৯ গোলের অবিশ্বাস্য এক ম্যাচ দেখল ফুটবল বিশ্ব, জেনে নিন ম্যাচের ফলাফল

আট বছর পর নগর প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে আবারও লিগে টানা তিন ম্যাচ জিতল সিটি। ২০১৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত টানা চারটি ডার্বি জিতেছিল তারা।
প্রথম দুই রাউন্ডেই হেরে এবারের লিগ শুরুর পর টানা চার ম্যাচ জিতেছিল ইউনাইটেড। ধারহীন পারফরম্যান্সে আবারও তেতো স্বাদ পেল তারা।
দ্বিতীয় মিনিটেই কার্ড বের করতে হয় রেফারিকে। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণ শাণানো জ্যাক গ্রিলিশকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ইউনাইটেডের দিয়োগো দালোত।
পরের মিনিটে কোনোমতে বেঁচে যায় ইউনাইটেড। প্রথমে আর্লিং হলান্ডের হেড রক্ষণে প্রতিহত হওয়ার পর পর আলগা বল পেয়ে কেভিন ডে ব্রুইনের নেওয়া শট ঠেকান গোলরক্ষক। শঙ্কা তারপরও ছিল; তবে বের্নাদো সিলভার শটও রক্ষণে প্রতিহত হয়।
প্রবল চাপ ধরে রেখে চার মিনিট পরই এগিয়ে যায় সিটি। গোছালো আক্রমণে সিলভার পাস ফাঁকায় পেয়ে ১০ গজ দূর থেকে প্রথম ছোঁয়ায় জোরাল শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ফোডেন। লিগে টানা দুই ম্যাচে গোল করলেন ইংলিশ মিডফিল্ডার।
ভাগ্যের জোরে ১৮তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল হজম করা থেকে বেঁচে যায় ইউনাইটেড। ইলকাই গিনদোয়ানের ফ্রি-কিক রক্ষণ প্রাচীর এড়িয়ে পোস্টে বাধা পায়। ৩১তম মিনিটে গ্রিলিশের প্রচেষ্টা রক্ষণে প্রতিহত হওয়ার পর ডে ব্রুইনের দূর থেকে নেওয়া শটে কোনোমতে আঙুল ছুঁয়ে বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান দাভিদ দে হেয়া।
ডে ব্রুইনের নেওয়া ওই কর্নার থেকেই হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হলান্ড। ডিফেন্ডার তাইরেল মালাসিয়া বল ফেরালেও গোললাইন প্রযুক্তির সাহায্যে গোলের বাঁশি বাজান রেফারি।
এই নিয়ে প্রিমিয়ার লিগে টানা ৬ এবং মোট আট ম্যাচের সাতটিতেই জালের দেখা পেলেন হলান্ড।
নিজেদের সীমানা থেকে বের হতেই পারছিল না ইউনাইটেড। চার মিনিটের মধ্যে আবারও গোল হজম করে তারা। এবারও ডে ব্রুইনের ক্রসে দূরের পোস্টে কাছ থেকে স্লাইডে লক্ষ্যভেদ করেন হলান্ড।
৪৪তম মিনিটে দলের চতুর্থ গোলেও জড়িয়ে হলান্ডের নাম। বাঁ দিক থেকে তার দারুণ পাস বক্সে ফাঁকায় পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় দে হেয়াকে পরাস্ত করেন ফোডেন।
গুয়ার্দিওলার কোচিংয়ে সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫০ গোলের মাইলফলক স্পর্শ করলেন ফোডেন, ২২ বছর ১২৭ দিন বয়সে। ছাড়িয়ে গেলেন লিওনেল মেসিকে; বার্সেলোনার হয়ে আর্জেন্টাইন তারকা করেছিলেন ২২ বছর ১৬৪ দিন বয়সে।
প্রথমার্ধের লড়াই কতটা একপেশে ছিল, তা ম্যাচ পরিসংখ্যানে চোখ রাখলে আরও পরিষ্কার হয়ে যায়। ৬০ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে রেখে সিটি এই সময়ে গোলের উদ্দেশ্যে ১৫টি শট নেয়, যার সাতটি ছিল লক্ষ্যে। আর ইউনাইটেড নিতে পারে কেবল তিনটি শট, অবশ্য কোনোটিই তেমন ভীতি জাগানিয়া ছিল না।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই গোল হতে পারতো ৫। এ যাত্রায় ফোডেনের কোনাকুনি শট ঠেকিয়ে দেন দে হেয়া।
দলকে লড়াইয়ে ফেরাতে অসাধারণ কিছু করে দেখাতে হতো ইউনাইটেডের কারো। ৫৬তম মিনিটে সেই চেষ্টাই করেন আন্তোনি। ক্রিস্তিয়ান এরিকসেনের পাস ধরে গ্রিলিশ বাধা এড়িয়ে জায়গা বানিয়ে দূর থেকে কোনাকুনি শটে ব্যবধান কমান ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার।
ব্যবধান কমলেও লড়াইয়ে অবশ্য ফিরতে পারেনি ইউনাইটেড।
