ক্যারিয়ার শেষে কি করবেন ভক্তদের জানিয়ে দিলেন নেইমার
২০১৪ সালে ব্রাজিলে ফুটবল বিশ্বকাপের সময় তাস খেলার নেশা ধরে নেইমারের। এরপর বার্সেলোনায় জেরার্ড পিকে, পিএসজির কেইলর নাভাস কিংবা লিয়ান্দ্রো পারেদেসকে পোকারের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পেয়েছেন নেইমার।
এই খেলার প্রতি ব্রাজিলীয় তারকার আসক্তি এতোটাই যে, নিজের পোশা কুকুরের নাম পর্যন্ত রেখেছেন ‘পোকার’। সংবাদমাধ্যমকে নেইমার বলেন, ‘আমি যেসব বিষয় ভালোবাসি তারমধ্যে পোকার অন্যতম। আশা করি ফুটবল ছেড়ে দেয়ার পর পোকারের টুর্নামেন্টে খেলবো।
আমি সবসময়ই খেলতে চাই। তবে ফুটবলের জন্য সময় হয়ে ওঠে না। তাই ফুটবল ছাড়ার পর এই কাজটা করতে চাই। নানা জায়গায় গিয়ে টুর্নামেন্ট খেলতে চাই। এটি খেলতে খুব ভালোবাসি আমি।’
ফুটবলের সঙ্গে পোকার খেলার একটি বিশেষ মিলও দেখেন নেইমার। তিনি বলেন, ‘পোকার ও ফুটবল খেলার মধ্যে মিল আছে। মনোযোগটা এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ। খেলায় যেভাবে প্রতিপক্ষের মন পড়তে হয়, সেটা খুব গুরত্বপূর্ণ। ফুটবলে সবচয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কাজটা আমি মাঠে করি- মাঠে খেলাটা বোঝার চেষ্টা করি। প্রতিপক্ষকে বোঝার চেষ্টা করি। আক্রমণ করার জায়গা খুঁজে বের করি, যেন দলের জন্য সুযোগ তৈরি হয়। পোকারই ঠিক একই রকম।
খেলাটা বুঝতে হবে, প্রতিপক্ষের মন পড়ার চেষ্টা করতে হবে। আক্রমণের সঠিক সময়টা জানতে হবে।’ পিএসজির জার্সিতে ভালোই সময় কাটছে নেইমার-এমবাপ্পেদের। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগের কোয়ার্টার ফাইনালে গতবারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়েছে মাউরিসিও পচেত্তিনোর শিষ্যরা। সেমিতে চেলসির মুখোমুখি হবে ফরাসি দলটি।