নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ক্রিকেটে প্রতিভার অভাব কখনোই ছিল না। কিন্তু সেই প্রতিভাকে ধারাবাহিকভাবে প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ পেয়েছেন কতজন? সম্প্রতি আবুধাবি টি-টেন লিগে বাংলা টাইগার্সের হয়ে এক ফেসবুক লাইভে অংশ নিয়ে সাকিব আল হাসান এমনই কিছু সত্য কথা বলেছেন—যা ভক্ত-সমর্থকদের মনে নাড়া দিয়েছে।

সেখানে সাকিব আল হাসান নিজের দৃষ্টিতে চারজন ‘দুর্ভাগা’ সতীর্থের নাম তুলে ধরেন, যারা শুরুটা দারুণ করেও জাতীয় দলে নিজেদের জায়গা পোক্ত করতে পারেননি। তাদের মধ্যে আছেন—নাসির হোসেন, সাব্বির রহমান, ইমরুল কায়েস এবং মোহাম্মদ মিথুন।

সাকিব বলেন, “জাতীয় দলে সবাইকে সমান সুযোগ দেওয়া কখনোই সম্ভব নয়। কারও প্রতি নির্বাচকদের আস্থা বেশি থাকে, কারও ক্ষেত্রে তা কম। কেউ একাধিক সিরিজ পায় নিজেকে প্রমাণ করতে, কেউ আবার একটা-দুটা সুযোগেই বাদ পড়ে যায়। কিন্তু প্রতিটি সুযোগই একজন খেলোয়াড়ের জন্য মূল্যবান। সেখান থেকেই শুরু হয় নিজেকে প্রমাণের লড়াই।”

কে কোথায় পিছিয়ে গেলেন?নাসির হোসেন: ২০১১ বিশ্বকাপের পর উদীয়মান তারকা হয়ে ওঠেন। তবে মাঠের বাইরের বিতর্ক ও ফর্ম হারানো তাকে অনেকটা ছিটকে দেয়।

সাব্বির রহমান: আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের জন্য পরিচিত ছিলেন, কিন্তু শৃঙ্খলাজনিত ইস্যু ও ধারাবাহিকতা হারিয়ে তিনি এখন অতীত।

ইমরুল কায়েস: ইনজুরি, অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও বারবার দল থেকে বাদ পড়া তাকে ‘বিচ্ছিন্ন’ খেলোয়াড়ে পরিণত করেছে।

মোহাম্মদ মিথুন: ফিনিশার হয়ে উঠে আসার চেষ্টা করলেও বড় মঞ্চে বারবার ব্যর্থতা তাকে থামিয়ে দেয়।

সাকিবের এই মন্তব্য বোর্ডের জন্য এক ধরনের বার্তা—সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত না নিলে প্রতিভা হারিয়ে যায়, আর দল হারায় সম্ভাব্য ম্যাচউইনারদের।

একটি দলের সাফল্য শুধু ১১ জনে নয়, বরং সিস্টেমে থাকা প্রতিটি প্রতিভাকে সঠিকভাবে ব্যবহারের মধ্যেই প্রকৃত শক্তি লুকিয়ে থাকে। আর সাকিবের অভিজ্ঞ চোখে এই চারজনের নাম সামনে আসা মানে, বিষয়গুলো বিসিবির ভাবার সময় এসেছে—আরও কত ‘দুর্ভাগা’ হারিয়ে যাবে স্রোতের টানে?