‘এভাবে আর কতক্ষণ ভারতকে আটকে রাখা যায়’

কিন্তু সোমবার বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে সেই স্বপ্নের ‘সলিল-সমাধি’ হয়েছে। ৭৮ মিনিট পর্যন্ত প্রতিপক্ষকে আটকে রাখার পরও সুনীল ছেত্রীর জোড়ায় হারতে হয়েছে ২-০ গোলে। ফিফা র্যাংকিংয়ে ৮০ ধাপ এগিয়ে থাকা ‘ভারতকে আর কতক্ষণ আটকে রাখা যায়’—হতাশা-আক্ষেপ মিশে আছে তপু বর্মণদের মনে।
বাংলাদেশ দল ৪-১-৪-১ ছকে ভারতকে রুখে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। ছেত্রী-মানভিরদের আটকেও রেখেছিল। কিন্তু সব ঝড় বুঝি রক্ষণের ওপর দিয়েই গেছে। একের পর এক আক্রমণে দিশেহারা কাজী তারিক-রহমতরা। যে কারণে একপর্যায়ে কিছুটা ক্লান্ত মনে হয়েছে তাদের।
৭৯ মিনিটে ভারতের প্রথম গোলটির পেছনে রক্ষণের দায় কম নয়। বদলি খেলোয়াড় আশিক কুরুনিয়া বল পায়ে দেখছিলেন অন্য প্রান্ত দিয়ে সুনীল ছেত্রী বক্সে ঢুকছেন। ক্রসও ফেলেছিলেন তাকে উদ্দেশ্য করে। সেই সময় রহমত মিয়া ছেত্রীর পেছনে তাকে ব্লক করার চেষ্টা করতে পারতেন, কিংবা তপু বর্মণ আরও একটু সচেতন হতে পারতেন। কিন্তু কোনোটিই হয়নি।
দুরূহ কোণ থেকে ছেত্রীর হেডে গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো হেরে যান। আর সেখান থেকে দল আর ফিরতে পারেনি। যোগ করা সময়ে ছেত্রী ব্যবধান দ্বিগুণ করে ভারতের ৩ পয়েন্ট নিশ্চিত করেন।
ম্যাচ শেষে ডিফেন্ডার তপু বর্মণ নিজেদের অসহায় অবস্থার বর্ণনা দিয়েছেন এভাবে, ‘এভাবে আর কতক্ষণ ভারতকে আটকে রাখা যায় বলুন! পুরো ম্যাচেই রক্ষণের ওপর ঝড় বয়ে গেছে। শুরুতে আশিক কুরুনিয়াকে ক্রসটি করতে দেওয়া উচিত হয়নি। ওখানেই তাকে ব্লক করা উচিত ছিল। আর ছেত্রী তো ক্লাস খেলোয়াড়। সে তার ক্যারিশমা দেখিয়েছে। তবে ওই সময় আমাদের লেফট ব্যাকের আরও সচেতন হওয়া উচিত ছিল।’
কলকাতায় তবু বাংলাদেশ একাধিক গোলের সুযোগ পেয়েছিল, কিন্তু দোহার জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে বলার মতো কোনও সুযোগই সৃষ্টি করতে পারেননি মতিন মিয়ারা। এছাড়া বল পায়ে নিজেরা যে পাস দিয়ে খেলবে, নিজেদের কাছে বল দখলে রাখবে, তাও হয়নি।
তপুর এই জায়গায় আফসোস, ‘আমরা জানি ভারত আধিপত্য করবে। কিন্তু তাই বলে আমরা কিছুই করতে পারবো না? তা তো ঠিক নয়। যদি আমরা বল পায়ে রেখে খেলতে পারতাম, মাঝ মাঠে বল নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম, তাহলে হয়তো ডিফেন্সের ওপর এত ঝড় আসে না। আমরাও মুহূর্তের ভুল করি না।’
এরপর নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথাও তুললেন আফগান ম্যাচে লক্ষ্যভেদ করা এই ডিফেন্ডার, ‘আসলে আমাদের কোয়ালিটি খেলোয়াড়ের অভাব রয়েছে। এছাড়া বিগ ম্যাচ খেলার মতো সাহসও দরকার আছে। প্রতি মুহূর্তে ডিফেন্স করে অনেক সময় খেই হারানোর সুযোগ থাকে। আমাদের হয়েছেও তা-ই। যে কারণে শেষ দিকে কিছুটা ক্লান্তিও এসে যায়। এই ম্যাচ হেরে আসলে আমাদের সবারই মন খারাপ। এখন সামনের ম্যাচ নিয়ে ভাবতে হচ্ছে।’
আগামী ১৫ জুন গ্রুপে শেষ ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। আগের দেখায় ৪-১ গোলে হেরেছিল জামাল ভূঁইয়ারা। তাই বলেই দেওয়া যায়, রক্ষণভাগের ওপর ঝড় আসছে আরেকটি!
- মিশা সওদাগরকে রাস্তায় মারধর, ভাইরাল ভিডিওর আসল রহস্য ফাঁস করলেন জায়েদ খান
- ১ বা ৩ কোটিতে নয় আকাশ ছোয়া মুল্যে আইপিএলে দল পেলেন মুস্তাফিজ
- ৩ ম্যাচে খেলবেন মুস্তাফিজ, প্রতি ম্যাচের জন্য যত টাকা করে দিবে দিল্লি ক্যাপিটালস
- মুস্তাফিজের পর দল পেলো সাকিব
- ভিসা নিয়ে বাংলাদেশকে সুখবর পাঠালো যে দুই দেশ
- সুখবর প্রবাসীদের জন্য : নতুন ভিসা চালু করল আমিরাত
- আবারও পাল্টে গেলো সোনার দাম
- বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ আটকে রাখলেন সৌদি মালিক
- ১০ বলে ২৭ রান , ক্রিকেট ইতিহাসে বাংলাদেশের নাটক
- বড় সুখবর পেঁয়াজের বাজারে
- প্রবাসীদের জন্য দারুন সুখবর ঘোষণা
- বড় সুখবর! হঠাৎ কমে গেল পেঁয়াজ-আলুর দাম, বাজারে ফিরছে স্বস্তি
- সাম্যকে নিয়ে যে স্ট্যাটাস দিলেন উপদেষ্টা আসিফ
- ডেসটিনির বিনিয়োগকারীরা কীভাবে টাকা ফেরত পাবেন, জানালেন রফিকুল আমীন
- আজ ৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়