বিসিবিতে উঠলো আলোচনার ঝড় : সাব্বির-নাসির-ইমরুলকে নিয়ে মুখ খুললেন সাকিব

নাসির হোসেন, সাব্বির রহমান এবং ইমরুল কায়েস ছিলেন বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের কিছু প্রতিশ্রুতিশীল খেলোয়াড়, যারা একসময় দারুণ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন। তাদের সাহসী ব্যাটিং এবং মাঠে দাপট দেখিয়ে তারা ভক্তদের আশা জাগিয়েছিলেন যে তারা দীর্ঘমেয়াদে দলের শক্তিশালী অংশ হয়ে উঠবেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফর্মহীনতা, শৃঙ্খলাজনিত সমস্যা, এবং চোট-আঘাতের কারণে তারা প্রত্যাশিত ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি এবং এক পর্যায়ে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন।
ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ মনে করেন যে, তারা যথেষ্ট সুযোগ ও পরামর্শ পেয়েছিলেন না এবং তাদের পাশে আরও ভালোভাবে থাকলে হয়তো তারা আরও বেশি সফল হতে পারতেন। আবার অন্য অংশের ধারণা, এই খেলোয়াড়রাই নিজেরা শৃঙ্খলার ঘাটতি এবং নিজস্ব প্রতিভা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার হাতছাড়া হওয়া সবসময়ই ক্রীড়াজগতের একটি দুঃখজনক অধ্যায়, এবং নাসির, সাব্বির ও ইমরুলের ক্ষেত্রেও এটি ভিন্ন নয়। তবু তারা একসময় দেশের ক্রিকেটে বিশেষ অবদান রেখেছেন, যা ভক্তদের স্মৃতিতে গেঁথে আছে।
সম্প্রতি বাংলা টাইগার্স-এর এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে সাকিব আল হাসান তার মতামত প্রকাশ করেন। সাব্বির রহমান ও নাসির হোসেনের প্রসঙ্গে একটি প্রশ্নের উত্তরে সাকিব ইমরুল কায়েস এবং মোহাম্মদ মিঠুনের নামও উল্লেখ করেন। সাকিব বলেন, “এরকম অনেক খেলোয়াড় আছে যারা নিজেদের দুর্ভাগা ভাবতেই পারে। হয়তো তারা বেশি সুযোগ পায়নি, বা নিজের সেরা পারফর্মেন্সটা ধরে রাখতে পারেনি।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের বাস্তবতা হল একটি দলে ১৫ জন খেলোয়াড় নির্বাচন করতে হয়, যার মধ্যে ১১ জন মাঠে সুযোগ পান। সব খেলোয়াড়ই সমান সুযোগ পান না, এবং এটা ক্রিকেটে স্বাভাবিক। কারও জন্য কিছু সুযোগই যথেষ্ট হতে পারে, আবার কারও জন্য একটু বেশি সুযোগ প্রয়োজন। যেটুকু সুযোগই খেলোয়াড় পায়, তাকে তার ভেতরে নিজেকে প্রমাণ করতে হয়।”
সাক্ষাৎকারটি নেন বাংলা টাইগার্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন চৌধুরী। সাকিব তার উদ্দেশ্যে ব্যাখ্যা করে বলেন, “আপনি যখন একটি দল পরিচালনা করবেন, তখন দেখবেন যে সবাইকে সমান সুযোগ দেওয়া সম্ভব হয় না। কাউকে হয়তো এক ম্যাচ দেখেই বাদ দিতে হয়, আবার কাউকে মনে হয় আরও সুযোগ দেওয়া উচিত। এখানে ভুলের কিছু নেই, এটা স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া।”
সাকিব আরও জানান, সাব্বির, নাসিরদের মতো প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের অল্প সময়ে হারিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ক্ষতি। ইমরুল কায়েসের প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, “ইমরুল সবসময়ই ব্যাকআপ হিসেবে প্রস্তুত থাকতেন, কিন্তু কখন ডাক পাবেন বা বাদ পড়বেন সেটি তারও জানা থাকত না। এমন প্রতিভাবান খেলোয়াড়েরা যদি আরও ভালো করতে পারত, তাহলে তাদের রঙিন ক্যারিয়ার যেমন হতো, তেমনি বাংলাদেশ দলও লাভবান হতো।”
সাকিবের এই মন্তব্যে বাংলাদেশের ক্রিকেটে সম্ভাবনাময় কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া খেলোয়াড়দের বাস্তবতা উঠে আসে, যেখানে ফর্ম ধরে রাখার পাশাপাশি একটি স্থির সুযোগ পাওয়াও অনেক সময় দুর্লভ হয়ে ওঠে।
- বাংলাদেশিদের জন্য দুঃসংবাদ! এক রাতেই বদলে গেল সৌদির ভিসা নীতিমালা
- চরম দু:সংবাদ : সৌদির কালো তালিকায় বাংলাদেশি
- বাজুসের রাতারাতি সিদ্ধান্তে সোনার দাম তলানিতে,জেনেনিন ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- ১ বা ৩ কোটিতে নয় আকাশ ছোয়া মুল্যে আইপিএলে দল পেলেন মুস্তাফিজ
- বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হলো পার্থর স্ত্রীকে
- ৬ জয় ও ৩ ড্রয়ে ২১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিল পাল্টে দিলো ব্রাজিল
- ভিসা নিয়ে বাংলাদেশকে সুখবর পাঠালো যে দুই দেশ
- প্রকাশিত হলো আইপিএলের নতুন সময়সূচি ও ফাইনাল ম্যাচের সময়
- সুখবর প্রবাসীদের জন্য : নতুন ভিসা চালু করল আমিরাত
- শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় : সর্বশেষ আপডেট
- টাকা ছাপিয়ে বাজেট নয়! চমকে দেওয়া ঘোষণা দিলেন অর্থ উপদেষ্টা
- বড় সুখবর পেঁয়াজের বাজারে
- আবারও পাল্টে গেলো সোনার দাম
- আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ঘোষণায় ভারতের মাথায় হাত
- ১০ বলে ২৭ রান , ক্রিকেট ইতিহাসে বাংলাদেশের নাটক