বিপিএলে ফি’ক্সিং কান্ডে ৬০ ক্রিকেটারের নাম, বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গত পাঁচ আসরে ১৪০টি ঘটনার ওপর স্পট ফিক্সিংয়ের সন্দেহ রয়েছে। সবশেষ মৌসুমে এরকম ৩৬টি ঘটনার তথ্য মিলেছে। সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন দেশি-বিদেশি মিলিয়ে ৬০ জনের বেশি ক্রিকেটার, যাদের কারও বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে। বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগ এসব বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় লিগটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ’ হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি জাতীয় দৈনিকের অনুসন্ধানী এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট (আকসু) বিপিএলের প্রতি আসরেই সন্দেহভাজন ঘটনা ও খেলোয়াড়দের তালিকা পাঠায় বিসিবিকে। তবে ২০১৩ সালের আসর ব্যতীত এসব ঘটনার সঠিক তদন্ত হয়নি বললেই চলে। সবশেষ মৌসুমে (৩০ ডিসেম্বর থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি) ৩৬টি সন্দেহজনক ঘটনার মধ্যে ৩৪টি জড়িত ছিল তিনটি নির্দিষ্ট ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে, বাকি দুটি ঘটনার সঙ্গে ছিল আরেকটি দলের সংশ্লিষ্টতা।
এবার স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তদন্তে বিসিবি দৃশ্যমান উদ্যোগ নিয়েছে। আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বোর্ড। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবী ড. খালেদ এইচ চৌধুরী ও সাবেক ক্রিকেটার শাকিল কাসেম। তারা গত তিন মাসে বিপিএল সংশ্লিষ্ট প্রায় ৫০ জন খেলোয়াড়, কোচ ও কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন।
তদন্ত কমিটিকে প্রাথমিকভাবে চলতি আসরের ঘটনাগুলো তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হলেও, প্রাপ্ত তথ্য ও অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের দৃষ্টি গিয়েছে আগের আসরগুলোর দিকেও। বিসিবির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সর্বশেষ আসরে ৩৬টি সন্দেহজনক ঘটনার মধ্যে কিছু ঘটনায় এমন ব্যক্তিদের নাম এসেছে, যারা আগের তালিকাতেও ছিলেন।
আইসিসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পাঁচ আসরে মোট ৬৬ বার খেলোয়াড়দের নাম উঠেছে স্পট ফিক্সিং সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে, যদিও একাধিকবার একই ব্যক্তির নাম এসেছে।
তবে তদন্তকাজও চলছে নানা সীমাবদ্ধতায়। প্রমাণের অভাব, তথ্য গোপন ও সহযোগিতার অভাবে তদন্ত প্রক্রিয়া ধীরগতির। কমিটির একটি সূত্র জানায়, বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগ তদন্তে প্রয়োজনীয় সহায়তা না দেওয়ার অভিযোগও আছে। আইসিসির তথ্য প্রটোকলের কারণ দেখিয়ে অনেক তথ্য দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানিয়েছে বিভাগের একটি সূত্র। আবার তদন্ত কমিটির সদস্যরা এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি।
ফিক্সিং ঠেকাতে বিপিএলে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ড্রেসিংরুমে মোবাইল জমা দেওয়ার নিয়ম থাকলেও খেলোয়াড়-কর্মকর্তাদের ব্যাগে থাকা অতিরিক্ত ফোন বা টিম বয়ের অবাধ চলাফেরায় নজরদারিতে বড় ফাঁক থেকেই যাচ্ছে। বিসিবির দুর্নীতি দমন বিভাগ মনে করছে, তদন্তে তাদের সক্ষমতা যথেষ্ট; যদিও বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন আছে বিসিবির ভেতরেই।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়, কর্মকর্তা ও ফ্র্যাঞ্চাইজির পাশাপাশি বেশ কিছু সুপারিশ থাকবে বলে জানা গেছে। আন্তর্জাতিক তদন্ত সংস্থাকে সম্পৃক্ত করার প্রস্তাবও থাকতে পারে। তবে সবকিছু শেষ হতে দীর্ঘ সময় লেগে যেতে পারে। অতীতে টি-টেন লিগে এক বাংলাদেশি ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতেই আইসিসির সময় লেগেছিল প্রায় দেড় বছর।
রিয়ালের একাদশে গুলের, বার্সার গোলপোস্টে সেজনিরিয়ালের একাদশে গুলের, বার্সার গোলপোস্টে সেজনি
এই অবস্থায় স্পট ফিক্সিং রোধে দ্রুত, কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বিপিএলের ভাবমূর্তি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
- ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বহিষ্কার! হামজা চৌধুরীর মুখে চাঞ্চল্যকর তথ্য
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি : ২৫, ২৩, ২১, ১০ দিন
- করোনা বাড়ায় এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে আছে যে বিকল্প চিন্তা
- যে ৮ প্রকার নারীর সঙ্গে ভুলেও বিছানায় যাবেন না
- কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে মহা সংকটে মেহেদী মিরাজ, সবার কাছে চাইলেন দোয়া
- হিন্দু যুবকের বাড়িতে মুসলিম নারীর অবস্থান, এলাকায় ব্যাপক.,,
- অভিমানেই বড় সিদ্ধান্ত! আর ফিরতে চান না মুমিনুল
- আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে দিল ব্রাজিল ফুটবল
- জেনেনিন আজকের ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট ও ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- আইএল টি-20 ইতিহাস গড়তে যাচ্ছেন মুস্তাফিজ, টার্গেট এখন শুধু ‘ফিজ’
- এইচএসসি পরিক্ষা পেছানো হবে কিনা, যা বলছে শিক্ষা বোর্ডগুলো
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি নির্দেশনা
- বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করলো যে দেশ
- ভিসা নিয়ে চরম দু:সংবাদ
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট