বিসিবির কাছে আশরাফুলের শেষ ১টি বার্তা
ইতিহাসের আজকের এই দিনে ঠিক ২০ বছর আগে বিশ্ব ক্রিকেটে নতুন এক ইতিহাস গড়েছিলেন বাংলাদেশের ১৭ বছরের এক যুবক, যার নাম মোহাম্মদ আশরাফুল।
ক্রিকেটের বিবর্তনে এখন ২০ বছরের আগে সাদা পোশাকে জাতীয় দলে অভিষেক অনেকটাই অকল্পনীয়। সেখনে বড়জোড় অনূর্ধ্ব-১৯ খেলে কেউ দ্রুত খেলে ফেলতে পারে জাতীয় দলে সেক্ষেত্রেও কিন্তু বয়স হয়ে যাবে ১৮ এর বেশি।
তারও কম বয়সে যদি কারও অভিষেক হলে সেটা টেস্টে হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। আর যদি অভিষেক হয়েও যায় রেকর্ডটা ভাঙা সহজ হবে না। কারণ ওই বয়সে কারও পক্ষে টেস্টে সেঞ্চুরি করা অনেকটা অসাধ্য সাধন করেই দেখোনো।
আর এই অসাধ্যই সাধন করেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ২০০১ সালের আজকের দিনে (০৮ সেপ্টেস্বর) মাত্র ১৭ বছর ৬১ দিন বয়সে অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরির মধ্য দিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে অনন্য এক নজির স্থাপন করেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল।
কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শ্রীলঙ্কার মুরালি-ভাসদের মতো ভয়ংকর বোলারদের সামনে কলম্বো টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে আশরাফুল খেলেন ২১২ বলে ১১৪ রানের অসাধারণ এক ইনিংস।
তিনদিনে শেষ হওয়া কলম্বো টেস্টে ইনিংস ও ১৩৭ রানে বাংলাদেশ হারলেও মুত্তিয়া মুরালিধরণের সঙ্গে যৌথভাবে ম্যাচসেরার স্বীকৃতি পান বাংলাদেশের লিটলমাস্টার মোহাম্মদ আশরাফুল।
ওই সেঞ্চুরির সুবাদে আশরাফুল যেমন নিজেকে চিনিয়েছেন তেমনি হয়েছিলেন টেস্টের সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান। যা এখন পর্যন্ত বিশ্ব রেকর্ড। সেই সঙ্গে বিশ্ব ক্রিকেটে টেস্টে বাংলাদেশের সম্ভাবনার কথা ছড়ায় বিশ্ব দরবারে।
তবে বাংলাদেশের নাম ডাক বিশ্ব দরবারে ছড়িয়ে গেলেও অন্ধকারে হারিয়ে গেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। আবারো ফিরতে চাইছেন ২২ গজে খেলতে চান নতুন ইনিংস।
জাতীয় দলে ফেরার জন্য এমনি এক বার্তা দিলেন আশরাফুল। এই নিয়ে মোহাম্মদ আশরাফুল বলেন,
“সীমত ওভারের ক্রিকেটে হয়তো পারবোনা কিন্তু টেষ্ট ক্রিকেটে দেশকে এখনো কিছু দেওয়ার বাকি আছে আমার। আমি দলে সুযোগ পেলে (টেষ্টে) কিছু ভাল ইনিংস খেলে নিজের অতীতের ভুলের প্রাইশ্চিত্ত করতে চাই।”