শিশু আছিয়া ইস্যু নিয়ে যা বললেন আবু ত্বহা আদনান

নিজস্ব প্রতিবেদক : সম্প্রতি, আছিয়ার হৃদয়বিদারক মৃত্যুর পর, আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান একটি গভীর ও প্রভাবশালী বক্তব্য দিয়েছেন, যা সমাজের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ইসলামী শারিয়া আইন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলেছে। তিনি সমাজে ক্রমবর্ধমান অপরাধ, ধর্ষণ, ব্যভিচার এবং নৈতিক অবক্ষয়ের প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনানবলেন, এসব সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য ইসলামী আইন এবং নৈতিক শিক্ষার বাস্তবায়ন অত্যন্ত জরুরি। তার মতে, শারিয়া আইন বাস্তবায়িত হলে সমাজে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে এবং অপরাধের হার কমবে। তিনি আরও বলেন, আজকের সমাজে যা ঘটছে তা থেকে যদি আমরা শিক্ষা না নিই, তবে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। এই বক্তব্যে ইসলামী মূল্যবোধ, সামাজিক শৃঙ্খলা এবং ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান।
বক্তার বক্তব্যের মূল পয়েন্টগুলো:
১. সমাজের অবক্ষয়: সমাজের পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি এবং ঘটনার প্রভাব দ্রুতই ভুলে যাওয়ার প্রবণতা, যা সমাজে অস্থিরতা এবং শৃঙ্খলার অভাব সৃষ্টি করছে। এটি আমাদের দায়িত্বহীনতার ও মূল্যবোধের সংকটের প্রমাণ।
২. ধর্ষণ ও অপরাধ: বক্তা ধর্ষণ, ব্যভিচার ও অন্যান্য অপরাধের ক্ষেত্রে ইসলামী শারিয়া আইন প্রবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন। যেখানে, ধর্ষকের জন্য মৃত্যুদণ্ড এবং ব্যভিচারের জন্য কঠোর শাস্তি নির্ধারণ করা হয়। এর মাধ্যমে তিনি সামাজিক মূল্যবোধের পুনর্স্থাপনের কথা বলছেন, যা শুধুমাত্র আইন দিয়ে নয়, শিক্ষাও প্রয়োজন।
৩. সমাজে নৈতিক অবক্ষয়: সমাজে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা, পর্নোগ্রাফি, এবং অশ্লীলতার বিস্তার নৈতিক অবক্ষয়ের অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এটি সমাজের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, যা ভবিষ্যতে আরো বড় সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
৪. ইসলামী নীতির বাস্তবায়ন: ইসলামী শারিয়া আইন বাস্তবায়নের দাবি তুলে বক্তা বলেছেন, যে কোনো সমাজে শৃঙ্খলা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে ইসলামী বিধানকে ভিত্তি বানাতে হবে। শারিয়া আইন সমাজে সুবিচারের ও সামাজিক অস্থিরতা কমানোর একটি কার্যকরী উপায় হতে পারে।
৫. ধর্মীয় শিক্ষা ও তাকওয়া: বক্তা বলেন, যদি ইসলামিক শিক্ষা এবং আল্লাহর ভীতি (তাকওয়া) সবার মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে সমাজের নৈতিক মূল্যবোধ পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং আল্লাহর ভয়, একজন মানুষকে নৈতিক পথে পরিচালিত করতে সক্ষম হতে পারে, যা সমাজের উন্নতি এবং শান্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই বক্তব্যটি বর্তমান সমাজের নানা সমস্যার প্রতিকার হিসেবে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা এবং নৈতিকতা প্রতিষ্ঠার উপর জোর দিয়েছে। এটি একটি সামাজিক সমালোচনা এবং সমাধান প্রস্তাব, যা আমাদের সমাজের উন্নতির জন্য ইসলামের মূলনীতির প্রতিফলন ঘটানোর ওপর গুরুত্বারোপ করছে।
- চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর: মিলছে টানা তিন দিনের ছুটি
- ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারি: সাব্বিরকে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ
- সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য আরও দুটি লম্বা ছুটি ঘোষণা, মিলবে টানা চার দিন ছুটি
- এসএসসি ২০২৬: পরীক্ষার্থীদের জন্য এইমাত্র ঘোষণা করা হলো নতুন নিয়ম
- ফজলুর রহমানকে যে শাস্তি দিলো বিএনপি
- এশিয়া কাপ খেলতে ভারতে পা রাখলো বাংলাদেশ দল
- সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত
- সেনাবাহিনীর গাড়িতে ধাক্কা দিয়ে উড়িয়ে দিলো ট্রাক, আহত ৮ সেনাসদস্য
- এনসিপিতে পদত্যাগের হিড়িক: আরও চার নেতার একযোগে পদত্যাগ
- শাহজালাল বিমানবন্দরে বড় ধরা! ১৩০ কোটি টাকার মাল আটক
- ইতালি ও ইউরোপের ভিসা এখন দূরস্বপ্ন: বাংলাদেশিদের সামনে কড়া বাস্তবতা
- মালয়েশিয়ার ওয়ার্ক ভিসা: কী, কীভাবে আবেদন করবেন
- আজকের টাকার রেট (২৬ আগস্ট ২০২৫): প্রবাসীদের জন্য জরুরি তথ্য
- আসলে কার জমি—দলিলধারীর নাকি দখলদারের
- আজকের ওমানি রিয়ালের রেট: প্রবাসীদের জন্য সুখবর