কোন আইনে নিষিদ্ধ হচ্ছে আওয়ামী লীগ, জানালেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে একটি সম্ভাব্য সিদ্ধান্ত—ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলটিকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায়। এ সংক্রান্ত সরকারি পরামর্শদাতা পরিষদের এক বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধিত ২০১৩)-এর ধারা ১৮ অনুযায়ী, সরকার যদি মনে করে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন "সন্ত্রাসী কার্যক্রমে" যুক্ত, তাহলে তাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আইন অনুযায়ী তালিকাভুক্ত করতে পারে।
সংশ্লিষ্ট আইন কী বলছে?ধারা ১৮ অনুযায়ী,
“কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকলে সরকার তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারবে এবং আইনের সংযুক্তিতে (Schedule) অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।”
এই আইনের আওতায় এর আগে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল—
হারকাতুল জিহাদ
জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (JMB)
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী
ইসলামী ছাত্র শিবির
এমনকি এক সময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার ইঙ্গিত কেন?ব্যারিস্টার কাজল বলেন, সাম্প্রতিক এক সরকারি প্রেসনোটে বুঝা যায় সরকার এই আইন ব্যবহার করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছু ঘোষণা করা হয়নি, তবে তার মতে, এই সিদ্ধান্ত "ভয়ানক পরিণতির" দিকে নিয়ে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন—
“আওয়ামী লীগ যদি একটি 'entity' হয় এবং তাদের কার্যক্রম যদি রাষ্ট্র মনে করে সন্ত্রাসমূলক, তবে এই আইনেই তাদের নিষিদ্ধ করা সম্ভব।”
একটি রাজনৈতিক দলকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে চিহ্নিত করা কতটা আইনি?অনেকের প্রশ্ন—একটি বৈধ রাজনৈতিক দল কীভাবে এই আইনে নিষিদ্ধ হতে পারে? ব্যারিস্টার কাজল জানান,
“আইনটি খুব বিস্তৃত। এমনকি যদি কেউ শুধু ওই সংগঠনের পক্ষে কথা বলেন, প্রচার করেন বা আহ্বান জানান, তাহলেও ২ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। এ কারণে বহু মানুষ আগেও এই আইনের আওতায় হয়রানির শিকার হয়েছেন।”
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রক্রিয়া?আরও বিস্ময়কর তথ্য দিয়ে ব্যারিস্টার কাজল বলেন, আওয়ামী লীগকে একটি সংগঠন হিসেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার করার উদ্যোগও নিচ্ছে সরকার।
তিনি বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ফেব্রুয়ারিতে প্রথম এই প্রস্তাব দেন প্রধান উপদেষ্টার কাছে। এরপর সব উপদেষ্টা সদস্য বিষয়টি অনুমোদন করেন, যদিও তখন তা বাস্তবায়ন হয়নি। কিন্তু এবার তা আবার আলোচনায় এসেছে এবং ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান ব্যারিস্টার কাজল।
আপিল ও পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছেযদি সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে, তবে দলটির জন্য আইনি পথ খোলা থাকবে:
৩০ দিনের মধ্যে সরকারকে পুনর্বিবেচনার আবেদন করা যাবে।
সরকার যদি পুনর্বিবেচনায় অস্বীকৃতি জানায়, তবে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করা যাবে
- বাংলাদেশিদের জন্য দুঃসংবাদ! এক রাতেই বদলে গেল সৌদির ভিসা নীতিমালা
- চরম দু:সংবাদ : সৌদির কালো তালিকায় বাংলাদেশি
- বাজুসের রাতারাতি সিদ্ধান্তে সোনার দাম তলানিতে,জেনেনিন ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- ১ বা ৩ কোটিতে নয় আকাশ ছোয়া মুল্যে আইপিএলে দল পেলেন মুস্তাফিজ
- বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হলো পার্থর স্ত্রীকে
- ৬ জয় ও ৩ ড্রয়ে ২১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিল পাল্টে দিলো ব্রাজিল
- ভিসা নিয়ে বাংলাদেশকে সুখবর পাঠালো যে দুই দেশ
- প্রকাশিত হলো আইপিএলের নতুন সময়সূচি ও ফাইনাল ম্যাচের সময়
- শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় : সর্বশেষ আপডেট
- টাকা ছাপিয়ে বাজেট নয়! চমকে দেওয়া ঘোষণা দিলেন অর্থ উপদেষ্টা
- আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ঘোষণায় ভারতের মাথায় হাত
- বড় সুখবর পেঁয়াজের বাজারে
- আবারও পাল্টে গেলো সোনার দাম
- ১০ বলে ২৭ রান , ক্রিকেট ইতিহাসে বাংলাদেশের নাটক
- সাম্যকে নিয়ে যে স্ট্যাটাস দিলেন উপদেষ্টা আসিফ