‘মেয়েকে কোলেও নিতে পারছি না’
তাদের পরিবারিক ছবিটাই বা কেমন? সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে তারা কি দূরে সরে গেছেন পরিবারের থেকে? পরিবারের কাউকে যাকে এই সংক্রমণ স্পর্শ না করতে পারে তার জন্য কী করছেন তারা?
সেই কথা জানাচ্ছেন ভোপালের এর পুলিশ অফিসার। তার বর্তমান পরিস্থিতি জানলে চোখে পানি আসবে সবারই। ইন্দোরের পুলিশ অফিসার নির্মল কুমার শ্রীবাস সোশ্যালে পোস্ট করেছেন তার দুঃখের কাহিনি তিনি টুকোগঞ্জ থানার দায়িত্বে আছেন।
পোস্টে শ্রীবাস জানান, সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়ছি। প্রয়োজনে ৪৮ ঘণ্টাও ডিউটি করতে হচ্ছে। তাতে দুঃখ নেই। কষ্ট হচ্ছে খুব যখন বাড়ি গিয়ে দাওয়ার একপাশে বসে খাবার খাই। আর দূর থেকে আমায় অবাক চোখে দেখে আমার ছোট্ট মেয়ে। ও অবুঝ চোখে আমার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে দেখে। আর হাজার ইচ্ছে সত্ত্বেও ওকে আমি কোলে তুলতে পারি না। ভয় করে, যদি ওর মধ্যে আমার রোগ ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ ইন্সপেক্টর নির্মলের ছবি ইতিমধ্যেই সোশ্যালে যথেষ্ট ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তিনি বসে খাবার খাচ্ছেন। উল্টোনো বালতিকে টেবিল বানিয়ে তার ওপর থালা রেখে খাচ্ছেন তিনি। আর ছোট্ট মেয়ে দূরে দাঁড়িয়ে বাবাকে দেখছে।