| ঢাকা, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

শরিরের এই ১১টি লক্ষণ ভুলেও এড়িয়ে যাবেন না

লাইফস্টাইল ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০২৫ মে ২৫ ১১:২৪:৫২
শরিরের এই ১১টি লক্ষণ ভুলেও এড়িয়ে যাবেন না

মানুষকে যে রোগগুলো বেশি ভোগায়, তার মধ্যে ক্যানসার সবচেয়ে ভীতিকর। ক্যানসার শরীরে একবার বাসা বেঁধে ফেললে রোগীকে বাঁচিয়ে ফেরানোর সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যায়।

ক্যানসার

ক্যানসার হলে আরও অনেক রোগ চেপে বসে শরীরে। তখন রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা একেবারে দুঃসাধ্যই হয়ে যায়। তবে কেউ যদি প্রাথমিক পর্যায়েই এই মরণব্যাধি শনাক্ত করে ফেলতে পারে, তার বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকখানিই উজ্জ্বল থাকে।

সেজন্য চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন, দুঃখ করার চেয়ে নিজেকে সুস্থ রাখাই দরকার বেশি। তাই শরীরে কোনো অসুস্থতা দেখা দিলে, বিশেষত উদ্বেগজনক কোনো উপসর্গ বোঝা গেলে, অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। কিন্তু ক্যানসারের লক্ষণ বোঝার ওপায় কী? স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট দিয়েছে ১১টি লক্ষণ।

এই উপসর্গগুলো দেখা দিলে ঘাবড়ে না গিয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে রোগী ও স্বজনদের।

দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি: আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে ক্লান্তিবোধ করেন অথবা অবসাদে ভোগেন তবে সেটা অনেক রোগেরই কারণ হতে পারে, হতে পারে ক্যানসারও। মলাশয়ের ক্যানসার বা রক্তে ক্যানসার হলে সাধারণত এমন উপসর্গ দেখা যায়। তাই, আপনি যদি স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে বেশি ক্লান্তিবোধ করেন অথবা দীর্ঘসময় ধরে ক্লান্ত থাকেন, অবিলম্বে চিকিৎসাসেবা নিন।

হঠাৎ ওজন হ্রাস: কোনো কারণ ছাড়া হঠাৎ করেই দ্রুতগতিতে যদি ওজন হারাতে থাকেন, তবে ভাবনার কারণ আছে। অনেক ক্যানসারই সাধারণত হুট করে ওজন কমিয়ে ফেলে। তাই শরীরের ওজনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে সব সময়। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার শনাক্ত করা গেলে চিকিৎসাসেবায় রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার শনাক্ত করা গেলে চিকিৎসাসেবায় রোগীকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।

দীর্ঘদিনের ব্যথা: কোনো কারণ (যেমন জখম-আঘাত) ছাড়া যদি আপনি দীর্ঘদিন ধরে শরীরের কোনো স্থানে ব্যথায় ভোগেন, তবে তাতে ওষুধও কাজ না করলে এ নিয়ে ভাবনার কারণ আছে। শরীরের কোন জায়গায় ব্যথা করছে তার ওপর নির্ভর করছে রোগী ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত নাকি ডিম্বাশয়, পায়ুপথ বা মলাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত।

অস্বাভাবিক মাংসপিণ্ড: আপনি যদি শরীরের কোনো অংশে অস্বাভাবিক কোনো মাংসপিণ্ড দেখতে পান অথবা মাংস জমাট হতে দেখেন কিংবা এ ধরনের পরিবর্তন বুঝতে পারেন, তবে এটা তেমন কিছুরই লক্ষণ, যা আপনার কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত। এমনকি আপনার শরীরে কোনো পরিবর্তন স্বাভাবিক মনে হলেও পর্যবেক্ষণ করুন, এরপর অন্তত চিকিৎসককে জানান।

ঘন ঘন জ্বর: ক্যানসার শরীরে জেঁকে বসলে স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। এতে ঘন ঘন জ্বর দেখা দেয়। দুর্ভাবনার ব্যাপার হলো, কিছু ক্যানসারের শেষ পর্যায়েরই উপসর্গ ঘন ঘন জ্বর। তবে ব্ল্যাড ক্যানসারসহ এ ধরনের কিছু ক্যানসারের প্রাথমিক পর্যায়েই ঘন ঘন জ্বর দেখা দেয় শরীরে।

বিজ্ঞাপনত্বকে পরিবর্তন: অনেকেই ত্বকের ক্যানসারের ব্যাপারে সচেতন নন। ত্বকে অস্বাভাবিক পরিবর্তনই এমন ক্যানসার শনাক্ত করার সহজ উপায়। তাই ত্বকে অতিরিক্ত তিল বা ফ্রিকেল অথবা আঁচিলের দিকে খেয়াল করুন। যদি এর রং, আকারে অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখা যায়, তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। ত্বক লালচে হয়ে যাওয়া, ফসকুড়ি পড়ে যাওয়া এবং রক্তক্ষরণও অন্যান্য ক্যানসারের উপসর্গ।

