রমজানে রোজা রেখে অতিরিক্ত তৃষ্ণা পেলে কী করবেন : স্বাস্থ্যসম্মত পরামর্শ

রমজান মাসে সারা দিন উপবাস রেখে ইফতার পর্যন্ত খাবার এবং পানি গ্রহণে সীমাবদ্ধ থাকে মুসলিমরা। তবে দীর্ঘসময় উপবাস থাকার কারণে অনেকেরই তৃষ্ণার অনুভূতি বাড়ে, বিশেষত গরম আবহাওয়ার কারণে। অতিরিক্ত তৃষ্ণা রোধ করতে কিছু সাধারণ স্বাস্থ্যসম্মত পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যা রমজানে শরীরের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
১. সঠিক খাবারের নির্বাচন করুন:রমজানে শরীরের পানির চাহিদা পূরণের জন্য ইফতার এবং সাহরিতে সঠিক খাবারের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিন এবং শর্করা সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডাল, মাছ, মাংস এবং শাকসবজি গ্রহণ করুন, কারণ এগুলো শরীরের জল শোষণ ক্ষমতা বাড়ায় এবং দীর্ঘসময় ধরে আপনাকে সজীব রাখে।
২. পানি এবং তরল পানীয়ের পরিমাণ বাড়ান:ইফতার ও সাহরি সময় পানি এবং অন্যান্য তরল পানীয়ের (যেমন ফলের রস, লেবু পানি) পরিমাণ বাড়ানো উচিত। একসঙ্গে অনেক বেশি পানি খাওয়ার চেয়ে একাধিকবার ছোট পরিমাণে পানি খাওয়া ভালো। এটি শরীরের পানি শোষণ ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করবে এবং অতিরিক্ত তৃষ্ণা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক হবে।
৩. ফল ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ:ফল এবং শাকসবজি বেশি করে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ এগুলো প্রচুর জল এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। শশা, তরমুজ, কমলা, আপেল, আনারস ইত্যাদি ফল তৃষ্ণা মেটাতে সহায়তা করবে। একইভাবে, পেঁয়াজ, শসা, টমেটো ইত্যাদি সবজি শরীরকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করবে।
৪. বিশেষভাবে লবণ এড়িয়ে চলুন:গরমের দিনে লবণযুক্ত খাবার (যেমন, চিপস, অতিরিক্ত নোনতা খাবার) খাওয়া তৃষ্ণা বাড়াতে পারে। তাই এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। এই ধরনের খাবার শরীরে জলশোষণের ক্ষমতা কমিয়ে দেয় এবং তৃষ্ণা বৃদ্ধি পায়।
৫. অতিরিক্ত কফি এবং চা কম খান:কফি এবং চায়ে ক্যাফেইন থাকে, যা শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দেয় এবং তৃষ্ণা বাড়ায়। তাই রমজানে কফি এবং চায়ের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া উচিত।
৬. সাধারণভাবে বিশ্রাম করুন:রমজানে দিনভর তৃষ্ণা এবং ক্লান্তির কারণে শরীরে শক্তির ঘাটতি হতে পারে। সুতরাং, পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং ঘুম নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের মাধ্যমে শরীর আর্দ্র থাকে এবং শরীরের তৃষ্ণার অনুভূতি কমে আসে।
৭. অতিথির পরিমাণে পানি পান করুন:ইফতার বা সাহরির পর অনেকেই অতিরিক্ত পানি পান করেন, কিন্তু এটি শরীরের জন্য ভালো নয়। একবারে অনেক পানি পান করার চেয়ে কয়েকবার ছোট পরিমাণে পানি পান করুন। এভাবে শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সহায়তা করবে।
৮. মিষ্টি পানীয় ব্যবহার করুন:ইফতার বা সাহরির সময় একটু মিষ্টি পানীয় খেতে পারেন, যেমন লেবু পানি, খেজুরের রস বা ফলের রস। এতে শরীরের তৃষ্ণা কমবে এবং শরীরে শক্তি ফিরে আসবে। তবে খুব বেশি চিনি ব্যবহার না করার চেষ্টা করুন।
৯. মৌসুমি ফলের শখ মেটান:রমজানে মৌসুমি ফলগুলো যেমন তরমুজ, আনারস, কমলা, আম, খেজুর এবং দুধজাতীয় খাবার খাওয়া উচিত, কারণ এগুলো শরীরকে আর্দ্র রাখে এবং তৃষ্ণার অনুভূতি কমাতে সাহায্য করে।
১০. শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন:গরমের সময় শরীরের তাপমাত্রা বাড়লে তৃষ্ণা বেশি অনুভূত হয়। অতিরিক্ত গরমের মধ্যে বাইরে যাওয়ার থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন এবং ঠাণ্ডা পরিবেশে থাকুন। এতে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং তৃষ্ণার অনুভূতি কমবে।
- প্রবাসীদের জন্য নতুন সুখবর ঘোষণা করলো সরকার
- সৌদি আরবে বড় সুখবর : এবার পূরণ হবে প্রবাসীদের স্বপ্ন
- মেয়েদেরকে সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে পুরুষের যে গুণটি
- কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি কেন বাড়ে,জেনেনিন রক্ষা পাবেন যেভাবে
- দাঁড়ালে মাথা ঘুরে ও চোখে ঝাপসা দেখেন, তাহলে সাবধান
- বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২৬০ জনের,জানা গেলো আসল কারন
- পোলার্ড ও পুরানের ব্যাটিং দেখলো ক্রিকেটবিশ্ব
- জামায়াত আমির স্ট্যাটাসে জানালেন ‘ভাষা হারিয়ে ফেলেছি’
- সৌদি রিয়াল রেট: কোথায় পাঠালে বেশি টাকা পাবেন পরিবার, জেনেনিন এখনই
- দাঁতের ব্যথায় ওষুধ ছাড়াই মিলবে স্বস্তি—জেনে নিন সহজ ১০টি উপায়
- শক্তি বাড়িয়ে আবারও রাজত্বে ফিরছে ব্রাজিল
- দিনের শুরুতেই খালি পেটে পানি পান, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
- কুয়েত প্রবাসীদের জন্য বিশাল সুখবর
- চেলসি বনাম পিএসজি ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী
- বড় সুখবর গ্রামীণফোন গ্রাহকদের জন্য