সামনে এলো করোনার আরও ভয়ঙ্কর রূপ

এখনও পর্যন্ত ভাইরাসটির ১১টি টাইপ বা ধরন সস্পর্কে জানা গেছে। তার মধ্যে সব চেয়ে সংক্রামক ভাইরাস টাইপটিকে চিহ্নিত করলেন ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিক্যাল জিনোমিক্স-এর দুই বিজ্ঞানী নিধানকুমার বিশ্বাস ও পার্থপ্রতিম মজুমদার। কেন সেটি এতটা সংক্রামক, তা-ও বিশ্লেষণ করেছেন তারা। ইন্ডিয়ান জার্নাল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-এ সোমবার প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি।
গত বছর ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে নোভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম কারও মৃত্যু হয়। এর পরে সীমান্ত পেরিয়ে উহান থেকে গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।পার্থপ্রতিম জানান, পরীক্ষা করে দেখা গেছে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপকভাবে মিউটেশন বা পরিবর্তন ঘটেছে ভাইরাসটির গঠনে।
প্রত্যেক ভাইরাসে ডিএনএ বা আরএনএ থাকে। সার্স-কোভ-২ আরএনএ ভাইরাস। এই জিনোমের গঠনে সামান্য অদলবদল ঘটে গিয়েই ভিন্ন চেহারা নেয় ভাইরাস। বাড়ায় সংক্রমণ ক্ষমতা।
নিজেদের বাঁচার জন্যই তাদের এই লড়াই। ভাইরাস স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারে না। বেঁচে থাকার জন্য তাদের বাসা বাঁধতে হয় কোনও প্রাণীর শরীরে। এক্ষেত্রে যা মানুষ (অর্থাৎ মানুষের শরীরের বাসা বেঁধে বাচার চেষ্টা করছে করোনা ভাইরাস)।
গোটা পৃথিবী থেকে পাওয়া ভাইরাসটির আরএনএ সিকোয়েন্সের তথ্য থেকে তাদের গতিবিধির উপরে নজর রাখছিলেন নিধান ও পার্থপ্রতিম। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২০ সালের ৬ এপ্রিল পর্যন্ত ৫৫টি দেশের ৩,৬৩৬ জন করোনা -রোগীর দেহ থেকে ভাইরাস-নমুনার আরএনএ সিকোয়েন্স নিয়ে গবেষণা করেন তারা।
পার্থ জানান, অন্যান্য ভাইরাসের মতো এটিও নিজের চেহারা বদলেছে। এখনও পর্যন্ত ও, এ২, এ২এ, এথ্রি, বি, বি১-সহ মোট ১১ ধরনের ভাইরাস মিলেছে। এর মধ্যে চিনে প্রথম সংক্রমণ ঘটায় ও। সেটি মূল। বাকি ১০টি তৈরি হয়েছে সময়ের সঙ্গে -সঙ্গে । এর মধ্যে এখন সব চেয়ে সংক্রামক এ২এ। পার্থপ্রতিম বলেন, অবাক করা বিষয়, বেশির ভাগ ভৌগোলিক এলাকাতেই দেখা যাচ্ছে দখল নিয়েছে নোভেল করোনা ভাইরাসের এ২এ। এ২এ-র অস্তিত্ব প্রথম ধরা পড়ে ২৪ জানুয়ারি। মার্চ মাসের শেষের মধ্যে মোটামুটি অন্য সবাইকে সরিয়ে দিয়ে ৬০ শতাংশ দেশে সংক্রমণ ছড়িয়েছে এরাই।
নিধান জানান, ইউরোপ-আমেরিকায় সব চেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে এ২এ। আমাদের দেশে সেখান থেকে এ২এ এসেছে। আবার চীন থেকে এসেছে ও। ইরান থেকে এসেছে এথ্রি। তিনি বলেন, এ২এ এবং ও, দুটোই শক্তিশালী। তবে এ২এ বেশি শক্তি ধরে।
তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন দুই বিজ্ঞানী। সার্স-কোভ-২ তার চরিত্র অনুযায়ী ফুসফুসে ঢুকে সংক্রমণ ছড়ায়। ভাইরাসটির স্পাইকে থাকা প্রোটিন মানুষের ফুসফুসে থাকা এসিই২ প্রোটিনটিকে কাজে লাগিয়ে কোষের উপরিভাগে অ্যাঙ্কর করে বা জুড়েযায়। এর পরে ফুসফুসে উপস্থিত অন্য একটি প্রোটিন তাকে কোষের ভিতরে প্রবেশ করাতে সাহায্য করে। এ২এ-র ক্ষেত্রে তার স্পাইকে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিডটি অ্যাসপারটিক অ্যাসিড থেকে বদলে গ্লাইসিন-এ পরিণত হয়। যা তার সংক্রমণ ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এই দুই বিজ্ঞানী জানান, যেহেতু ভাইরাসটির মধ্যে এত পরিবর্তন ঘটছে, তাই ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক তৈরি বেশ চ্যালেঞ্জিং। ভাইরাসটি সস্পর্কে পুরোপুরি জানতে না-পারলে প্রতিষেধক তৈরি হলেও তা সবার শরীরে কাজ করবে না। সেই কাজেই সাহায্য করবে নিধান ও পার্থপ্রতিমের গবেষণা, আশাবাদী দুই বাঙালি গবেষক।
- বিয়ের রাতেই শরীরের খেলা,ভাইরাল ভিডিও
- আজকের সৌদি রিয়াল রেট (২৬ এপ্রিল ২০২৫)
- বাংলাদেশিদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চালু
- আইপিএলে সাকিব: ২০ লাখ রুপি দিয়ে কিনতে চাইছে যে দল
- বিসিবির ২৫০ কোটি টাকার গোপন চাল! কোথায় গেল এত টাকা, জানলে চমকে যাবেন
- ব্রেকিং নিউজ : ১ হাজারের বেশি বাংলাদেশি গ্রেফতার
- সুখবর পাসপোর্ট ইস্যুতে, এবার নেওয়া হলো যে নতুন উদ্যোগ
- এক লাফে যত টাকা বোনাস বাড়ল শিক্ষক-কর্মচারীদের
- অবাক বিশ্ব : ক্রিকেটে হতে চলছে নতুন এক ইতিহাস
- টানা ৩ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা
- ব্যাপক হারে কমলো ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম
- ১ লটারিতে কপাল খুলেছে দুই প্রবাসী বাংলাদেশির
- এবার ভারতীয়দের ভিসা নিয়ে চরম দু:সংবাদ
- আজকের সকল দেশের টাকার রেট (২৬ এপ্রিল ২০২৫)
- তাপমাত্রা কমবে কবে, জানালো আবহাওয়া অফিস