মো : মারুফ হোসেন
সিনিয়র রিপোর্টার
জাতীয় নির্বাচন ঘিরে ‘ষড়যন্ত্রের গন্ধ’, পরিস্থিতিকে উদ্বেগজনক বলছে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিএনপির কাছে ‘উদ্বেগজনক’ মনে হচ্ছে। সম্প্রতি গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার (জাগপা) সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের ওপর হামলার ঘটনার পর এই উদ্বেগ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিএনপির নেতারা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে ফেব্রুয়ারির আগে নির্বাচনের ঘোষণার সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনা জোড় দেয়। বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে উঠানো দাবি-দাওয়া নির্বাচন বিলম্বিত বা বানচালের ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিএনপি মনে করছে, এই ধরনের ষড়যন্ত্র নির্বাচন প্রক্রিয়াকে রুদ্ধ করতে পারে।
বৈঠকে আলোচনা: আইনশৃঙ্খলা ও নির্বাচন
সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৈঠকে দুইটি মূল এজেন্ডা ছিল:
দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বিএনপির বৈঠক।
বৈঠকে উপস্থিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে দলের অবস্থান স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির অবস্থান
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রোববার অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিএনপি সংস্কার, জুলাই সনদ, পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধি) ইস্যুতে আগের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ক বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বৈঠকে জানানো হয়:
নির্বাচন বিদ্যমান পদ্ধতিতেই হওয়া উচিত। কারণ সাধারণ মানুষ পিআর কী সেটা বোঝে না। সংবিধানেও পিআর নেই এবং বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটেও এটি বাস্তবসম্মত নয়।
কোনও রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা উচিত নয়। বিএনপি মনে করে, যেমন তারা আওয়ামী লীগের অপকর্ম ও গণহত্যার বিচার চেয়েছে, ঠিক তেমনিভাবে জাতীয় পার্টিরও বিচারের সুযোগ থাকা উচিত।
হামলার ঘটনাও আলোচ্য বিষয়
বৈঠকে নুরুল হক নুর ও জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের ওপর হামলার ঘটনা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বিএনপি চেষ্টা করছে, হামলার পেছনের নেপথ্য কারণ এবং এটি নির্বাচনের বিলম্ব ঘটানোর পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র কিনা তা খতিয়ে দেখার।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির বিবেচনা, এই হামলার ঘটনা নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ ঘোষণার ঠিক এক দিন আগে ঘটেছে। ফলে এটি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুতর এবং উদ্বেগজনক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সংক্ষেপে: বৈঠকে গৃহীত মূল সিদ্ধান্ত
১. আগামী জাতীয় নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে।
২. পিআর প্রথা এখন বাস্তবসম্মত নয়, তাই বিদ্যমান পদ্ধতিতেই নির্বাচন।
৩. কোনও রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা উচিত নয়।
৪. নুরুল হক নুর ও খন্দকার লুৎফর রহমানের ওপর হামলার ঘটনায় যথাযথ অনুসন্ধান করা হবে।
৫. দেশের আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি দ্রুত উন্নত করা সরকারের দায়িত্ব।
বিএনপি নেতারা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্তগুলো দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখতে সহায়ক।
- এলপি গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ
- নুরুল হক নুরকে যে দেশে পাঠানোর নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
- "ব্রাজিল বনাম চিলি: জেনেনিন ম্যাচ শুরুর সময় ও লাইভ দেখার উপায়
- বাংলাদেশকে নিয়ে এইমাত্র নতুন ঘোষণা দিলো দ:কোরিয়া
- এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য হাইকোর্টের যুগান্তকারী রায়
- মাত্র ১২ বলে ১১ ছক্কা হাঁকিয়ে গড়লেন বিশ্বরেকর্ড
- বিসিবি নির্বাচন তামিম বনাম বুলবুল: ক্লাবগুলোর সমর্থনে এগিয়ে আছেন যিনি
- কমে গেলো এলপি গ্যাস ও অটোগ্যাসের দাম
- আর্জেন্টিনা বনাম ভেনিজুয়েলা: কখন, কোথায় ও কিভাবে দেখবেন
- এমন পদক্ষেপ নেওয়ায় প্রশংসায় ভাসছে বিএনপি
- নতুন দামে বিক্রি হচ্ছে সোনা: ১৮, ২১, ২২ ক্যারেট ১ ভোরি সোনা ও রুপার দাম
- রাতেই ঝড়ের আভাস: ৬ অঞ্চলে সতর্কবার্তা
- নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল: জনমনে উদ্বেগ, করণীয় নিয়ে প্রশ্ন
- ভিসা নিয়ে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ইতালি
- বিএনপিকে 'ফাঁদে ফেলার’ পরিকল্পনা চলছে