিক পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। বাইরে থেকে এসে হাত-মুখ ধোয়া, ঘরের চাদর ও পর্দা নিয়মিত পরিষ্কার করা এবং মাস্ক ব্যবহার করা অনেকটাই সুরক্ষা দেয়। দ্বিতীয়ত, যারা অ্যালার্জিতে ভোগেন, তাদের উচিত সম্ভাব্য অ্যালার্জেন যেমন ধুলাবালি, পশুর লোম বা ফুলের গন্ধ এড়িয়ে চলা। তৃতীয়ত, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত পানি পান করা ও ঘুম নিশ্চিত করা দরকার।

অনেক সময় ঘরোয়া কিছু প্রতিকারও এই সমস্যায় উপকারী প্রমাণিত হয়। যেমন গরম পানির স্যুপ, আদা-মধু-লেবুর পানীয় গলার ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। লবণ পানি দিয়ে গার্গল করলে গলার ইনফেকশন থেকে রেহাই মেলে। আবার গরম পানির ভাপ নেওয়া নাক বন্ধ খোলার জন্য কার্যকর। তবে এসব পদ্ধতিতে যদি সাত-দশ দিনের মধ্যেও উন্নতি না হয়, কিংবা জ্বর, শ্বাসকষ্ট বা অন্য কোনো জটিলতা দেখা দেয়, তখন অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

চিকিৎসকদের মতে, মৌসুমি ঠান্ডা বা অ্যালার্জি সাধারণত মারাত্মক নয়, তবে অবহেলা করলে তা হাঁপানি, সাইনাস ইনফেকশন বা নিউমোনিয়ায় রূপ নিতে পারে। তাই মৌসুম পরিবর্তনের সময় সতর্ক থাকা, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ উপায়।

Scroll to top

রে
Close button