অবশেষে মুখ খুললেন পলাশ সাহার স্ত্রী সুস্মিতা সাহা, জানালেন করুণ কাহিনি

স্বামী পলাশ সাহার মৃত্যুর পর অবশেষে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন তার স্ত্রী সুস্মিতা সাহা। এক আবেগঘন সাক্ষাৎকারে তিনি তুলে ধরেছেন তাদের দাম্পত্য জীবনের না বলা গল্প, যেখানে ভালোবাসার পাশাপাশি ছিল শ্বাসরুদ্ধকর পারিবারিক টানাপোড়েন ও অবহেলার দীর্ঘ ছায়া।
ভালোবাসার শুরু, কিন্তু বাধা ছিল অন্যখানেসুস্মিতা জানান, পলাশ সাহা তাকে পছন্দ করে ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলেন। তিনি বলেন,“যারা অনেক গয়না আর যৌতুক নিয়ে মেয়ে বিয়ে করাতে পছন্দ করে, তাদের মতো ছিল না আমার স্বামী। ও নিজে থেকেই আমাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল।”
কিন্তু বিয়ের পর থেকে পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যেতে থাকে। পলাশ তার মায়ের প্রতি অগাধ ভক্তি দেখাতেন, যা ধীরে ধীরে দাম্পত্য সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি করে।
মায়ের প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি—বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় সংসারেসুস্মিতা বলেন, “ওর মায়ের প্রতি ছিল অদ্ভুত এক আসক্তি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কী পরবে, কী খাবে, কখন ঘুমাবে—সব কিছু ওর মা-ই ঠিক করে দিতেন।”
তিনি অভিযোগ করেন, তার শ্বাশুড়ি কখনোই তাকে আপন করে নেননি। এমনকি রান্নাঘরেও তাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হতো না।“আমি যখন ভোরে উঠে ওর জন্য নাশতা বানাতে চাইতাম, ওর মা আগেই বানিয়ে দিতেন, যেন আমি কিছু করতে না পারি,”—জানান সুস্মিতা।
বিয়ের পরেও আলাদা ঘর—স্বামীর উদাসীনতা ও শ্বাশুড়ির কর্তৃত্বএকটি দৃষ্টান্ত তুলে ধরে সুস্মিতা জানান, ঢাকার শান্তিনগরের একটি ১৮ তলা অ্যাপার্টমেন্টে তারা থাকতেন। সেই ফ্ল্যাটের মাস্টার বেড রুম পর্যন্ত তিনি নিজের জন্য চাননি—বলেছিলেন শাশুড়ির জন্য দিতে। কিন্তু তার স্বামী বলেন,“তুমি নিজে না নিয়ে বলছো আমার মাকে দাও? বাহ! ভালো বলেছো।”
এছাড়াও তিনি বলেন, “স্বামী-স্ত্রীর মতো করে সময় কাটানোর কোনো সুযোগই ছিল না। ওর চোখে সবসময় ছিল শুধু ‘মা’। আমাকে আলাদা সময় দেওয়া তো দূরের কথা, আমার অস্তিত্বকেই স্বীকৃতি দিত না।”
মানসিক যন্ত্রণা থেকে অস্তিত্ব সংকটেসুস্মিতা বারবার চেষ্টা করেছেন সম্পর্কটা ঠিক করার। শাশুড়িকে খুশি রাখার জন্য নিজের হাতেই তার চুলে তেল দেওয়া, গোসল করানো, নখ কেটে দেওয়া পর্যন্ত করেছেন।“আমি ভাবতাম, আমি যদি তার মাকে ভালোবাসি, তাহলে সে একদিন আমাকে বুঝবে। কিন্তু ওর মায়ের চোখে আমি কখনো ভালো হবো না,”—কান্নাজড়ানো কণ্ঠে বলেন তিনি।
পলাশ সাহার মৃত্যু ও স্ত্রীর অনুতপ্ত স্বরপলাশ সাহা ৩৫ বছর বয়সে মারা যান ৭ মে। সুস্মিতা তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন,“আমার স্বামী আমাকে ভালোবাসত, এটা আমি জানি। কিন্তু সে কখনো তার মায়ের ছায়া থেকে বের হতে পারেনি। সেই টানাপোড়েনের মধ্যেই আমি হারিয়ে ফেলেছিলাম আমার সংসার, আমার স্বামীকে।”
সমাজের জন্য প্রশ্নসুস্মিতা সাহার বক্তব্য সমাজে একটি বড় প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়—সন্তান ও মা'র বন্ধন অবশ্যই মূল্যবান, কিন্তু যদি তা একজন স্ত্রী বা স্বামীর ন্যায্য স্থানকে গ্রাস করে নেয়, তবে সে সম্পর্ক কতটা সুস্থ?
শেষ কথা:সুস্মিতার চোখে ছিল এক অপূরণীয় শূন্যতা ও বোবা কান্না। তার বক্তব্য শুধু একটি নারীর জীবনের গল্প নয়, বরং হাজারো নারীর নিঃশব্দ আর্তনাদ, যারা শাশুড়ি ও স্বামীর মাঝে প্রতিনিয়ত হারিয়ে ফেলেন নিজেদের পরিচয়।
- বাংলাদেশিদের জন্য দুঃসংবাদ! এক রাতেই বদলে গেল সৌদির ভিসা নীতিমালা
- চরম দু:সংবাদ : সৌদির কালো তালিকায় বাংলাদেশি
- বাজুসের রাতারাতি সিদ্ধান্তে সোনার দাম তলানিতে,জেনেনিন ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- তরুণী মা'রধরের নেপথ্যে লঞ্চের ভেতরে সেদিন কী ঘটেছিল, ভিডিও প্রকাশ্যে
- বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হলো পার্থর স্ত্রীকে
- জামায়াত ইসলমীর আপিল শুনানি নিয়ে যে আদেশ দিলো আদালত
- জামায়াত-এনসিপি ‘বন্ধুত্বে’ হঠাৎ ফাটল
- ৬ জয় ও ৩ ড্রয়ে ২১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিল পাল্টে দিলো ব্রাজিল
- প্রকাশিত হলো আইপিএলের নতুন সময়সূচি ও ফাইনাল ম্যাচের সময়
- শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় : সর্বশেষ আপডেট
- টাকা ছাপিয়ে বাজেট নয়! চমকে দেওয়া ঘোষণা দিলেন অর্থ উপদেষ্টা
- আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ঘোষণায় ভারতের মাথায় হাত
- ভিসা নিয়ে বাংলাদেশকে সুখবর পাঠালো যে দুই দেশ
- শেয়ারবাজারে সংকট: সমাধানে বিএমবিএর পাঁচ বছরের পরিকল্পনা
- বড় সুখবর পেঁয়াজের বাজারে