গতকাল(২১ সেপ্টেম্বর) সৌদি আরব ফিরতে ব্যাকুল বাংলাদেশে আটকে পড়া সৌদি প্রবাসীদের আন্দোলনের মুখে ১০ জন প্রতিনিধিকে নিজেদের অফিসে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল সৌদি এয়ারলাইন্স। তাদের মাধ্যমে উপস্থিত সকলকেই সৌদি এয়ারলাইন্সের টিকিট সংগ্রহের জন্য সিরিয়াল টোকেন দেওয়া হয়।

কিন্তু আজ(২২ সেপ্টেম্বর) কোন প্রকার আগাম ঘোষণা ছাড়াই অনির্দিস্টকালের জন্য রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত সৌদি এয়ারলাইন্সের অফিস বন্ধ করে দিয়েছে তারা।

এ কারণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা করেছিলেন প্রবাসীরা। এরপর এই মুহূর্তে তাঁরা এখন মতিঝিলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।

উল্লেখ্য যে সৌদি আরব বাংলাদেশের সবচাইতে বৃহৎ প্রবাসী রেমিটেন্স খাত।

দেশে আটকে পড়া সৌদি প্রবাসীদের যদি সৌদি সরকার ফিরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানায় তাহলে তাদের পরিবার আর্থিকভাবে দারুণ ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

মানববন্ধনে উপস্থিত এক প্রবাসী জানান যে তার ফ্লাইট ছিল চলতি বছরের ২৩ মার্চ। কিন্তু বিগত ১৫ মার্চ থেকে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে সৌদি সরকার আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়ায় তিনি আর সৌদি আরব ফিরতে পারেননি।

ইতিমধ্যেই তাঁর পরিবার এই কয়েকমাসে দারুণ আর্থিক অনটনের ভিতর দিয়ে যাচ্ছে। খুব শিগগিরই সৌদি আরব ফিরতে না পারলে তাঁর জন্য পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব হবে।

অন্যদিকে আরেক সৌদি প্রবাসী জানান যে বেবিচকের এই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র দেশে থাকা লাখো সৌদি প্রবাসীরই নয়, যে সকল সৌদি প্রবাসী এই মুহূর্তে সৌদি আরব অবস্থান করছে তাদের ক্ষতির কারণও হতে পারে।

সৌদি সরকার বিরূপ হলে এর ফল ভয়াবহ হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই সৌদি প্রবাসী।