প্রবাসী কর্মীদের নিয়ে অন্য দেশ গুলোর কাছে যে আবেদন করলো ঢাকা

জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। অন্তত আগামী ছয় মাস শ্রমিকদের চাকরিতে রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি চাকরি হারানো এই প্রবাসী কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার ২০০ কোটি টাকার তহবিলও গঠন করেছে।
বুধবার (৬ মে) প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এসব তথ্য উঠে এসেছে। নভেল করোনাভাইরাসের আক্রমণে দেশের বাইরে বাংলাদেশের কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে পররাষ্ট্র, বৈদেশিক শ্রম ও প্রবাসীকল্যাণ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সমন্বয়ে এটি ছিল পঞ্চম আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক।
ওই বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এক ভিডিও বার্তায় বলেন, যখনই এয়ার সার্ভিস শুরু হয়ে যাবে, তখন প্রবাসে যে যেখানে আছেন, চাইলেই আসতে পারবেন। তবে সবার প্রতি অনুরোধ, আপৎকালীন ওই খানে থাকতে পারলে থেকে যান। কেননা পরে নিশ্চয়ই সুযোগ আসবে যখন আপনারা কাজ করতে পারবেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, মুসলিম ও ন্যামভুক্ত রাষ্ট্রগুলোকে অনুরোধ করে বলেছি, প্রবাসী শ্রমিকরা ওই দেশের ও বাংলাদেশ— দুই দেশেরই উন্নয়ন সহযোগী। তাদের কায়িক শ্রমের ফলে ওই দেশের উন্নয়ন হয়েছে, রেমিটেন্স পাঠানোর ফলে বাংলাদেশেরও উন্নতি হয়েছে। তাই এই শ্রমিকরা সব দেশের উন্নয়নে একটি বড় সহায়ক। সেজন্য তারা বৈধ হোক বা অবৈধ হোক— যে যেখানে আছে, তারা কেউ যেন না খেয়ে মারা না যায় তার ব্যবস্থা করতে বলেছি।
আবদুল মোমেন বলেন, আমরা দেশগুলোকে বলেছি, তারা যেন এই দুর্যোগে শ্রমিকদের জন্য অন্তত খাবারের ব্যবস্থাটা করে। এরপর বলেছি, যে তারা যেসব দেশে কাজ করছে তাদের হঠাৎ করে চাকরি থেকে বের করে দেবেন না। আগামী ৬ মাস তাদের রাখুন। কেননা তাদের ওপর তাদের পরিবার নির্ভরশীল। সবগুলো দেশকে আহ্বান জানিয়েছি, এই শ্রমিকদের জন্য আসুন সবাই মিলে কোভিড-১৯ রিকভারি ফান্ড তৈরি করি। সেই তহবিলে আমিও কন্ট্রিবিউট করব, যেন এই শ্রমিকদের চাকরি ৬ মাস থাকে। এরই মধ্যে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় ২০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করেছে। সম্ভব হলে এই তহবিল আরও বাড়ানো হবে। দেশে আসলে প্রবাসীরা কিভাবে অর্থনৈতিকভাবে কাজে
লাগতে পারে, তাদের জীবন কিভাবে সুন্দর করা যায়, সেজন্য ৫ থেকে ৭ লাখ টাকার ঋণ দেওয়া হবে।
প্রবাসী কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের কাছে একটি অনুরোধ, আপনরা দেশে আসার আগে যদি ১৪ দিনের কোয়ারেনটাইন করে আসেন কিংবা আপনারা স্বাস্থ্য সনদ নিয়ে দেশে আসেন, তবে আমাদের বিমানবন্দরে ব্যবস্থাপনা অনেক ত্বরান্বিত হবে এবং আপনারাও নিজেদের বাড়িতে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেনটাইনে থাকতে পারবেন। আর যদি সে সনদ না থাকে, তাহলে অবশ্যই দেশে ফেরার পর ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেনটাইনে থাকতে হবে।
- এবার সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন যত টাকা বেতন বাড়লো সরকারি চাকরিজীবীদের
- আ.লীগ নিষিদ্ধ নিয়ে সরকারের বিবৃতি
- সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর
- ওমানে কার্যকর হলো নতুন আইন
- হত্যা মামলার আসামি হয়েও বিদেশ যাত্রা আলোচনায় সাবেক রাষ্ট্রপতি
- বিয়ের আসরে বরকে যৌতুকে দেওয়া হলো ১৬ কোটি টাকা, ২১০ বিঘা জমি ও পেট্রল পাম্প
- ভারতের ড্রোন হামলায় কাঁপছে স্টেডিয়াম, অনিশ্চিত পিএসএল ম্যাচ
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (৯ মে ২০২৫)
- স্বর্ণের ভরি আজ হঠাৎ কত হলো জানেন
- পাক-ভারত যুদ্ধ নিয়ে মালালার মানবিক বার্তা
- ৬,৬,৬,৬,৬,৪, ইংল্যান্ডে ঝড়ো ইনিংস খেললেন সাব্বির রহমান
- জুমার নামাজের পর বড় কর্মসূচির ঘোষণা দিলেন হাসনাত
- ইংল্যান্ডে চলে গেলেন সাব্বির রহমান
- পাকিস্থানে হামলা, বড় বিপদ থেকে বাঁচলেন রিশাদ ও নাহিদ
- স্বর্ণের দাম কমেছে, এখনই কিনুন