শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের ক্ষতি করেছে মোসাদ্দেক
দ্বিতীয় টেস্টের আগে দলের জেনুইন দুই অফস্পিনার মেহেদী মিরাজ ও নাঈম হাসানের ছিটকে পড়ায় ভাগ্যের শিকে ছিড়ে মোসাদ্দেকের। আড়াই বছর পর আবার টেস্ট দলে সুযোগ পান এই ক্রিকেটার। তবে ম্যাচ শুরুর আগেই জানা গেছে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতেও নিজেকে প্রমাণ করতে হবে মোসাদ্দেককে।
কিন্তু দীর্ঘ ৯৯১ দিন পর সাদা পোশাকে মাঠে নেমে চরম ব্যর্থ মোসাদ্দেক। ব্যাট হাতে দুই ইনিংসে এক ডাকসহ করেন মাত্র ৯ রান। কিন্তু যে কারণে দলে নেওয়া হয়েছে এই ক্রিকেটারকে সেই বোলিংয়েও ছিলেন চরম ব্যর্থ। টাইগারদের করা ১৬৫ ওভারের মধ্যে মাত্র ১২ ওভারের জন্য হাত ঘুরিয়েছেন মোসাদ্দেক।
অথচ মোসাদ্দেক থেকে আরও বেশি প্রত্যাশা ছিল টিম ম্যানেজমেন্টের। লঙ্কানদের বিপক্ষে সিরিজ শেষে টাইগার কোচ রাসেল ডমিঙ্গো জানিয়েছেন, কেন দলে নেওয়া হয়েছিল মোসাদ্দেককে। কী ই বা প্রত্যাশা ছিল এই অলরাউন্ডারের কাছে।
ডমিঙ্গোর ভাষ্যে, ‘চার বোলার নিয়ে খেলতে আমি রাজি নই। তাই আমাদের এমন কাউকে প্রয়োজন ছিল যে কি না পঞ্চম বোলার হিসেবে ব্যবহার হতে পারে। সে কারণে মোসাদ্দেক খেলেছে। আমরা ধরে নিয়েছিলাম, সে দিনে ১৫ ওভার বোলিং করতে পারবে।
তবে আমরা যতটা আশা করেছি সে ততটা বোলিং করেনি, এটা আমাদের এই ম্যাচে ক্ষতিই করেছে।’
ডমিঙ্গো আরও যোগ করেন, ‘আমরা মনে করেছিলাম, সে বল হাতে মিরাজের মতো কাজটা করে দিবে। মিরাজ আসলে আমাদের জন্য অনেক বড় লস। সে আমাদের জন্য অনেক ওভার করে থাকে। সে আমাদের জন্য উইকেটও নেয় এবং ব্যাটিংও করে।
আমাদের দলে অনেক ওয়ানডে স্পিনার আছে। আমরা টি-টোয়েন্টির বোলার মাহেদীকে নিয়েও আলোচনা করেছিলাম। তারা মূলত ব্যাটসম্যান যারা কিনা পার্ট-টাইম স্পিনের কাজ চালাতে পারে। কিন্তু তারা নাঈম এবং মিরাজের মতো যথার্থ অফস্পিনার নয়।’