দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে রেকর্ড হারে সিরিজ হারালো টাইগ্রেসরা

ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সিরিজ জয়ের সুযোগ পেল বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে বিশাল ব্যবধানে হেরে এই কৃতিত্ব অর্জন করতে পারেনি টাইগাররা। বেনোনীতে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ২১৬ রানে হেরে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হেরেছে নেগারা সুলতানা জ্যোতি দল।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বেনোনির উইলোমোর পার্কে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেটে ৩১৬ রান করে প্রোটিয়া মহিলারা। জবাবে মাত্র ১০০ রানে থেমে যায় জ্যোতির ইনিংস।
জবাব দিতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলেই শামীমা সুলতানার (৬) উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পরে ওভারে সাজঘরে ফেরেন তিনে নামা মুর্শিদা খাতুন (৮)। ফারজানা হক (৮) ও নিগার সুলতানা জ্যোতিও (৩) ইনিংস বড় করতে পারেননি। এতে করে দলীয় ২৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৬১ বলে ৩৬ রানের জুটি গড়েন রিতু মনি ও ফাহিমা খাতুন। ম্যাচের সর্বোচ্চ জুটি এটিই। ১৭তম ওভারে ফাহিমা আউট হলে এই জুটি ভাঙে। ফেরার আগে ২৬ বলে ১৫ রান করে যান তিনি। এরপর খুব্র দ্রুত আউট হন স্বর্ণা আক্তার (৭)। এরপর দলীয় ৯৬ রানে এক প্রান্ত আগলে রাখা রিতু মনি আউট হলে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে টাইগ্রেসদের ইনিংস।
ব্যক্তিগত ইনিংসে ৬৭ বলে চারটি চারের মারে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন রিতু। পরে একে একে সাজঘরের পথ ধরেন নাহিদা আক্তার (১১), রাবেয়া খান (০) ও মারুফা আক্তার (১)। বল হাতে প্রোটিয়া নারীদের হয়ে আয়াবঙ্গা খাকা ও নাদিন ডি ক্লার্ক নেন তিনটি করে উইকেট। আর দুই উইকেট ঝুলিতে তোলেন মারিজান্নে ক্যাপ।
এর আগে, শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার লরা উলভার্ট আর তাজমিন ব্রিটসের দুই দুর্দান্ত সেঞ্চুরিই বাংলাদেশের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয় রানের পাহাড়।
প্রথম ৫ ওভার খানিক ধীরে খেললেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভয়ঙ্কর হতে শুরু করে উলভার্ট-ব্রিটস জুটি। পাওয়ারপ্লের পর আক্ষরিক অর্থে বাংলাদেশকে কোনো সুযোগই দেননি এই দুই ব্যাটার। ১৯ ওভারের মাঝে ১০০ আর ৩০ ওভারের মাঝে আসে দুইশ রান। সেঞ্চুরি পেয়েছেন দুজনেই। টাইগ্রেস দলপতি জ্যোতি উইকেটের আশায় একে একে ব্যবহার করেছেন ৭ বোলার। কিন্তু কেউই দিতে পারেননি কাঙ্ক্ষিত ব্রেকথ্রু।
বাংলাদেশ প্রথম সফলতা পায় ইনিংসের ৪৩তম ওভারে। লরা উলভার্টকে বোল্ড করেন মারুফা আক্তার। ততক্ষণে লরার সংগ্রহ ১২৬। স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে ২৪৩ রান। টিকতে পারেননি ব্রিটসও। ১১৮ রান করে দলীয় ২৫১ রানে রিতু মনির বলে স্ট্যাম্পিং হন তিনি। অ্যানিকি বসের সঙ্গে এরপর দ্রুত রান তোলেন শুন লুস। এই জুটি থেকে আসে ৪৮ রান। ২৯৮ রানে লুসকে ফেরান রাবেয়া। পরের বলেই আবারও ফেরান নাদিন ডি ক্লার্ককে।
শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৩১৬ পর্যন্ত তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের পক্ষে এদিন সেরা বোলার ছিলেন রাবেয়া। ১০ ওভারে ৪৯ রানের খরচায় পেয়েছিলেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট মারুফা এবং রিতুর।
- মিশা সওদাগরকে রাস্তায় মারধর, ভাইরাল ভিডিওর আসল রহস্য ফাঁস করলেন জায়েদ খান
- ১ বা ৩ কোটিতে নয় আকাশ ছোয়া মুল্যে আইপিএলে দল পেলেন মুস্তাফিজ
- ৩ ম্যাচে খেলবেন মুস্তাফিজ, প্রতি ম্যাচের জন্য যত টাকা করে দিবে দিল্লি ক্যাপিটালস
- মুস্তাফিজের পর দল পেলো সাকিব
- ভিসা নিয়ে বাংলাদেশকে সুখবর পাঠালো যে দুই দেশ
- সুখবর প্রবাসীদের জন্য : নতুন ভিসা চালু করল আমিরাত
- আবারও পাল্টে গেলো সোনার দাম
- বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ আটকে রাখলেন সৌদি মালিক
- ১০ বলে ২৭ রান , ক্রিকেট ইতিহাসে বাংলাদেশের নাটক
- বড় সুখবর পেঁয়াজের বাজারে
- প্রবাসীদের জন্য দারুন সুখবর ঘোষণা
- সাম্যকে নিয়ে যে স্ট্যাটাস দিলেন উপদেষ্টা আসিফ
- বড় সুখবর! হঠাৎ কমে গেল পেঁয়াজ-আলুর দাম, বাজারে ফিরছে স্বস্তি
- ডেসটিনির বিনিয়োগকারীরা কীভাবে টাকা ফেরত পাবেন, জানালেন রফিকুল আমীন
- আজ ৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়