৬৪তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন হলান্ড। সের্হিও গোমেসের বাঁ দিক থেকে বাড়ানো বল বাঁ পায়ের শটে ঠিকানায় পাঠান তিনি। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা তিনটি হোম ম্যাচে হ্যাটট্রিক করলেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের সাবেক এই ফরোয়ার্ড।
গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে দারুণ গতিতে ছুটে চলা নরওয়ের স্ট্রাইকারের গোল হলো ১৪টি। ৭ গোল নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে টটেনহ্যাম হটস্পারের হ্যারি কেইন।
আট মিনিট পর হ্যাটট্রিকের আনন্দে ভাসেন ফোডেন। গ্রিলিশের পাস ধরে হলান্ড প্রতিপক্ষের বাধার মুখে কোনোরকমে বক্সে খুজে নেন সতীর্থকে। নিখুঁত শটে গোলটি করেন ফোডেন।
ম্যাচের সম্ভাব্য ফল তখন প্রায় নিশ্চিত। এরপরই গোল দুটি করেন মার্সিয়াল।
৮৪তম মিনিটে ফ্রেদের শট গোলরক্ষক ঠেকানোর পর আলগা বল কাছ থেকে জালে পাঠান মার্সিয়াল। আর যোগ করা সময়ে সফল স্পট কিকে দলের তৃতীয় গোলটি করেন তিনি। ফরাসি এই ফরোয়ার্ডই বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় তারা।
আগেই শুরুর একাদশে জায়গা হারানো ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে এদিন বদলি হিসেবেও নামাননি ইউনাইটেড কোচ এরিক টেন হাগ। বেঞ্চে বসে দেখেন দলের বিধ্বস্ত হওয়া।
প্রথমার্ধ শেষের আগেই ইউনাইটেডের অনেক সমর্থককে স্টেডিয়াম ছেড়ে যেতে দেখা যায়। বাকি যারা ছিলেন, তাদের মুখে হয়তো কিছুটা হাসি ফোটাতে পেরেছে গোল তিনটি।
আট ম্যাচে ৭ জয়ে ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্সেনাল। দারুণ এই জয়ে তাদের সঙ্গে ব্যবধান কমাল সিটি।
৬ জয় ও ২ ড্রয়ে ২০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে তারা। এক ম্যাচ কম খেলা ইউনাইটেড ১২ পয়েন্ট নিয়ে আছে ষষ্ঠ স্থানে।
দল দুটির মধ্যে শক্তি ও পারফরম্যান্সে পার্থক্য কতটা তা বোঝাতে সামনে আনা যায় কিছু সংখ্যা। আসরে ইউনাইটেডের মোট গোল ১১টি, সেখানে হলান্ডের একারই গোল ১৪, সিটির মোট গোল ২৯টি। আট ম্যাচে সিটি হজম করেছে কেবল ৭টি, ইউনাইটেড খেয়েছে ১৪ গোল।
আট ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে টটেনহ্যাম হটস্পার। এক ম্যাচ কম খেলা ব্রাইটন ১৪ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে। আর চেলসি ১৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে পঞ্চম স্থানে।
- বাংলাদেশিদের জন্য দুঃসংবাদ! এক রাতেই বদলে গেল সৌদির ভিসা নীতিমালা
- চরম দু:সংবাদ : সৌদির কালো তালিকায় বাংলাদেশি
- বাজুসের রাতারাতি সিদ্ধান্তে সোনার দাম তলানিতে,জেনেনিন ২২ ক্যারেট সোনার দাম
- ১ বা ৩ কোটিতে নয় আকাশ ছোয়া মুল্যে আইপিএলে দল পেলেন মুস্তাফিজ
- বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হলো পার্থর স্ত্রীকে
- ৬ জয় ও ৩ ড্রয়ে ২১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিল পাল্টে দিলো ব্রাজিল
- ভিসা নিয়ে বাংলাদেশকে সুখবর পাঠালো যে দুই দেশ
- প্রকাশিত হলো আইপিএলের নতুন সময়সূচি ও ফাইনাল ম্যাচের সময়
- সুখবর প্রবাসীদের জন্য : নতুন ভিসা চালু করল আমিরাত
- শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় : সর্বশেষ আপডেট
- টাকা ছাপিয়ে বাজেট নয়! চমকে দেওয়া ঘোষণা দিলেন অর্থ উপদেষ্টা
- বড় সুখবর পেঁয়াজের বাজারে
- আবারও পাল্টে গেলো সোনার দাম
- আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ঘোষণায় ভারতের মাথায় হাত
- ১০ বলে ২৭ রান , ক্রিকেট ইতিহাসে বাংলাদেশের নাটক