জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, মৃতের তালিকায় আগে থেকেই শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬ হাজার ৮০৩ জন। একক দেশ হিসেবে মৃতের মতো আক্রান্তের তালিকায়ও শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে আরোগ্যের সংখ্যা ১ লাখ ৩৮ হাজার ৯৯ জন। মৃত্যুর সংখ্যা কমতির দিকে থাকায় লকডাউন উঠিয়ে নিতে যাচ্ছে আরও অনেক রাজ্য।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক কেন্দ্রস্থল হলেও করোনাভাইরাসের ‘এপিসেন্টার’ হওয়ায় লকডাউন ওঠানো নিয়ে তাড়াহুড়ো নেই নিউইয়র্কের। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ভুগছে নিউইয়র্ক। রাজ্যটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৯৮ হাজার, মৃত্যুর সংখ্যা সাড়ে ২২ হাজারের বেশি।

প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সোমবার জানিয়েছেন, শিক্ষাবর্ষ শেষ হওয়ার আগেই অল্প দিনের জন্য হলেও অনেক স্কুল খুলে দেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে ইতালি, ২৭ হাজার। সাড়ে ২৩ হাজার ছাড়ানো মৃত্যু নিয়ে তৃতীয়স্থানে স্পেন। চতুর্থস্থানে আছে ফ্রান্স, ২৩ হাজার। ২১ হাজার ছাড়ানো মৃত্যু নিয়ে যুক্তরাজ্য আছে পঞ্চমস্থানে।

দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম দেশ ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৪৫১; মৃত্যু ৯৩৯ জন। সোমবার পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৯১৩ জন; মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫২ জনে। ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছে ৩০ লাখ ৬৫ হাজার ৩৭৪ জন।

বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা ২ লাখ ১১ হাজার ৬০৬ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯ লাখ ২২ হাজার ৩৮৯ জন মানুষ। পরিসংখ্যান বলছে, এ পর্যন্ত যত মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল তার শতকরা ২১ ভাগ মানুষ মারা গেছে। করোনায় আক্রান্তদের শতকরা তিন ভাগের অবস্থা আশঙ্কাজনক আর এমন গুরুতর রোগীর সংখ্যা ৫৬ হাজার ৩০০ জন।