সেমিফাইনালের আগে নতুন বিপদে আর্জেন্টিনা
খোদ ব্রাজিলের কোচও বাদ যায়নি সেই তালিকা থেকে। নিজেদের দেশের মাঠ নিয়ে অভিযোগ করেছেন তিনিও। যদিও এজন্য এরই মধ্যে শা’স্তি’র মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। ইকুয়েডের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে লিওনেল মেসির জাদুকরী পারফরম্যান্সে ম্যাচটি ৩-০ ব্যবধানে জিতলেও,
মাঠ নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেনি আর্জেন্টিনা। কোয়ার্টার ফাইনাল জিতে সেমিফাইনালের লড়াইয়ের আগেই আর্জেন্টিনার তিনজন সদস্য সরাসরিই প্রশ্ন তুলেছেন ব্রাজিলের মাঠ সম্পর্কে। ম্যাচে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় গোলটি করেছেন তরুণ ফরোয়ার্ড লাউতারো মার্টিনেজ।
ম্যাচের ৮৪ মিনিটে মেসির পাস থেকে চলতি আসরে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন তিনি। মাঠের বাধা পেরিয়ে জয় পাওয়ার তৃপ্তি তার কণ্ঠে। লাউতারো বলেছেন, ‘খেলার মাঠে অনেক অসুবিধা থাকলেও, আমরা চেষ্টা করেছি নিজেদের সেরাটা দিতে এবং ভালো একটা ম্যাচ খেলতে।
আমরা ভালো করেছি। এখন আমাদের বিশ্রাম নিয়ে কলম্বিয়ার কথা ভাবতে হবে। আমরা সম্প্রতি তাদের বিপক্ষে খেলেছি। কঠিন প্রতিপক্ষ হতে যাচ্ছে তারা।’প্রায় একই সুর আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসির কণ্ঠেও। তিনি সরাসরিই জানালেন, তার দল ভালো খেলার চেষ্টা করলেও,
মাঠের কারণে তা অনেকসময় বাধাপ্রাপ্ত হয়। তবে জয়ের তৃপ্তির পাশাপাশি পরের ম্যাচের দিকেই মনোযোগ দিতে মেসি। তিনি বলেছেন, ‘আমরা খেলার চেষ্টা করি, মাঝেরমধ্যে পারি। মাঠ থেকে খুব একটা সুবিধা পাওয়া যায় না। আমরা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ম্যাচ খেললাম।
আমাদের অন্যতম লক্ষ্য ছিল সেরা চারে থাকা। এখন আমাদের বিশ্রাম নিতে হবে। কারণ পরের ম্যাচের আগে বেশি সময় নেই।’ মেসি ও লাউতারোর মতোই মাঠের ব্যাপারে অসন্তোষ জানিয়েছেন আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি।
মাঠের এমন দৈন্যদশার কারণে নিজেদের প্রস্তুতিতে দ্বিগুণ পরিশ্রম করতে হয় বলে জানালেন স্কালোনি। তার ভাষ্য, ‘যেহেতু মাঠ খেলার জন্য প্রস্তুত ছিল না, তাই আমরা আগের চেয়ে দ্বিগুণ পরিশ্রম করেছি।
ফুটবলপ্রেমী হিসেবে আমাদের কাছে সেরা বিষয় হলো মেসির খেলা উপভোগ করতে পারা। আমি আশা করি, সে আরও অনেক বছর খেলুক। এমনকি প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়রাও তার মুখোমুখি হওয়া উপভোগ করে।’