চুক্তির অংকটা আপনার মাথা ঘুরিয়ে দিতে পারে। মেসি, বার্সা ও সিটির ত্রিমুখি চুক্তি হচ্ছে ৩৩৩ মিলিয়ন ডলারের। অবিশ্বাস্য বটে। মেসি ও সিটি রাজি থাকলে এই চুক্তি হবে। শনিবার রাতে এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করল ব্রিটিশ প্রচারমাধ্যম ‘দ্য মিরর’।

২২২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিমিয়ে বার্সেলোনার কাছ থেকে নেইমারকে ছিনিয়ে নিয়েছিল প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। সেখান থেকেই শিক্ষাটা নিয়েছে বার্সা। দলের তারকা খেলোয়াড়দের রিলিজ ক্লজের অংকটা আকাশচুম্বি করে ফেলে তারা। সেই ধারাবাহিকতায় মেসির রিলিজ ক্লজ নির্ধারণ হয় ৭০০ মিলিয়ন ইউরো।

আকাশছোঁয়া এই অংক দিয়ে ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলারকে কেনার সাধ্য কারোর নেই বললেই চলে। খুব স্বাভাবিকভাবেই মেসি দলবদলে সবচেয়ে বড় বাধা এই রিলিজ ক্লজ। যে কারণে ফিফার কাছে নিজের দলবদল বিনামূল্যে চেয়ে আবেদন করেছেন মেসি। ফিফা মেসিকে ফ্রি ট্রান্সফারের অনুমতি দিলেও আইনি প্যাঁচ আছে। আর্জেন্টিনা অধিনায়ক ও ম্যানচেস্টার সিটিকে আদালতে নেওয়ার সামর্থ্য আছে বার্সেলোনার। স্বস্তির কথা হচ্ছে, অমন কঠিন সিদ্ধান্তে যাচ্ছে না কাতালানরা। এ কারণে মেসি ও সিটির সঙ্গে ঝামেলাটা চুকিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বার্সা।

মেসিকে বিক্রি করে আয়কৃত অর্থ দিয়ে নতুন করে ঢেলে দল সাজানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে স্প্যানিশ ক্লাবটি। ওদিকে মেসিকে নিয়ে দল সাজাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা। কাল রাতে এক প্রতিবেদনে ‘দ্য মিরর’ জানিয়েছে মেসির দলবদলের ওপর নির্ভর করছে স্প্যানিশ কোচের ভবিষ্যত।

প্রিয় শিষ্য ইতিহাদ চত্বরে এলে সিটির সঙ্গে তিন বছরের নতুন চুক্তিতে যাবেন গার্দিওলা। শেষ পর্যন্ত কী হবে সেটা দেখার অপেক্ষায় ফুটবল দুনিয়া। তার আগ পর্যন্ত মেসি, বার্সেলোনা ও ম্যানচেস্টার সিটিকে নিয়ে জল্পনা চলতেই থাকবে। অনিশ্চয়তার ফুটবলে কোনোকিছুই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।