দীর্ঘস্থায়ী কাশি: আপনি যদি দেখেন যে ওষুধ সেবনের পরও কাশি সারছেই না, তবে শীতকালীন কাশির চেয়েও এটা বেশি কিছু ধরে নিতে হবে। আর এই কাশির কারণে যদি আপনার বুক, পিঠ বা কাঁধে ব্যথা করে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

মল-মূত্রত্যাগের অভ্যাসে পরিবর্তন: যদি মল বা মূত্রত্যাগের জন্য ঘন ঘন শৌচাগারে যেতে হয়, তবে এখানে ক্যানসার নিয়ে ভাবনার কারণ আছে। ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যও মলাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ। মূত্রত্যাগের সময় অন্ত্রে ব্যথা বা রক্তক্ষরণ মূত্রথলির ক্যানসারের উপসর্গ।

অকারণে রক্তক্ষরণ: যদি কাশির সময় রক্তক্ষরণ হয়, তবে এটা ক্যানসারের বড় লক্ষণ। এছাড়া স্ত্রী অঙ্গ (ভ্যাজিনা) বা মলদ্বার থেকে রক্তক্ষরণসহ এ ধরনের অন্যান্য অস্বাভাবিকতাও ক্যান্সারের উপসর্গ।

খাবার গ্রহণে সমস্যা: কেউ খাবার খেলেই যদি নিয়মিত বদহজমে ভোগেন, তবে পেট, কণ্ঠনালী বা গলার ক্যানসার নিয়ে ভাবনার কারণ আছে। অবশ্য সাধারণত এসব উপসর্গকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় না। তবু অসুস্থতাকে কখনো এড়িয়ে যেতে নেই।

অন্যান্য উপসর্গ: বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওপরে উল্লিখিত উপসর্গগুলোকে ক্যানসারের সাধারণ লক্ষণ মনে করা হয়। তবে এর বাইরেও অনেক লক্ষণ আছে ক্যানসারের। এগুলোর মধ্যে আছে পা ফুলে যাওয়া, শরীরের আকারে বা অনুভূতিতে অস্বাভাবিক পরিবর্তন ইত্যাদি।

সবশেষ কথা হলো, ক্যানসারের অনেক কারণ বোঝাও যায় না, এমনকি অন্য ক্যানসারের চিকিৎসার পরবর্তী পরিণতি হিসেবে আরেক ক্যানসার দেখা দেয়। তাই শরীরের যেকোনো অসুস্থতাকেই গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসাসেবা নিতে হবে। বিশেষ করে বয়স ৩০-৪০ বছর পেরিয়ে গেলে অবশ্যই প্রতি অর্ধবছর বা প্রতিবছর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে।

ডিম আগলে বসে রয়েছে বিশাল বড় কোবরা, কাছে যেতেই রেগে ফোঁস করে উঠলো

আশার কথা এই যে, প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করতে পারলে বেশিরভাগ ক্যানসারেরই চিকিৎসা সম্ভব। জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন, বলিউড অভিনেত্রী মনিষা কৈরালা বা ভারতের ক্রিকেটার যুবরাজ সিংরা কিন্তু ক্যানসার জয় করে দাপটের সঙ্গেই ফিরেছেন স্ব স্ব অঙ্গনে।

ক্রিকেট

সাকিবকে নিয়ে আগে খেকেই যে সন্দেহ করেছিলেন লাহোর কালান্দার্সের মালিক

সাকিবকে নিয়ে আগে খেকেই যে সন্দেহ করেছিলেন লাহোর কালান্দার্সের মালিক

সাকিব আল হাসানের ব্যাক্তিত্ব নিয়ে আগে সন্দেহ ছিল লাহোর কালান্দার্সের মালিকের! তবে সাকিবের সাথে দেখা ...

ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রানের পাহাড় গড়লো বাংলাদেশ

ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রানের পাহাড় গড়লো বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: শারজাহতে আজ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত ...

ফুটবল

বিশ্বকাপে মেসি-রোনালদো খেলবেন একই দলে

বিশ্বকাপে মেসি-রোনালদো খেলবেন একই দলে

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাচ্ছে না আল নাসের। কারণ দলটি টুর্নামেন্টের যোগ্যতা অর্জন করতে ...

IFFHS এর র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী সর্বকালের সেরা ১০ ফুটবলার

IFFHS এর র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী সর্বকালের সেরা ১০ ফুটবলার

ফুটবলে শ্রেষ্ঠত্বের প্রশ্নে পেলে ও ম্যারাডোনাকে নিয়ে বিতর্ক চলেছে দীর্ঘকাল। স্বাভাবিকভাবেই এই বিতর্ক অমীমাংসিত থেকে ...



রে