
মুস্তাকিম
জুনিয়র রিপোর্টার
নতুন আইনের ফাঁদেই থেমে যেতে পারে শেখ হাসিনার রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-এর খসড়া সংশোধনী চূড়ান্ত করেছে। প্রস্তাবিত এই সংশোধনীতে এমন কিছু বিধান যুক্ত হয়েছে, যা সরাসরি দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল ও নেতাদের ভবিষ্যৎ রাজনীতির পথরেখা বদলে দিতে পারে।
ফেরারি আসামি হলে প্রার্থী অযোগ্য
নতুন খসড়া অনুযায়ী, আদালত কর্তৃক ফেরারি ঘোষিত কোনো ব্যক্তি সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। রায় ঘোষণার আগে শুনানিতে অনুপস্থিত থাকলেও যদি আদালত ফেরারি ঘোষণা করে, তাহলে তার প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এ বিধান কার্যকর হলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার রাজনৈতিক পথ আটকে যেতে পারে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর থেকে তারা আত্মগোপনে বা বিদেশে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন আদালত থেকে তাদের বিরুদ্ধে ফেরারি ঘোষণা জারি হয়েছে।
মনোনয়ন জমায় কঠোরতা
এবার থেকে প্রার্থী বা তার প্রতিনিধি সরাসরি রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে হবে। অনলাইনে মনোনয়ন জমার সুবিধা বাতিল করা হয়েছে। ফলে আত্মগোপনে থাকা নেতাদের জন্য নির্বাচনে অংশ নেওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে।
খসড়ার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী
না ভোটের সুযোগ: একক প্রার্থী থাকলেও ভোটাররা ‘না ভোট’ দিতে পারবেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিস্তৃতি: সেনা, নৌ, বিমান ও কোস্টগার্ড যুক্ত হলো।
সম্পদের হলফনামা: দেশি-বিদেশি সম্পদের সঠিক তথ্য বাধ্যতামূলক; ভুল তথ্য দিলে আসন খোয়াতে হবে।
জামানত বৃদ্ধি: ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা।
পোলিং এজেন্ট শর্ত: স্থানীয় ভোটার ছাড়া এজেন্ট হওয়ার সুযোগ নেই।
ভোট বাতিলের ক্ষমতা: ইসির হাতে পুনরায় পুরো আসন বাতিলের ক্ষমতা।
ইভিএম বাতিল: সম্পূর্ণভাবে ইভিএম বাদ দেওয়া হয়েছে।
ব্যয়সীমা পরিবর্তন: ভোটারপ্রতি সর্বোচ্চ ১০ টাকা ব্যয়ের সীমা।
প্রিজাইডিং অফিসারের ক্ষমতা বৃদ্ধি: ভোটকেন্দ্রে সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব।
জোট প্রার্থীর প্রতীক: জোটে লড়লেও প্রার্থীকে নিজের দলের প্রতীকেই ভোটে নামতে হবে।
বিশ্লেষকদের আশঙ্কা
সাবেক নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সদস্য জেসমিন তুলি বলেন, “ফেরারি আসামিদের অযোগ্য ঘোষণার বিধানটি স্বাগত জানানো যায়, তবে এর অপব্যবহারের ঝুঁকি প্রবল। পুলিশ বা প্রশাসন প্রভাব খাটালে অনেক নিরীহ মানুষও ফেরারি ঘোষণা হয়ে পড়তে পারেন।”
আইনের কার্যকর হওয়ার পথ
খসড়া সংশোধনীটি এখন আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন পাবে। এরপর রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইন কার্যকর হবে।
রাজনৈতিক সমীকরণে বড় পরিবর্তন
বিশ্লেষকদের মতে, এই নতুন বিধান কার্যকর হলে দেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের পালাবদল ঘটবে। বিশেষ করে শেখ হাসিনা ও তার ঘনিষ্ঠ নেতাদের নির্বাচনী রাজনীতি কার্যত থমকে যেতে পারে, যা ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নতুন সমীকরণ তৈরি করবে।
- নুরুল হক নুরকে যে দেশে পাঠানোর নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
- চলছে বাংলাদেশ বনাম ভিয়েতনাম ফুটবল ম্যাচ: লাইভ দেখুন এখনে
- এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য হাইকোর্টের যুগান্তকারী রায়
- বিসিবি নির্বাচন তামিম বনাম বুলবুল: ক্লাবগুলোর সমর্থনে এগিয়ে আছেন যিনি
- "ব্রাজিল বনাম চিলি: জেনেনিন ম্যাচ শুরুর সময় ও লাইভ দেখার উপায়
- বাংলাদেশকে নিয়ে এইমাত্র নতুন ঘোষণা দিলো দ:কোরিয়া
- শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির আসল কারন ‘ডিপ স্টেট’ ও তিন মন্ত্রী
- ৪০ মিনিটের খেলা শেষ, জেনেনিন বাংলাদেশ বনাম ভিয়েতনাম ম্যাচের ফলাফল
- সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নতুন পে-স্কেল: কী থাকছে পরিকল্পনায়
- কমে গেলো এলপি গ্যাস ও অটোগ্যাসের দাম
- এমন পদক্ষেপ নেওয়ায় প্রশংসায় ভাসছে বিএনপি
- রাতেই ঝড়ের আভাস: ৬ অঞ্চলে সতর্কবার্তা
- ভিসা নিয়ে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ইতালি
- ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর ব্যথা: কারণ ও সমাধান
- বিএনপি কাউন্সিলে ভোটের ব্যালট ছিনতাই, স্থগিত ফলাফল ঘোষণা