| ঢাকা, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১

ব্রেকিং নিউজ : যে দাবীতে আইন উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিলেন বৈষম্যবিরোধী নেতা

জাতীয় ডেস্ক . স্পোর্টস আওয়ার ২৪
২০২৪ ডিসেম্বর ১৭ ০১:০৪:২০
ব্রেকিং নিউজ : যে দাবীতে আইন উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিলেন বৈষম্যবিরোধী নেতা

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত নিশ্চিতের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকার যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন, তা চলমান রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতার মধ্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

কর্মসূচির বিবরণ:তারিখ ও সময়:১৭ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার), বেলা ১১টা।স্থান:কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জমায়েত, এরপর আইন উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও।ব্যবস্থাপনা:সচেতন ছাত্র-নাগরিক ব্যানারে আন্দোলন সংগঠিত হবে।সংগ্রামের নেতৃত্ব:আন্দোলনের সমন্বয়ক: মাহিন সরকার।তিনি বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ভিকটিম পরিবারগুলোকে সঙ্গে নিয়ে এই কর্মসূচি পালন করবেন।মাহিন সরকারের মূল বক্তব্য:সরকারের ব্যর্থতা:

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার চার মাস পরও বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করতে না পারার সমালোচনা।বিচার না হওয়াকে জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে অবস্থান ও প্রহসনের শামিল বলে উল্লেখ।ভারতের ভূমিকা ও ইতিহাস বিকৃতি:

ভারত একাত্তরের বিজয়কে নিজেদের অর্জন বলে আখ্যা দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।সরকারের নীরবতা ও প্রতিক্রিয়া না জানানোকে সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি বলে দাবি।অঙ্গীকার:

সরকারের বাধা আসলেও তিনি বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।সংস্কার কার্যক্রম বা কমিশন গঠনের নামে দীর্ঘসূত্রিতার বিরোধিতা।স্লোগান:

তার বক্তব্যের শেষাংশে তিনি বলেন: "মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু"।রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব:গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু পুনরুজ্জীবন:

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে দীর্ঘদিনের অসন্তোষকে নতুন করে সামনে আনা হয়েছে।ভিকটিম পরিবারদের সম্পৃক্ততা:

ভিকটিম পরিবারগুলোকে সঙ্গে নিয়ে কর্মসূচি আয়োজন আন্দোলনকে অনুভূতিশীল ও জনমুখী ইস্যুতে পরিণত করবে।সরকারের অবস্থান:

আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের উপর বিচার দ্রুত করার চাপ বৃদ্ধি পাবে।সরকারের প্রতিক্রিয়া বা দমনমূলক পদক্ষেপ জনমনে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করতে পারে।বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সমীকরণ:

মাহিন সরকারের বক্তব্যে ভারতের ইতিহাস বিকৃতি প্রসঙ্গ তোলা আঞ্চলিক রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের জন্ম দিতে পারে।ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা:এই কর্মসূচি যদি গণসমর্থন পায়, তবে এটি একটি বৃহত্তর আন্দোলনে রূপ নিতে পারে।সরকার যদি যথাযথভাবে প্রতিক্রিয়া না জানায়, তবে বিরোধী পক্ষ এটিকে সরকারবিরোধী আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।আগামীকালের কর্মসূচির ফলাফল এবং সরকারের প্রতিক্রিয়া পর্যালোচনা করলেই বোঝা যাবে এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব কতদূর গড়াবে।



রে