| ঢাকা, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে যে ভবিষ্যতবাণী করলেন রমিজ

খেলাধুলা ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০১৭ জুন ০৩ ১১:৫১:৪৮
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে যে ভবিষ্যতবাণী করলেন রমিজ

রমিজ রাজা:‌ বড় ম্যাচ জেতার জন্য তারকা লাগে। শুধু জোশ দিয়ে ইন্ডিয়া–‌পাকিস্তান ম্যাচ জেতা যায় না। এটা যদি আমরা সবাই মেনে নিই, তাহলে দেখবেন সমর্থক হিসেবে উগ্রতা প্রকাশ করার আগে হোঁচট খেতে হবে।

অথচ জাহির আব্বাস বলছেন, পাকিস্তানের তরুণরা নাকি চমকে দেবেন।রমিজ:‌ চমকানো সহজ ব্যাপার নয়। চমকানোর জন্য, মানে মস্তানি করার জন্য লাগে সুস্বাস্থ্য, শক্তি। এবং অবশ্যই অভিজ্ঞতা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই পাকিস্তান দলের কিন্তু এই গুণগুলি নেই। ফলে আমি খুব একটা আশাবাদী নই পাকিস্তানের জেতার ব্যাপারে।

তাহলে কি ধরে নিতে হবে ভারত খুব সহজেই পাকিস্তানকে হারিয়ে দেবে?‌রমিজ:‌ সহজ কিনা জানি না, পাকিস্তান জিতলে আমি অবাক হব। আমি তো আর বলতে পারছি না, ভারত সেদিন দল হিসেবে ভেঙে পড়বে। এই ইন্ডিয়া টিমের যা স্ট্রেংথ, তাতে এই পাকিস্তান দলকে হারাতে খুব একটা বেগ পেতে হবে না।

পাকিস্তানের মূল শক্তি লুকিয়ে আছে কোন বিভাগে?‌রমিজ:‌ বোলিং বিভাগে। মুহম্মদ আমির এবং জুনেইদরা যদি দুর্দান্ত বোলিং করে অঘটন ঘটাতে পারে, তাহলে অবাক হবেন না। এজবাস্টনের উইকেটে যথেষ্ট বাউন্স থাকবে। ফলে জোরে বোলাররা বাড়তি সুবিধা পাবেই।

ব্যাটিং বিভাগ?‌রমিজ:‌ এখানে কিন্তু ভারতীয়রা অনেক এগিয়ে। টিম ইন্ডিয়ার যা ব্যাটিং–‌শক্তি, তাতে ওরা সহজেই ৩০০ রান তাড়া করে ম্যাচ জিততে পারে। এটা ওরা করে দেখাচ্ছে বছরের পর বছর। ফলে ব্যাটিং বিভাগ নিয়ে বিশেষ চিন্তা করতে হবে না বিরাটকে। যদিও রোহিত শর্মার ফর্মে না–‌থাকাটা অবশ্যই একটা নেতিবাচক ব্যাপার। ভারতের আরেকটা শক্তি হল, দলে একাধিক অলরাউন্ডারের উপস্থিতি। এরা প্রত্যেকেই টেরিফিক উন্নতি করেছে। ১৯৭৫ সালে যে আইডিয়া নিয়ে বিভিন্ন দল ৫০ ওভারের ক্রিকেট খেলত, সেই ধ্যানধারণা এখন সব দল পাল্টে ফেলছে। এখন ওভার‌পিছু ৬ থেকে ৭ রান তুলতে চাইছে সব দল। টি–‌২০–‌র কল্যাণে ৬ বলে ৭ রান তোলাটা কোনও ব্যাপারই নয়।

পাকিস্তানে এই ম্যাচ নিয়ে আগ্রহ কেমন?‌রমিজ:‌ পাকিস্তানি জনতা তো এই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকে। এবং ওরা বিশ্বাস করে, ভারতকে হারানো সম্ভব। উগ্রপন্থী চিন্তাভাবনার প্রতিফলন এটা। টেকনিক, দলের শক্তি, এ সব নিয়ে বিশদে ভাবার প্রয়োজনীয়তা ওরা অনুভব করে না। ওরা শুধু জানে একটাই কথা— হিন্দুস্তান কো হারানো চাহিয়ে।

সীমান্তের গন্ডগোলের কারণে দু’‌দেশের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক খুব খারাপ।রমিজ:‌ মানছি। কিন্তু তার জন্য ক্রিকেট খেলা বন্ধ করে দেওয়া তো ঠিক হতে পারে না। পাকিস্তানে উগ্রপন্থী আছে। সংখ্যায় তারা ক’‌জন?‌ বাকি শান্তিকামী মানুষরা তো চায় ইন্ডিয়া–‌পাকিস্তান খেলা হোক। তাদের কথা কারা ভাববে?‌ কর্তারা দেখাচ্ছেন রাজনৈতিক নেতাদের আর রাজনৈতিক নেতারা দেখাচ্ছেন বিভিন্ন আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রের দিকে। এটা করে কারওই কিন্তু লাভ হচ্ছে না। ক্ষতি হচ্ছে ক্রিকেটপ্রেমীদের।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

ক্রিকেট

চরম দু:সংবাদ : আইপিএল থেকে অনেক বড় দু:সংবাদ পেলো মুস্তাফিজ

চরম দু:সংবাদ : আইপিএল থেকে অনেক বড় দু:সংবাদ পেলো মুস্তাফিজ

সর্বশেষ আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান এবং দারুণ পারফর্মও করেছিলেন। তবে আসন্ন ...

বাংলাদেশের হয়ে কি আর খেলতে পারবেন সাকিব,জানা গেলো আসল সত্য

বাংলাদেশের হয়ে কি আর খেলতে পারবেন সাকিব,জানা গেলো আসল সত্য

সাকিব আল হাসানের টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষাংশে যে অস্পষ্টতার মেঘ জমা হয়েছে, তা তাঁর ভক্ত এবং ...

ফুটবল

গোল,গোল বাংলাদেশ নেপালের ম্যাচে হলো ২ গোল,সর্বশেষ ফলাফল

গোল,গোল বাংলাদেশ নেপালের ম্যাচে হলো ২ গোল,সর্বশেষ ফলাফল

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বাংলাদেশ ও নেপাল উত্তেজনাপূর্ণ লড়াইয়ে গোলের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। প্রথমার্ধে গোলশূন্য ...

চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল নিয়ে যা বললেন :ড. মুহাম্মদ ইউনূস

চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল নিয়ে যা বললেন :ড. মুহাম্মদ ইউনূস

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের গৌরব অর্জন করেছে। এই অর্জনে ...



রে